Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

চারশো আটষট্টিও আক্রান্ত ‘ওয়াইড রুল’ বিভ্রান্তিতে

এক দিনে চারশো আটষট্টি রান তোলার দুর্দান্ত কৃতিত্ব। মনোজ তিওয়ারি এবং শ্রীবৎস গোস্বামীর জোড়া সেঞ্চুরি। ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে বিশাল রান তুলে এএন ঘোষ ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দিকে কালীঘাটের প্রবল ভাবে এগিয়ে যাওয়া। পরিসংখ্যান বিচার্য হলে, এর মধ্যে কোনও বিতর্কের কোনও সম্ভাবনা থাকার কথা নয়। কিন্তু থাকছে। টুর্নামেন্টের অদ্ভুত ‘ওয়াইড রুল’ নিয়ে বিভ্রান্তি। ম্যাটের উইকেটে ব্যাট করতে খুব সুবিধে হচ্ছে না, ব্যাটসম্যানদের বলে যাওয়া।

জোড়া সেঞ্চুরির দাপট। মনোজ ও শ্রীবৎস। মঙ্গলবার ইডেনে।

জোড়া সেঞ্চুরির দাপট। মনোজ ও শ্রীবৎস। মঙ্গলবার ইডেনে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০১৫ ০২:৩১
Share: Save:

এক দিনে চারশো আটষট্টি রান তোলার দুর্দান্ত কৃতিত্ব। মনোজ তিওয়ারি এবং শ্রীবৎস গোস্বামীর জোড়া সেঞ্চুরি। ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে বিশাল রান তুলে এএন ঘোষ ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দিকে কালীঘাটের প্রবল ভাবে এগিয়ে যাওয়া।
পরিসংখ্যান বিচার্য হলে, এর মধ্যে কোনও বিতর্কের কোনও সম্ভাবনা থাকার কথা নয়। কিন্তু থাকছে। টুর্নামেন্টের অদ্ভুত ‘ওয়াইড রুল’ নিয়ে বিভ্রান্তি। ম্যাটের উইকেটে ব্যাট করতে খুব সুবিধে হচ্ছে না, ব্যাটসম্যানদের বলে যাওয়া। বোলাররা— তাঁরাও নাকি আক্রান্ত হচ্ছেন ম্যাটের পাল্লায় পড়ে।
এ দিন এএন ঘোষ ফাইনালের প্রথম দিন শেষে কোনও কোনও ক্রিকেটার বলে গেলেন, সবচেয়ে অসুবিধে হচ্ছে ‘ওয়াইড রুলে’। বলা হচ্ছে, কোনও বোলার প্রথম বলটা লেগস্টাম্পের বাইরে করলে তাকে সতর্কিত করা হচ্ছে। দ্বিতীয় বলটা গেলে, আবার সতর্কিত। তৃতীয় বল থেকে সেটা করলে বল পিছু এক রান দেওয়া হচ্ছে ব্যাটিং টিমকে। কিন্তু বলগুলোও আইনসিদ্ধ ডেলিভারি হিসেবে ধরা হচ্ছে। মানে, কোনও বোলার যদি ওভারের ছ’টা বল লেগস্টাম্পের বাইরে করে যায়, ব্যাটসম্যান ছোঁয়াতে না পারলে বড়জোর সে চার রান দেবে। ওয়াইড দেওয়া হচ্ছে ম্যাটের বাইরে পড়লে। যার সুবিধে নিয়ে নাকি অবাধে নেগেটিভ বোলিং করে যাচ্ছে বোলাররা। কালীঘাট ক্রিকেটারদের কেউ কেউ বলে গেলেন, রানটা আজ পাঁচশো ছুঁতে পারত। কিন্তু ওই নেগেটিভ বোলিংয়ের পাল্লায় পড়ে শেষ দশ ওভারে পঁয়ত্রিশের বেশি নাকি তোলা যায়নি।

রান যদিও কালীঘাট প্রথম দিনের শেষে যা তুলেছে তাতে জেতা উচিত। শ্রীবৎসের (১৭৩ বলে ১৫৫) এবং মনোজ তিওয়ারি (১০৩ ন:আ:) দাপটে রান ৬ উইকেটে ৪৬৮। ম্যাচের আরও দু’দিন বাকি। কিন্তু শোনা গেল, রানটা নাকি খুব সহজে আসেনি। শ্রীবৎস গোস্বামী বলছিলেন, ‘‘ম্যাটে খেলার অভিজ্ঞতা আমার মিশ্র। বল পড়ে যত ভাল ভাবে ব্যাটে আসবে ভাবছি, ততটা আসছে না।’’ মনোজ বলে গেলেন, ‘‘যে কোনও সেঞ্চুরিই অত্যন্ত দামী। আর ম্যাটে খেলা খুব একটা সহজ কাজ নয়।’’ বোলারদের কেউ কেউও বললেন, স্পাইক ছাড়া ম্যাটে নামতে হচ্ছে বলে তাঁদেরও অসুবিধেয় পড়তে হচ্ছে।

সিএবি— তারা এটা নিয়ে কী ভাবছে? এমন অদ্ভুত ‘ওয়াইড রুল’ নিয়েও বা তাদের বক্তব্য কী? টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান সুব্রত সরকার শুধু বললেন, ‘‘আমরা একটা কিছু ভেবে নিশ্চয়ই এই নিয়মগুলো করেছি। টুর্নামেন্টটা শেষ হলে দেখি কে কী বলে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE