পিঠের ব্যথা, টিমমেটের সঙ্গে মনোমালিন্য নিয়ে মিডিয়ার জল্পনা, ফাইনালেই প্রথম দিনের সিঙ্গলস হার কোর্টে নামার পর সব যেন নিমেষে বাষ্প হয়ে উবে গেল রবিবার। ফ্রান্সের রিচার্ড গাস্কেকে ৬-৪, ৬-২, ৬-২ হারিয়ে সুইত্জারল্যান্ডকে প্রথম ডেভিস কাপ খেতাব এনে দিল রজার ফেডেরার।
সতেরো গ্র্যান্ড স্ল্যাম-সহ টেনিসের সমস্ত ট্রফি জিতলেও ফেডেরারের ভাগ্যে এত দিন ডেভিস কাপ স্পর্শ করাটা ছিল না। সেটাও স্পর্শ করে ফেলার দিন, কী আশ্চর্য! ভাগ্যেরই যেন একটু সাহায্য পেল ও। বিপক্ষের সেরা প্লেয়ার সঙ্গা আচমকা চোটের জন্য না খেলায় ফেডেরারকে সামলাতে হল গাস্কের অপেক্ষাকৃত সহজ চ্যালেঞ্জ।
তবে ফেডেরারের শেষ স্বপ্নটাও পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় ভয় হচ্ছে, নতুন মরসুমে পেশাদার ট্যুরে চৌত্রিশে আর ততটা ক্ষুধার্ত থাকবে কি না! যদি না, অলিম্পিক সিঙ্গলসে সোনা জেতার আকাঙ্খা এখনও তীব্র থাকে ওর ভেতর। একটা অলিম্পিক সোনা (ডাবলসে) কিন্তু ফেডেরারের ট্রফি ক্যাবিনেটে আছে। সে জন্য মনে হয়, আরও দু’বছর পর রিওতে ওকে এ রকম গনগনে মেজাজে পাওয়া যাবে না। বরং ডেভিস কাপ জেতার আকাঙ্খা ফেডেরারের ছিল। এ বছরটা বেশ ভাল ফর্মে থাকায় বুঝেছিল, এটাই সেরা সুযোগ। যে কারণে নিজের কঠিন পেশাদার ট্যুরের মধ্যেও সময় আর ফিটনেস বাঁচিয়ে দেশের হয়ে প্রত্যেকটা ‘টাই’ খেলেছে।
ফাইনালে সিঙ্গলস-ডাবলস মিলিয়ে তিন দিনই খেলল এই বয়সেও! তবে ডেভিস কাপ ফাইনালে দেশের কথা ভেবে ফেডেরার তার চার দিন আগে এটিপি ওয়ার্ল্ড ফাইনালসে চোটের জন্য ফাইনাল ম্যাচে নামার ঝুঁকি নেয়নি, সেটা আমি মনে করি না। জকোভিচের বিরুদ্ধে না খেলাটা মনে হয় পুরোপুরি ব্যক্তিগত পেশাদারি সিদ্ধান্ত। নিজের ভবিষ্যত্ পেশাদার মরসুমের কথা ভেবেই। পিঠের ব্যথাটা জটিল হয়ে উঠলে এত ভাল ফর্মে থাকার সময়েই হয়তো ওকে অনেক মাস কোর্টের বাইরে চলে যেতে হত! তবে যে বয়সে বেশির ভাগ টেনিস নক্ষত্র যখন অবসরে চলে যায়, কিংবা বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে অনেক নীচে গড়িয়ে পড়ে, সেই বয়সে ফেডেরার জীবনের প্রথম ডেভিস কাপ জিতছে, র্যাঙ্কিং বাড়িয়ে বিশ্বের দু’নম্বর হচ্ছে!
অবিশ্বাস্য!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy