এতটা গর্ব আর আনন্দ বোধহয় আমার আগে হয়নি। যতটা সতীর্থ কাগিসো রাবাদাকে নিয়ে হচ্ছিল। রবিবার কানপুরে ও প্রথম ওয়ান ডে-র শেষ ওভারটা করার পর। এখনও লম্বা সফরের বেশিরভাগটাই বাকি ঠিকই। আমাদের পুরো ফোকাস এখন বুধবারের ইনদওর ম্যাচে। সেটাও ঠিক। কিন্তু তার পরও টিমের সাফল্য, কোনও এক জনের সাফল্য তুলে ধরায় কোনও ক্ষতি নেই। তার উপর সেই সাফল্য যদি স্পেশাল হয়।
একটা ম্যাচ যখন শেষ ওভারে গড়ানোর মতো হাড্ডাহাড্ডি জায়গায় যায়, তার ফলাফলে কিছুটা ভাগ্যের হাত থাকে। এটা আমরা জানি। কিন্তু ভুল-ভ্রান্তি না করে পরিকল্পনা অনুযায়ী খেললে, জয়ের সুযোগটা আরও উজ্জ্বল করে তোলা যায়। যেটা রাবাদা ওর কেরিয়ারে অনুসরণ করে গিয়েছে। কেজি সিনিয়রদের পরামর্শ শুনেছে, আত্মস্থ করেছে, তার পর সেটা কাজে লাগিয়ে প্রায় নিখুঁত একটা ওভার করেছে। ঠিক যেটা এবি আর অন্য সিনিয়র প্লেয়ারররা ওর কাছে চাইছিল।
কেজিকে দেখে শান্ত মনে হলেও নিশ্চয়ই ও ওই সময় খুব চাপে ছিল। আমিও ৪৯ নম্বর ওভারটা করার আগে চাপে ছিলাম। তাই ওর চাপে না থাকাটাই আশ্চর্যের! কিন্তু খেলাধুলোয় সাফল্য নির্ভর করে কী ভাবে এই চাপটা কাজে লাগানো যায় তার উপর। ওকে দেখে মনে হচ্ছে, সেই দক্ষতাটা ও খুব ভাল রপ্ত করেছে।
বিশ্বাসই হচ্ছে না কেজি-র বয়স মাত্র কুড়ি। এই বয়সে আমি সে ভাবে ক্রিকেট খেলা শুরুই করিনি। আর ওকে দেখুন, এমএস ধোনির মতো ব্যাটসম্যানকে পরাস্ত করে দেশকে একটা ওয়ান ডে-তে জেতাল। আমি কুড়ি বছরে যা ছিলাম তার থেকে ও অনেক বেশি প্রতিভাবান। ব্যাপারটা ভয়ঙ্কর।
নিশ্চিত ভাবে ওর এক দিন ওয়ান ডে-তে দলের বোলিং আক্রমণকে নেতৃত্ব দেওয়ার বিষয়টা নিয়ে কথা হচ্ছে। এবং সেই দায়িত্বটা দীর্ঘদিন সামলাতে পারবে কি না তা নিয়েও। তবে আমি জানি ওর জন্য চাপ সামলানোটা কতটা জরুরি। সঙ্গে ওর উপর অতিরিক্ত কিছু চাপানোটাও ঠিক হবে না। নিশ্চিত ভাবে ও প্রত্যেকটা ম্যাচে নামতে চাইবে, চাইবে প্রতিদিন খেলতে। কেন না, ২০ বছর বয়েসে বিশ্রামের প্রয়োজন নেই। তবে ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে এই ব্যাপারটা হাল্কা ভাবে নিলেই ওর আর দলের উপকার হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy