জয়ের পর কোরেসমার আলিঙ্গনে স্যাঞ্চেজ। ছবি: এএফপি।
পর্তুগাল: ১(৫) (স্যাঞ্চেজ )
পোল্যান্ড: ১ (৩) (লেভানডস্কি)
এ বারের ইউরোতে নব্বই মিনিটে কোনও ম্যাচই বের করতে পারেনি ক্রিশ্চিয়ানো রোনান্ডোর পর্তুগাল। কোয়ার্টার ফাইনালেও তার ব্যতিক্রম হল না। নির্ধারিত সময়ে ১-১ থাকার পর যদিও ম্যাচ শেষে সেমি ফাইনালের টিকিট হাতে শেষ হাসি হাসল ক্রিশ্চিয়ানো রোনান্ডোর পর্তুগাল। লেভানডস্কির পোল্যান্ডকে টাইব্রেকারে ৫-৩ হারিয়ে এ বারের ইউরোর প্রথম দল হিসেবে শেষ চারে গেল পর্তুগাল। প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে ১১৭ মিনিটে গোল করে ফার্নান্ডো স্যান্টোসের দলকে জিতিয়েছিলেন কোরেসমা। এ দিনও পর্তুগিজদের হয়ে জয়ের স্পটকিকটি নিলেন তিনি। চার বছর আগে ২০১২-র ইউরোতে স্পেনের কাছে টাইব্রেকারে হেরেই ইউরো থেকে ছিটকে গিয়েছিল ক্রিশ্চিয়ানো রোনান্ডোর দেশ। সে দিন পেনাল্টি মিস করেছিলেন জোয়াও মোতিনহো।এ দিন অবশ্য টাইব্রেকারে গোল করতে ভুল করেননি মোতিনহো। গোল করলেন পর্তুগিজ ফুটবলের হার্টথ্রব ক্রিশ্চিয়ানো রোনান্ডো। গ্রুপ লিগে অস্ট্রিয়ার বিরুদ্ধে পেনাল্টি মিস করেছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো। এ দিন কিন্তু স্পটকিক নিতে এসে প্রথম গোলটি করে যান তিনি।
ইউরো কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম ম্যাচেই শুরুতে গোল করে পোল্যান্ডকে ১-০ এগিয়ে দিয়েছিলেন লেভানডস্কি।
যদিও ম্যাচের শুরুতেই পোল্যান্ডকে এগিয়ে দিয়েছিলেন রবার্ট লেভানডস্কি। কিন্তু পোল্যান্ড সেই লিড আধঘণ্টার বেশি ধরে রাখতে পারেনি। বিরতির কিছু আগে পোল্যান্ড বক্সের সামনে ওয়ান-টু খেলে জোরালো শটে গোল করে যান ১৮ বছরের রেনাতো স্যাঞ্চেজ। যিনি ইউরো শেষ হলেই যোগ দেবেন লেভানডস্কির ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখে।
পর্তুগালের বিরুদ্ধে এ দিন শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে শুরু করেছিল পোল্যান্ড। আর পেপেদের রক্ষণও সেই চাপ সামলাতে শুরু থেকেই নাজেহাল হচ্ছিল। এই সুযোগেই লেভানডস্কির এগিয়ে দেওয়া। এ রকম পরিস্থিতিতে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো জ্বলে উঠবেন এই আশাতেই ছিলেন সিআর সেভেনের অনুরাগীরা। কিন্তু পোলিশ ডিফেন্সের কড়া ম্যান মার্কিংয়ের সামনে সে ভাবে চেনা ছন্দে পাওয়া যায়নি পর্তুগিজ অধিনায়ককে। বরং, রোনাল্ডোর জন্য তৈরি হওয়া মঞ্চে এ দিন নজর কাড়লেন রেনাতো স্যাঞ্চেজ। কোয়ার্টার ফাইনালে তাঁকেই উঠে নেমে ওয়ার্ক লোড নিতে দেখা গিয়েছে।
কোয়ার্টার ফাইনালেও অধরা রোনাল্ডো-ম্যাজিক। ছবি: রয়টার্স
নির্ধারিত সময়ে গোল না হওয়ায় অতিরিক্ত সময়ে ফের প্রেসিং ফুটবল খেলে পর্তুগিজ ডিফেন্সে চাপ বাড়িয়েছিলেন পোলিশরা। কিন্তু, এই সময় লুই ফিগোর দেশের রক্ষণে একা কুম্ভ হয়ে লড়লেন পেপে।
জয়ের পর রোনাল্ডোকে দেখতে পাওয়া যায় এই পেপের সঙ্গেই সমর্থকদের কাছে গিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে। ম্যাচ হেরে লেভানডস্কির চোখে তখন গভীর শূন্যতা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy