সাত বছর আগে ইংল্যান্ডের কাছে হেরে ভারতীয় পুরুষ হকি দলের অলিম্পিক যোগ্যতা অর্জনের শেষ আশা মুখ থুবড়ে পড়েছিল। আট দশকে সেই প্রথম অলিম্পিক হকিতে নামতে ব্যর্থ হয়েছিল ভারতের ছেলেরা। শনিবার সেই ইংল্যান্ডের হাত ধরেই ছত্রিশ বছরের শাপমুক্তি ঘটল ভারতীয় মহিলা দলের। ১৯৮০ মস্কো অলিম্পিকের পর ফের ভারতের মেয়েরা অলিম্পিকে হকিতে লড়ার যোগ্যতা অর্জন করলেন। তাও আবার হকির জাদুকর ধ্যানচাঁদের জন্মদিনে।
গত মাসে বিশ্ব হকি লিগ সেমিফাইনাল টুর্নামেন্টে ভারতের মেয়েরা পঞ্চম স্থানে শেষ করায় অলিম্পিকে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। লন্ডনে চলা ইউরো হকি চ্যাম্পিয়নশিপে ইংল্যান্ডের মেয়েরা ফাইনালে উঠতেই ভারতের মেয়েদের রিও অলিম্পিকে নামা নিশ্চিত হয়ে যায়। আগেই এই টুর্নামেন্টে অন্য সেমিফাইনালে নেদারল্যান্ডস হারিয়ে দিয়েছিল জার্মানিকে। দুই ফাইনালিস্ট দল আগেই রিও অলিম্পিকে খেলার যোগ্যতা অর্জন করায় ভারতের মেয়েদের সামনে প্রায় চার দশকের হতাশা কাটানোর সুযোগ চলে আসে।
আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশনও পরে যা নিশ্চিত করে। শুধু দেশের হকিই নয়, যে কৃতিত্বে খুশির হাওয়া দেশের গোটা ক্রীড়ামহলেই। সচিন তেন্ডুলকর যেমন টুইট করেছেন, ‘‘রিও অলিম্পিকে যোগ্যতা অর্জনের জন্য ভারতীয় মহিলা হকি দলকে অভিনন্দন। আরও সাফল্য পাও তোমরা।’’ জাতীয় হকি সংস্থা হকি ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্ট নারিন্দর বাত্রা বলেছেন, ‘‘গোটা দেশের জন্য গর্বের মুহূর্ত। যাঁরা স্বপ্নটা সত্যি করে দেখালেন, সবাইকে অভিনন্দন।’’
ধ্যানচাঁদের জন্মদিন উপলক্ষে এ দিন জাতীয় ক্রীড়া দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে গোটা দেশে। সে দিনই মেয়েদের হকির এই কৃতিত্বকে ধ্যানচাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা হিসেবেই দেখছেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চহ্বাণ। তাঁর টুইট, ‘‘জাতীয় ক্রীড়া দিবসে আলিম্পিক ছাড়পত্র পাওয়াটা মেজর ধ্যানচাঁদকে সত্যিকারের শ্রদ্ধা়জ্ঞাপন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy