Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
IPL

সবচেয়ে বেশি বার অধিনায়ক বদল, কিন্তু ঘরে ঢোকেনি একটাও আইপিএল ট্রফি

মরসুম শেষ। তো অধিনায়কত্বের মেয়াদও শেষ। কখনও বা খেলার মাঝেই হাত বদল হয়ছে অধিনায়কত্বের। আবার কখনও একই টিমে একাধিক ‘অধিনায়ক’এর মেলা দেখা গিয়েছে। কেউ ব্যর্থ হয়েছেন। কেউ চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন। কেউ আবার শেষ পর্যন্ত লড়ে জয় ছিনিয়ে নিয়ে এসেছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০১৭ ১৫:২০
Share: Save:
০১ ০৮
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার বেঙ্গালুরু (৫ অধিনায়ক)- রাহুল দ্রাবিড়রের অধিনায়কত্বে আইপিএলের যাত্রা শুরু রয়্যাল চ্যালেঞ্জার বেঙ্গালুরুর। পরের বছর প্রায় গোটা টিমকে বদলে ফেলে বেঙ্গালুরু। অধিনায়কও পাল্টে যায়। কেভিন পিটারসনকে বসানো হয় অধিনায়ক পদে। ইংল্যান্ডের এই তারকা ক্রিকেটারও তেমন সুবিধা করতে পারেননি। মাঝ পথেই হাত বদল হয়ে অধিনায়কত্ব চলে আসে অনিল কুম্বলের হাতে। তাঁর যথেষ্ট আগ্রাসী মনোভাবে বেঙ্গালুরু পয়েন্ট তালিকায় সামনের দিকে উঠে আসে। এবং সে বছর রানার আপ-ও হয়। ২০১০ আইপিএলেও অধিনায়কের দায়িত্বে থাকেন কুম্বলে। এর পর আইপিএল থেকে কুম্বলে অবসর নিলে নিউজিল্যান্ডের বোলার ড্যানিয়েল ভিত্তোরি দু’বছর সামলান বেঙ্গালুরুকে। তারপর শুরু হয় কোহালি যুগ।

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার বেঙ্গালুরু (৫ অধিনায়ক)- রাহুল দ্রাবিড়রের অধিনায়কত্বে আইপিএলের যাত্রা শুরু রয়্যাল চ্যালেঞ্জার বেঙ্গালুরুর। পরের বছর প্রায় গোটা টিমকে বদলে ফেলে বেঙ্গালুরু। অধিনায়কও পাল্টে যায়। কেভিন পিটারসনকে বসানো হয় অধিনায়ক পদে। ইংল্যান্ডের এই তারকা ক্রিকেটারও তেমন সুবিধা করতে পারেননি। মাঝ পথেই হাত বদল হয়ে অধিনায়কত্ব চলে আসে অনিল কুম্বলের হাতে। তাঁর যথেষ্ট আগ্রাসী মনোভাবে বেঙ্গালুরু পয়েন্ট তালিকায় সামনের দিকে উঠে আসে। এবং সে বছর রানার আপ-ও হয়। ২০১০ আইপিএলেও অধিনায়কের দায়িত্বে থাকেন কুম্বলে। এর পর আইপিএল থেকে কুম্বলে অবসর নিলে নিউজিল্যান্ডের বোলার ড্যানিয়েল ভিত্তোরি দু’বছর সামলান বেঙ্গালুরুকে। তারপর শুরু হয় কোহালি যুগ।

০২ ০৮
সানরাইজ হায়দরাবাদ (৫ অধিনায়ক) - আইপিএল থেকে ডেকান চার্জার্স দল তুলে নিলে ২০১২-তে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে প্রতিনিধিত্ব করে। কিন্তু প্রত্যেক মরসুমে তাদের অধিনায়ক পাল্টেছে। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের প্রথম অধিনায়ক ছিলেন কুমার সাঙ্গাকারা এবং ক্যামরন হোয়াইট। গোটা লিগের দায়িত্ব সমান ভাবে ভাগ করে দেওয়া হয় তাঁদের মধ্যে। পরের বছর এই দুই অধিনায়ক পাল্টে গিয়ে আরও নতুন দু’জনকে বসানো হয়ে সেই পদে। প্রথম ১০টি ম্যাচে শিখর ধবন নেতৃত্ব দেওয়ার পর লিগের বাকি ৪টে ম্যাচে প্রতিনিধিত্ব করেন ড্যারেন সামি। কিন্তু এই স্ট্র্যাটিজিও ব্যর্থ হয় তাদের। ২০১৫ এবং ২০১৬ মরসুমে অস্ট্রেলীয় ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার নেতৃত্ব দেন। এবং ২০১৬ তে বেঙ্গালুরুকে চ্যাম্পিয়ন্স করেন তিনি।

সানরাইজ হায়দরাবাদ (৫ অধিনায়ক) - আইপিএল থেকে ডেকান চার্জার্স দল তুলে নিলে ২০১২-তে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে প্রতিনিধিত্ব করে। কিন্তু প্রত্যেক মরসুমে তাদের অধিনায়ক পাল্টেছে। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের প্রথম অধিনায়ক ছিলেন কুমার সাঙ্গাকারা এবং ক্যামরন হোয়াইট। গোটা লিগের দায়িত্ব সমান ভাবে ভাগ করে দেওয়া হয় তাঁদের মধ্যে। পরের বছর এই দুই অধিনায়ক পাল্টে গিয়ে আরও নতুন দু’জনকে বসানো হয়ে সেই পদে। প্রথম ১০টি ম্যাচে শিখর ধবন নেতৃত্ব দেওয়ার পর লিগের বাকি ৪টে ম্যাচে প্রতিনিধিত্ব করেন ড্যারেন সামি। কিন্তু এই স্ট্র্যাটিজিও ব্যর্থ হয় তাদের। ২০১৫ এবং ২০১৬ মরসুমে অস্ট্রেলীয় ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার নেতৃত্ব দেন। এবং ২০১৬ তে বেঙ্গালুরুকে চ্যাম্পিয়ন্স করেন তিনি।

০৩ ০৮
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (৬ অধিনায়ক)- সচিন তেন্ডুলকরের হাত ধরে আইপিএলে খেলতে নামে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। পরে চোটের কারণে হরভজন সিংহকে সামলাতে হয়েছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে। কখনও বা সন পলকও নেতৃত্ব দিয়েছেন দলকে। ২০১০ আইপিএলে একটি ম্যাচে ডয়েন ব্রাভো অধিনায়কত্ব করেছিলেন। সচিন অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ালে ২০১৩-র আইপিএলে রিকি পন্টিংকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মাত্র ৬টি ম্যাচে নেতৃত্ব দেওয়ার পর দায়িত্বে আসেন রোহিত শর্মা। সে বছর তাঁর নেতৃত্বেই আসে আইপিএলের ট্রফি। সেই থেকে মুম্বইকে সামলে আসছেন তিনিই। ফের আরও এক বার চ্যাম্পিয়ন হয় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।

মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (৬ অধিনায়ক)- সচিন তেন্ডুলকরের হাত ধরে আইপিএলে খেলতে নামে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। পরে চোটের কারণে হরভজন সিংহকে সামলাতে হয়েছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে। কখনও বা সন পলকও নেতৃত্ব দিয়েছেন দলকে। ২০১০ আইপিএলে একটি ম্যাচে ডয়েন ব্রাভো অধিনায়কত্ব করেছিলেন। সচিন অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ালে ২০১৩-র আইপিএলে রিকি পন্টিংকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মাত্র ৬টি ম্যাচে নেতৃত্ব দেওয়ার পর দায়িত্বে আসেন রোহিত শর্মা। সে বছর তাঁর নেতৃত্বেই আসে আইপিএলের ট্রফি। সেই থেকে মুম্বইকে সামলে আসছেন তিনিই। ফের আরও এক বার চ্যাম্পিয়ন হয় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।

০৪ ০৮
কিঙ্গস ইলেভেন পঞ্জাব (৮ অধিনায়ক) - আইপিএলের সবচেয়ে ব্যর্থ টিম বললে কিঙ্গস ইলেভেন পঞ্জাবকে বলা যেতে পারে। ৮ বার অধিনায়ক বদলেছে এখনও কাপ আসেনি প্রীতি জিন্টাদের ঘরে। যুবরাজ সিংহ নেতৃত্ব দেন প্রথম আইপিএল। পরের বছর তাঁকে সরিয়ে পঞ্জাব দলের জন্য একের পর অধিনায়ক ব্যবহার করা হয়েছে। কুমার সাঙ্গাকারা, মাহেলা জয়বর্ধনে, অ্যাডাম গিলক্রিস্ট, ডেভিড হাসি, জর্জ বেইলি, ডেভিড মিলার এমন কী মুরলি বিজয়ও অধিনায়ক হয়েছেন। এর পর গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে অধিনায়ক করেছে পঞ্জাব দল।

কিঙ্গস ইলেভেন পঞ্জাব (৮ অধিনায়ক) - আইপিএলের সবচেয়ে ব্যর্থ টিম বললে কিঙ্গস ইলেভেন পঞ্জাবকে বলা যেতে পারে। ৮ বার অধিনায়ক বদলেছে এখনও কাপ আসেনি প্রীতি জিন্টাদের ঘরে। যুবরাজ সিংহ নেতৃত্ব দেন প্রথম আইপিএল। পরের বছর তাঁকে সরিয়ে পঞ্জাব দলের জন্য একের পর অধিনায়ক ব্যবহার করা হয়েছে। কুমার সাঙ্গাকারা, মাহেলা জয়বর্ধনে, অ্যাডাম গিলক্রিস্ট, ডেভিড হাসি, জর্জ বেইলি, ডেভিড মিলার এমন কী মুরলি বিজয়ও অধিনায়ক হয়েছেন। এর পর গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে অধিনায়ক করেছে পঞ্জাব দল।

০৫ ০৮
দিল্লি ডেয়ারডেভিলস (১০ অধিনায়ক)- কিঙ্গস ইলেভেন পঞ্জাবের মতো দিল্লি ডেয়ারডেভিলস-ও এখনও পর্যন্ত আইপিএল খেতাব জেতেনি। কিন্তু ১০ বার অধিনায়ক পাল্টে ফেলেছে তারা। বীরেন্দ্র সহবাগ, গৌতম গম্ভীর, মাহেলা জয়বর্ধনে, দীনেশ কার্তিক, রস টেলর, ডেভিড ওয়ার্নার, জেসম হপস, জেপি দুমিনি, কেভিন পিটারসন এই দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এই মুহূর্তে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন জাহির খান।

দিল্লি ডেয়ারডেভিলস (১০ অধিনায়ক)- কিঙ্গস ইলেভেন পঞ্জাবের মতো দিল্লি ডেয়ারডেভিলস-ও এখনও পর্যন্ত আইপিএল খেতাব জেতেনি। কিন্তু ১০ বার অধিনায়ক পাল্টে ফেলেছে তারা। বীরেন্দ্র সহবাগ, গৌতম গম্ভীর, মাহেলা জয়বর্ধনে, দীনেশ কার্তিক, রস টেলর, ডেভিড ওয়ার্নার, জেসম হপস, জেপি দুমিনি, কেভিন পিটারসন এই দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এই মুহূর্তে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন জাহির খান।

০৬ ০৮
রাজস্থান রয়্যালস (৪ অধিনায়ক)- এখন আর এই ফ্র্যাঞ্চাইজির অস্তিত্ব নেই আইপিএলে। কিন্তু এই দলই শেন ওয়ার্নের নেতৃত্বে ২০০৮-এ প্রথম আইপিএলে জেতে। রাজস্থান রয়্যালসে ৪ জন ক্রিকেটার অধিনায়কত্ব সামলে ছিলেন। শেন ওয়ার্ন, শেন ওয়াটসন, রাহুল দ্রাবিড় এবং স্টিভেন স্মিথ।

রাজস্থান রয়্যালস (৪ অধিনায়ক)- এখন আর এই ফ্র্যাঞ্চাইজির অস্তিত্ব নেই আইপিএলে। কিন্তু এই দলই শেন ওয়ার্নের নেতৃত্বে ২০০৮-এ প্রথম আইপিএলে জেতে। রাজস্থান রয়্যালসে ৪ জন ক্রিকেটার অধিনায়কত্ব সামলে ছিলেন। শেন ওয়ার্ন, শেন ওয়াটসন, রাহুল দ্রাবিড় এবং স্টিভেন স্মিথ।

০৭ ০৮
কলকাতা নাইট রাইডার্স (৩ অধিনায়ক)- ২০০৮-এ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় কলকাতা দলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। সে বছর টিমের ব্যর্থতার কারণে ২০০৯ তাঁকে সরিয়ে ব্র্যান্ডন ম্যাকুলামকে অধিনায়ক করে দল। কিন্তু ২০১০-তে ফের অধিনায়ক হিসাবে ফিরে আসেন সৌরভ। তবে, ২০১১ থেকে দলে বড়সড় পরিবর্তন হয়। সৌরভকে সরিয়ে রেকর্ড দামে অধিনায়কের জায়গায় আনা হয় গৌতম গম্ভীরকে। তাঁর হাত ধরে দু’বার আইপিএল ট্রফি জেতে কলকাতা।

কলকাতা নাইট রাইডার্স (৩ অধিনায়ক)- ২০০৮-এ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় কলকাতা দলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। সে বছর টিমের ব্যর্থতার কারণে ২০০৯ তাঁকে সরিয়ে ব্র্যান্ডন ম্যাকুলামকে অধিনায়ক করে দল। কিন্তু ২০১০-তে ফের অধিনায়ক হিসাবে ফিরে আসেন সৌরভ। তবে, ২০১১ থেকে দলে বড়সড় পরিবর্তন হয়। সৌরভকে সরিয়ে রেকর্ড দামে অধিনায়কের জায়গায় আনা হয় গৌতম গম্ভীরকে। তাঁর হাত ধরে দু’বার আইপিএল ট্রফি জেতে কলকাতা।

০৮ ০৮
চেন্নাই সুপার কিঙ্গ (এক অধিনায়ক)- এখানে একবারও অধিনায়কের রদবদল হয়নি। এক নায়কে ৮ বার আইপিএল খেলেছে চেন্নাই। মহেন্দ্র সিংহ ধোনির হাত ধরে দু’বার চ্যাম্পিয়ন এবং ৪ বার রানার আপ হয়েছে চেন্নাই। স্পট ফিক্সং কাণ্ডে ২০১৬ তে এই দল নিষিদ্ধ হয়ে গেলে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে সফলতম দল হল চেন্নাই সুপার কিঙ্গ।

চেন্নাই সুপার কিঙ্গ (এক অধিনায়ক)- এখানে একবারও অধিনায়কের রদবদল হয়নি। এক নায়কে ৮ বার আইপিএল খেলেছে চেন্নাই। মহেন্দ্র সিংহ ধোনির হাত ধরে দু’বার চ্যাম্পিয়ন এবং ৪ বার রানার আপ হয়েছে চেন্নাই। স্পট ফিক্সং কাণ্ডে ২০১৬ তে এই দল নিষিদ্ধ হয়ে গেলে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে সফলতম দল হল চেন্নাই সুপার কিঙ্গ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE