ত্রাতা: ঘরের মাঠে সমতা ফিরিয়ে উচ্ছ্বাস আগুয়েরোর। এএফপি
লিভারপুল বনাম ম্যাঞ্চেস্টার সিটির লড়াইয়ে মাঠে এগারোর থেকেও নজর ছিল ডাগআউটের সামনে দু’জনের উপর। দু’দলের ম্যানেজার পেপ গুয়ার্দিওলা ও য়ুর্গেন ক্লপের নোটপ্যাড থেকে এমন কী চাল বেরোবে সেটাই দেখার অপেক্ষায় ছিল ফুটবলবিশ্ব।
শেষমেশ গুয়ার্দিওলা ও ক্লপের ছকের খেলার সামনে হার মানল গোল-উৎসব। স্বপ্নের ডার্বি শেষ হল ১-১।
লেরয় সানে, দে’ব্রুয়েন, দাভিদ সিলভাদের মতো ফুটবলারদের দিয়ে তিকিতাকায় বিপক্ষকে মাত দেওয়ার চেষ্টা করেন গুয়ার্দিওলা। বলের পজেশন রেখে আক্রমণ তৈরি করার চেষ্টা করেন। জবাবে ক্লপের সেই হাইপ্রেসিং ফুটবল। বিপক্ষকে ক্রমাগত প্রেস করে যাওয়া। বলটাকে তাড়া করা।
বিরতির পর আক্রমণ বাড়ায় দুই দল। ফির্মিনহোর উপর গেইল ক্লিচির খারাপ ট্যাকলের সৌজন্যে পেনাল্টি পায় লিভারপুল। স্পটকিক থেকে গোল করেন প্রাক্তন ম্যান সিটি তারকা জেমস মিলনার। লিভারপুলের প্রতিআক্রমণ সামলাতে বাকাহি সানাকে নামান গুয়ার্দিওলা।
ম্যান সিটিও সমতা ফেরাতে একের পর এক সুযোগ তৈরি করে। শেষমেশ ত্রাতা সেই সের্জিও আগুয়েরো। গোটা ম্যাচে অদৃশ্য থাকলেও গোলটা করেন আগুয়েরো। ম্যাচের শেষলগ্নে ম্যান সিটির সুযোগ ছিল তিন পয়েন্ট ছিনিয়ে নেওয়ার। কিন্তু দে’ব্রুয়েন, আগুয়েরোরা একটার পর একটা সহজ সুযোগ নষ্ট করেন।
ড্রয়ের সৌজন্যে অবশ্য দুটো দলই প্রথম চারে থাকল। তৃতীয়তে থাকল ম্যান সিটি। চতুর্থতে লিভারপুল। ম্যাচ ড্র করেও অবশ্য সন্তুষ্ট ম্যান সিটি কোচ গুয়ার্দিওলা। ‘‘আমি খুব খুশি দলের পারফরম্যান্সে। আমরা লড়াই করেছি। এক গোলে পিছিয়ে পড়েও হাল ছাড়িনি। সেই কারণেই আমি খুব খুশি।’’ সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘‘আমাদের সুযোগ ছিল শেষের দিকে গোল করার। তাতেও বলব এক পয়েন্টে খুশি। আমাদের আরও সুযোগ কাজে লাগাতে হবে ভবিষ্যতে। এত সুযোগ নষ্ট করলে হবে না।’’ ক্লপ অবশ্য আশা করেছিলেন তিন পয়েন্ট পাবেন। এক গোলে এগিয়ে থেকেও তাঁর দল লিড ধরে রাখতে পারেনি। ক্লপ বলছেন, ‘‘আগুয়েরোর গোলের সময় আর একটু সতর্ক থাকা উচিত ছিল রক্ষণের।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy