কুড়ি কোটি পাউন্ড! প্রায় দু’হাজার কোটি টাকা!
এই অঙ্কটাই রাখা হয়েছে লিওনেল মেসির সঙ্গে বার্সেলোনার বিচ্ছেদ ঘটাতে। প্রশ্ন একটাই, কোন ক্লাব দেবে এই বিশাল অঙ্ক?
কাতালান ক্লাবের মহাতারকাকে সই করাতে ইতিমধ্যেই লাইন লেগে গিয়েছে। ফ্রান্সের প্যারিস সাঁ জাঁ হোক কিংবা ইতালির ইন্টার মিলান, সবাই আপাতত ব্যস্ত হয়ে উঠেছে মেসির সঙ্গে পাকা কথা বলতে।
তবে অন্য সব ক্লাবকেই হয়তো পিছনে ফেলে দিতে পারেন ‘দ্য স্পেশ্যাল ওয়ান।’ হোসে মোরিনহোর দুই মোক্ষম চালে মেসিকে সই করাতে আসরে নেমে পড়ল চেলসি। নামী স্পোর্টস ব্র্যান্ড আডিডাসের হাত ধরে। যারা নাকি চেলসিকে কুড়ি কোটি পাউন্ড খরচের শক্তি জোগাতে আর্থিক ভাবে সাহায্য করবে।
কারণটা কী? আডিডাস চেলসির জার্সি বানানো ছাড়া মেসিরও অন্যতম স্পনসর। মেসির বুট থেকে রিস্টব্যান্ড, সব কিছুই বানায় আডিডাস। কিন্তু বার্সেলোনার জার্সি তৈরি করে আডিডাসের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্র্যান্ড নাইকি। শোনা যাচ্ছে, আডিডাস কর্তারা ঠিক করে নিয়েছেন মেসিকে তাঁরা চেলসিতে নিয়ে আসবেনই। চেলসির ক্লাব সূত্রের মতে, ইউরোপ জুড়ে এখন ফেয়ার-প্লে নিয়ম চালু হলেও, চেলসি মালিক রোমান আব্রামোভিচ সবুজ সঙ্কেত দিয়েছেন মোরিনহোকে, তাঁর স্বপ্নের ফুটবলারকে যে ভাবে হোক নিজের দলে সই করাতে। গোপনে সেই মেসিকে কাজ চালালেও, জনসমক্ষে প্রসঙ্গ উঠতেই মোরিনহো এ দিন বলেছেন, “ঘটনাটা সত্যি না। আমি এই প্রসঙ্গে কোনও কথা বলব না।”
শুধু আডিডাসের উপরেই ভরসা করে বসে নেই চেলসি ম্যানেজার। এলএম টেনকে প্রিমিয়ার লিগে আনতে মোরিনহোর ক্লাবের দূত হয়ে কাজ করছেন সেস ফাব্রেগাস। বার্সার জুনিয়র দল থেকেই একসঙ্গে খেলেছেন ফাব্রেগাস আর মেসি। বার্সেলোনার সিনিয়র দলেও দু’জনে একসঙ্গে তিন বছর খেলে বহু ট্রফি জিতেছেন। দুই ফুটবলারের বান্ধবীরাও এক আত্মা এক প্রাণ। ফাব্রেগাস নাকি প্রতিদিনই মেসিকে ফোন করে চেলসি আসতে বলছেন।
এক স্প্যানিশ সাংবাদিক বলছেন, “বাইরে থেকে দেখে যা মনে হচ্ছে ঘটনা কিন্তু তা নয়। মেসি গত দু’বছর ধরেই খুশি নন বার্সায়। কারণ খুব পরিষ্কার। ও জানে ওকে আগেও বিক্রি করতে চেয়েছে ক্লাব। সঙ্গে কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে যখন ফাঁসে মেসি, তখনও সাহায্য পায়নি নিজের প্রিয় ক্লাব থেকে। তৃতীয়ত রোনাল্ডোর থেকে কম টাকা পায় মেসি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy