অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা ও সংবাদমাধ্যম তাঁকে ইতিমধ্যেই ‘টার্গেট’ করে নিয়েছে। এ বার অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান জেমস সাডারল্যান্ডও তাদের দলে ঢুকে পড়লেন। কোহালির সমালোচনা করতেও ছাড়লেন না তিনি। সে দেশের এক রেডিও চ্যানেলে সাডারল্যান্ড বললেন, ‘‘কোহালি বোধহয় ‘সরি’ শব্দটাও ঠিক মতো বলতেও জানে না।’’
ডিআরএস কাণ্ডে কোহালিকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা ও সংবাদমাধ্যম তাঁর বিরুদ্ধে যে ভাবে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে, তা ভারতের কোনও অধিনায়ককে সামলাতে হয়েছে কি না, সন্দেহ। অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক শুধু তাঁকে মিথ্যুক বলতে বাকি রেখেছেন। কোহালি যখন স্মিথের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনেছিলেন, তখন সাডারল্যান্ড বলেছিলেন, ‘‘এটা খুব বাড়াবাড়ি করে ফেলেছে কোহালি।’’ এখন তিনি বলছেন, ‘‘জানি না কোহালি ঠিকমতো সরি-ও বলতে জানে কি না। এই টেস্ট সিরিজ শেষ হয়ে যাওয়ার পরে দুই দলের অনেকেই আইপিএলে নিজেদের মধ্যে মিটমাট করে নেওয়ার সুযোগ পাবে। ধর্মশালায় যদি নাও হয়, আশা করি ওরা সেই সুযোগটা আইপিএলে কাজে লাগাবে।’’
কোহালি অবশ্য এই বিতর্কে পাশে পাচ্ছেন এক জন প্রাক্তন অস্ট্রেলীয় অধিনায়ককে। তিনি মাইকেল ক্লার্ক। কোহালিকে ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প’ বলা নিয়ে বুধবার ক্লার্ক এক চ্যানেলে বলেছেন, ‘‘কোহালিকে তুলনা করা হচ্ছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে! এর চেয়ে জঘন্য আর কী হতে পারে? বিরাট যা করেছে, সেটা স্টিভ স্মিথও করত।’’ ক্লার্ক আরও বলেছেন, ‘‘একটা জিনিস মনে রাখতে হবে। আমি বিরাটকে ভালবাসি এবং অস্ট্রেলিয়ার মানুষও বাসে। ও যে ভাবে খেলে তার মধ্যে আমি এক জন অস্ট্রেলীয়র ছায়া দেখতে পাই। দু’-তিন সাংবাদিক বিরাটের ভাবমূর্তিতে কালি মাখাতে চাইছে, কিন্তু ওর এ সব নিয়ে একেবারেই ভাবা উচিত নয়। কোহালি, স্মিথ— দু’জনেই যেন এ সব নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে আসন্ন টেস্টটা নিয়ে ভাবে। ’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy