বৃহস্পতিবার অনুশীলনে ইস্টবেঙ্গল দল। আই লিগে পরের গন্তব্য সুনীল ছেত্রীদের বেঙ্গালুরু। —নিজস্ব চিত্র।
স্টিভেন কনস্ট্যান্টাইনের অন্যতম প্রিয় ছাত্র জ্যাকিচন্দ সিংহ ব্রাত্য হয়ে পড়েছেন ট্রেভর জেমস মর্গ্যানের দলে!
বেঙ্গালুরু এফসি-র বিরুদ্ধে খেলতে যাওয়ার আগে ইস্টবেঙ্গলে তাঁর ভবিষ্যৎ নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিলেন ব্রিটিশ কোচ। বৃহস্পতিবার সকালে সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে অনুশীলনের পর মর্গ্যান বলে দিলেন, ‘‘জ্যাকি খুব ভাল ফুটবলার। মন দিয়ে অনুশীলনও করছে। কিন্তু আমার ভাবনায় ও নেই। আমার পরিবর্তে অন্য কেউ যখন কোচ হবেন, তিনি হয়তো ৪-৪-২ ফর্মেশনে খেলাবেন। তখন জ্যাকি উইঙ্গার হিসেবে খেলতে পারে।’’
একা জ্যাকিচন্দই নন, প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে ইস্টবেঙ্গলে রোমিও ফার্নান্দেজ ও অবিনাশ রুইদাসের ভবিষ্যৎ নিয়েও। উইঙ্গারদের প্রতি মর্গ্যানের মনোভাবে যদিও বিস্মিত প্রাক্তন তারকারা। ভারতীয় ফুটবলের অন্যতম সেরা উইঙ্গার বিকাশ পাঁজি বললেন, ‘‘জ্যাকিচন্দকে যদি খেলানোই না হয়, তা হলে ওকে নেওয়া হল কেন? উইঙ্গাররাই তো আক্রমণ তৈরি করে। ওরা সেন্টার না করলে স্ট্রাইকাররা গোল করবে কী করে?’’
আর এক প্রাক্তন উইঙ্গার মানস ভট্টাচার্য বললেন, ‘‘আইএসএলে আতলেতিকো দে কলকাতার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার নেপথ্যে অবিনাশের অবদান কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। এখনও উইঙ্গাররা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আক্রমণ গড়ে তুলতে।’’ ক্ষুব্ধ মানস যোগ করলেন, ‘‘সনি নর্দে উইং দিয়েই আক্রমণে ওঠে। মর্গ্যান কি ওকেও বসিয়ে রাখতেন রিজার্ভ বেঞ্চে? উনি যা করছেন তাতে জ্যাকিচন্দ, রোমিও এবং অবিনাশের মতো প্রতিশ্রুতিমানরা আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলবে। ছিটকে যাবে ফুটবলের মূলস্রোত থেকে।’’
লাল-হলুদ কোচ অবশ্য নিজের সিদ্ধান্তে অবিচল। প্রাক্তনদের সমালোচনাকে পাত্তা দিতে নারাজ। শনিবার বেঙ্গালুরুতে সুনীল ছেত্রীদের বিরুদ্ধে ম্যাচ। রক্ষণে একাধিক পরিবর্তন আনতে পারেন মর্গ্যান। বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে স্ট্র্যাটেজি কী? মর্গ্যান বলছেন, ‘‘আগের ম্যাচে আইজলের ফুটবলারদের আমরা স্বাভাবিক খেলা খেলতে দিয়েছিলাম। সেই ভুল আবার করব না। শুরু থেকেই আক্রমণের ঝড় তুলে বেঙ্গালুরুর ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চাই।’’ জ্যাকিচন্দ, রোমিও-র মতো উইঙ্গারদের বাদ দিয়ে আক্রমণের ঝড় তোলা সম্ভব কি না, সেটাই দেখার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy