ফাইনালের আবহের মধ্যেই বেঙ্গালুরুর আকাশে এখন যাঁকে ঘিরে সব থেকে বড় সংশয়ের কালো মেঘ তিনি মুস্তাফিজুর রহমান। ফাইনালের যোগ্যতা নির্ণায়ক ম্যাচে তিনি হঠাৎ উধাও। যাঁকে নিয়ে এত কথা। যাঁর বোলিং নিয়ে রীতিমতো শোরগোল ক্রিকেট বিশ্বে সেই মুস্তাফিজুর নেই আইপিএল-এর এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে? প্রশ্নটা ঘুরপাক খাচ্ছিলই। কিন্তু জানা গেল তাঁর নাকি হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট। তাই গুজরাত লায়ন্সের বিরুদ্ধে কোটলায় তিনি বিশ্রামে ছিলেন। দলের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বোলারকে নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে চায়নি সানরাইজার্স হায়দরাবাদের টিম ম্যানেজমেন্ট।
আশিস নেহরার মতো বোলার গুরুত্বপূর্ণ সময়ে চোটের জন্য ছিটকে গিয়েছে। এমন অবস্থায় ফাইনালে উঠলে তখন মুস্তাফিজুরকে না পেলে আরও বিভ্রাট। তাই তাঁকে বিশ্রাম দেওয়াই সমীচীন মনে করেছিল টিম ম্যানেজমেন্ট।
এই মুহূর্তে ফাইনালে দল। তাই মুস্তাফিজুরকে খেলানোর চেষ্টায় টিম ম্যানেজমেন্ট। শেষ পর্যন্ত তাঁকে ফেরাতে লড়াই দেবে দল। দলের ফিজিওদের সেদিন থেকেই কাটার মাস্টারকে নিয়ে লড়াই চলছে। যে ভাবেই হোক ফাইনালে ফেরাতেই হবে মুস্তাফিজকে। একান্তই না পারলে তাঁর জায়গায় খেলবেন ট্রেন্ট বোল্ট। যদিও হায়দরাবাদের বোলিং ডিপার্টমেন্ট যথেষ্টই শক্তিশালী। ভুবনেশ্বর কুমার, বারিন্দর স্নান, এনরিকস, বিপুল শর্মারা রয়েছেন। এমন অবস্থায় মুস্তাফিজুর একান্তই না খেলতে পারলে বাকিদের বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে ফাইনালের আসরে। তবে যা খবর অনেকটাই ভাল আছেন মুস্তাফিজুর।
এশিয়া কাপের সময়ও চোট পেয়ে ছিটকে গিয়েছিলেন মাঝ পথে। টি২০ বিশ্বকাপের শুরু থেকে খেলতে পারেননি। কিন্তু যখন ফেরেন তখন স্বমহিমায়। আইপিএল কাঁপিয়ে শেষ ম্যাচে ফাইনালের মতো আসরে না খেলতে পারলে আফসোসটা থেকে যাবে সারাজীবন। তাই তিনিও চাইছেন যেভাবেই হোক ফাইনালটা খেলতে। তবে চোট নিয়ে খেলিয়ে বিশ্ব ক্রিকেটের এই প্রতিভাকে নিয়ে ঝুঁকি নিতে চাইবে না কেউই।
আরও খবর...
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy