ক্লাব ফুটবলে চারশো গোল! লা লিগায় গ্রানাডাকে ৬-০ ওড়ানোর ফাঁকে লিওনেল মেসি কেরিয়ারের এই মাইলস্টোন স্পর্শ করার পর উচ্ছ্বসিত বার্সেলোনা কোচ লুইস এনরিকে। বলছেন, “রাস্তার ফুটবল, স্কুল ফুটবল, ক্লাব ও আন্তর্জাতিক স্তরেও এত গোল করতে পারিনি। আর সেখানে মেসি গোল করাটাই অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছে। ওর খেলা চোখের সুখ বাড়ায়।”
শিষ্যের রেকর্ড স্পর্শের দিনে এখানেই থামেননি এনরিকে। টেনে এনেছেন রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে গত মরসুমে ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলারের সম্মান পাওয়া ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে। ম্যাচের পর সাংবাদিক সম্মেলনে এসে তাঁর সাফ কথা, “ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো যদি মাইকেল জর্ডান হয়, মেসি তা হলে উইল্ট চেম্বারলেন।”
মেসির উৎকর্ষ ব্যাখ্যায় হঠাৎ রোনাল্ডো এবং মাইকেল জর্ডন উঠে এলেন কেন? জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার রিয়ালের কাছে লা লিগায় রিয়ালের ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বের্নাবাওয়ে ১-৫ বিধ্বস্ত হওয়ার পর পর এলচে এফসি কোচ ফ্রান এসক্রিবা রোনাল্ডোর প্রশংসা করতে গিয়ে টেনে এনেছিলেন মার্কিন মুলুকের জনপ্রিয় বাস্কেটবল তারকা মাইকেল জর্ডানকে। বলেছিলেন, “রোনাল্ডো একজন অত্যাশ্চার্য ফুটবলার। যার স্কোরিং দক্ষতা মুগ্ধ করে দেয়। অনেকটা বাস্কেটবলের মাইকেল জর্ডানের মতো। তিনি যখন খেলতেন তখন প্রতি রাতে ৫০ পয়েন্ট স্কোর করতেন। রোনাল্ডোও তেমনই স্কোর করতে মুখিয়ে থাকে সব সময়।”
এসক্রিবার মন্তব্যের পাল্টা দিতে বার্সা কোচ এনরিকের লাগল মোটে ৯৬ ঘণ্টা। মেসির জোড়া গোল এবং মরসুমে নেইমারের প্রথম হ্যাটট্রিকের সুবাদে গ্রানাডাকে ছ’গোলের মালা পড়াতেই এনরিকে এ বার পাল্টা টেনেছেন বাস্কেটবলের আর এক কিংবদন্তি চেম্বারলেনকে। তাঁর কথায়, “উইল্ট চেম্বারলেন যখন খেলতেন তখন প্রতি ম্যাচে ১০০ পয়েন্ট স্কোর করতেন। মেসিও সে রকম।”
উল্লেখ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কিংবদন্তি বাস্কেটবলার উইল্ট চেম্বারলেন ছিলেন পাঁচ এবং ছ’য়ের দশকের সাড়া জাগানো খেলোয়াড়। সাত ফুট এক ইঞ্চির এই খেলোয়াড় স্কোরিং দক্ষতার জন্যই সমর্থকদের কাছে পরিচিত ছিলেন ‘গোলিয়াথ’, ‘উইল্ট দ্য স্টিল’ ইত্যাদি নামে।
চলতি মরসুমে বার্সার জার্সি গায়ে পাঁচ গোল হয়ে গেল মেসির। সে কথা উল্লেখ করে এনরিকে বলেন, “মেসিকে কিছু সময় খেলিয়ে বিশ্রাম দেওয়ার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু মাঠে নেমে ও এমন খেলতে শুরু করল যে আর বসাতে পারলাম না। মুগ্ধ হয়ে দেখতে হল।”
আর মেসি নিজে? তিনি অবশ্য চারশো-র মাইলস্টোন পেরিয়ে একই রকম বিনয়ী। বলছেন, “নিজে কখনই ভাবিনি এক দিন চারশো গোল করব। তবে এই সাফল্যের পিছনে রয়েছেন সতীর্থ এবং কোচেরা। আরও পরিশ্রম করতে হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy