জয়ের উল্লাস। ছবি: রয়টার্স।
তিন দিনের মধ্যেই শেষ হল নাগপুর টেস্ট। অশ্বিনের বারো উইকেটে ভর করে ১২৪ রানে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাল ভারত। আর সিরিজ হেরে বিদেশের মাঠে ন’বছর না হারার রেকর্ডও ভেঙে গেল প্রোটিয়াদের।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংস স্থায়ী হয়েছিল ৩৩ ওভার। ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস ৪৬.৩ ওভার। আর শুক্রবার সকালে হাশিম আমলা এবং ফ্যাফ দু’প্লেসির পার্টনারশিপ স্থায়ী হল প্রায় ৪৭ ওভার। রান তেমন না হলেও দুই প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান দেখিয়ে দিলেন, দেখেশুনে খেললে নাগপুরের পিচেও ব্যাট করা যায়। এ বি ডিভিলিয়ার্স আউট হতেই ভারতের সামনে সিরিজ জয় মনে হচ্ছিল সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু কিছু ক্ষণের জন্য হলেও আমলা-ডু’প্লেসির পার্টনারশিপ ভয় ধরিয়ে দিয়েছিল ভারতীয় ফ্যানদের মনে। অবশেষে দু’ওভারের মধ্যে দুজনকেই আউট করে ভারতীয় শিবিরে স্বস্তি আনলেন অমিত মিশ্র।
ঘূর্ণি পিচে দ্বিতীয় দিনের শেষেই চালকের আসনে ছিল ভারত। শুক্রবারের সকালে সেই আসনকে আরও মজবুত করেন সেই রবিচন্দ্রন অশ্বিন। দিনের দশম এবং ইনিংসের ২৪ তম ওভারে অশ্বিনের ক্যারম বলে বিভ্রান্ত হয়ে যখন মাঠ ছাড়ছেন এবি, কোহলিদের মধ্যে তখন রীতিমতো উত্সবের আমেজ। সিরিজের সেরা ব্যাটসম্যানকে তাড়াতাড়ি আউট করে নাগপুরে তখন অ্যাডভান্টেজ ভারত।
নাগপুরের যে পিচ ছিল শেষ দু’দিন বিতর্কের কেন্দ্রে, এ দিন সকালে সেই পিচে কিন্তু মোটামুটি ভালই মানিয়ে নিয়েছিলেন আমলা-দু’প্লেসি। শেষ পর্যন্ত বল দেখে খেললে যে এই পিচেও অশ্বিন-অমিতদের সামলে নেওয়া যায়, সেটাই যেন সতীর্থদের বোঝাচ্ছে আমলার ব্যাট। ধৈর্যের চরম পরীক্ষা দিয়ে ১৬৭ বলে ৩৯ করলেন প্রোটিয়া অধিনায়ক। ১৫২ বলে ৩৯ করলেন দু’প্লেসি। দু’জনে মিলে যোগ করলেন ৭২ রান, যা এই টেস্টে সর্বোচ্চ রানের পার্টনারশিপ। এই জুটি ফেরার পর অবশ্য বেশি ক্ষণ স্থায়ী হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। একে একে ফিরে যান ডুমিনি, ভ্যান জিলরা। ইনিংসে সাত এবং ম্যাচে ১২ উইকেট নিয়ে ম্যান অব দা ম্যাচ হলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
ম্যাচ এবং সিরিজ জিতলেও সেই প্রশ্নটাই সারা দিন ঘুরপাক খেল ক্রিকেটমহলে। নাগপুর পিচ কি ধ্বংস করছে টেস্ট ক্রিকেটের ভবিষ্যত্?
এই সংক্রান্ত আরও খবর
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy