ল্যাংহাম হোটেল। আতঙ্কিত ব্রড (ইনসেটে)।
আপনাআপনি জল পড়ছে কল থেকে! জ্বলে উঠছে সব আলো! ঘরের মধ্যে টের পাওয়া যাচ্ছে অশরীরী উপস্থিতি!
ভূতের উপদ্রবে নাকি রাতের ঘুম ছুটেছে ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারদের!
লন্ডনের ঐতিহ্যমণ্ডিত ল্যাংহাম হোটেলের পাঁচতারা আরামেও তাই তীব্র অস্বস্তির মধ্যে রাত কাটাচ্ছেন স্টুয়ার্ট ব্রডরা।
চলতি লর্ডস টেস্ট এখনও নিরুপদ্রব কাটলেও মাসখানেক আগের শ্রীলঙ্কা সিরিজ চলাকালীন ল্যাংহাম হোটেলে নানা অদ্ভুতুড়ে কাণ্ডের জেরে আতঙ্কে ঘর পাল্টাতে বাধ্য হয়েছিলেন ইংল্যান্ড দলের কয়েক জন। যাঁদের মধ্যে ছিলেন ব্রড। এক ব্রিটিশ কাগজকে তারকা পেসার নিজেই জানিয়েছেন সেই অভিজ্ঞতা। বলেছেন, “ভারতের বিরুদ্ধে চলতি টেস্টে তো তবু রাতে ঘুমোতে পারছি। শ্রীলঙ্কা সিরিজে তা-ও পারিনি।” ব্রড জানিয়েছেন, একদিন রাত দেড়টা নাগাদ হঠাৎ ঘুম ভাঙার পর ঘরে আরও একজনের উপস্থিতি টের পান। “ওই রকম ভয় আগে কখনও পাইনি,” বলেছেন ব্রড। এখানেই শেষ নয়। আর একদিন অস্বাভাবিক রকমের গরম লাগতে শুরু করায় ঘুম ভেঙেছিল তাঁর। ব্রডের কথায়, “হঠাৎ বাথরুমের সব ক’টা কল থেকে একসঙ্গে জল পড়তে শুরু করল। আমি ঘরের আলো জ্বালাতেই জল পড়া বন্ধ। আলো নেভাতেই আবার জল পড়তে লাগল। এত ভয় পেয়েছিলাম যে সঙ্গে সঙ্গে হোটেল কর্তৃপক্ষকে ঘর পাল্টে দিতে বলি।”
ব্রডের বান্ধবী বিইলি, মইন আলি ও তাঁর স্ত্রী, বেন স্টোকসপ্রত্যেকেই নাকি ভূতের উপস্থিতি টের পেয়েছিলেন। ব্রডের কথায়, “আমি বলছি শুনুন, ওই হোটেলে বিচিত্র কাণ্ডকারখানা চলছে!”
অ্যালিস্টার কুকের টিমের এই অভিজ্ঞতা অবশ্য বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। ১৮৬৫ সালে তৈরি ল্যাংহাম হোটেলের ‘হানাবাড়ি’ বলে বিশ্বে বেশ নামডাক। মার্ক টোয়েন, অস্কার ওয়াইল্ড, আর্থার কনান ডয়েলের মতো মহান সাহিত্যিকদের পছন্দের আড্ডাস্থল হিসাবে ইতিহাসে ঢুুকে যাওয়া এই হোটেলে বিবিসি-র এক ঘোষক নাকি স্বচক্ষে ভূত দেখেন। ৩৩৩ নম্বর ঘরে তাঁর চোখের সামনে এক আলোর গোলক উদয় হয়ে ভিক্টোরিয়ান যুগের ব্যক্তির আকার নেয়। তার পরে হাওয়ায় ভাসতে ভাসতে তাঁর দিকে এগিয়ে আসতে থাকে। বিবিসি-র সেই কর্মী প্রাণভয়ে ঘর ছেড়ে পালিয়েছিলেন।
ঘটনার বিবরণ হোটেলের ওয়েবসাইটেই বলা আছে। তবে এ বার তার সঙ্গে ব্রডদের নামও যোগ হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy