Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

আর যাই হোক, গতিতে আপস নয়

মহম্মদ নিসার, রমাকান্ত দেশাই, কপিল দেব, শ্রীনাথ, জাহির খানের ভারত যে গুটিকয়েক সত্যিকারের ফাস্ট বোলার দেখেছে তাঁদের মধ্যে তিনি— উমেশ যাদব অন্যতম। যিনি নীল জার্সিতে গত কয়েক বছর বিশ্ব ক্রিকেটে দুর্দান্ত গতিতে বুদ্ধিদীপ্ত আউট সুইং ডেলিভারি উপহার দিয়ে চলেছেন। এবং আনন্দবাজারকে একান্ত সাক্ষাৎকারে জানিয়ে দিচ্ছেন, বলের গতির ব্যাপারে তিনি কোনও রকম আপোস করতে রাজি নন।

চেতন নারুলা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০১৫ ০৩:১৩
Share: Save:

মহম্মদ নিসার, রমাকান্ত দেশাই, কপিল দেব, শ্রীনাথ, জাহির খানের ভারত যে গুটিকয়েক সত্যিকারের ফাস্ট বোলার দেখেছে তাঁদের মধ্যে তিনি— উমেশ যাদব অন্যতম। যিনি নীল জার্সিতে গত কয়েক বছর বিশ্ব ক্রিকেটে দুর্দান্ত গতিতে বুদ্ধিদীপ্ত আউট সুইং ডেলিভারি উপহার দিয়ে চলেছেন। এবং আনন্দবাজারকে একান্ত সাক্ষাৎকারে জানিয়ে দিচ্ছেন, বলের গতির ব্যাপারে তিনি কোনও রকম আপোস করতে রাজি নন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভারতের লম্বা মরসুম শুরুর আগে এই মুহূর্তে দেশের দ্রুততম বোলার যা ভাবছেন,—

পরের মাসে শ্রীলঙ্কা সফর থেকে পরের বছরে ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে প্রস্তুতি
ভারতীয় দল মানেই তো লম্বা আম্তর্জাতিক মরসুম। ২০১৫-১৬-ও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। সে জন্য সব সময় যেটা করি আমি এ বারও সেটাই করছি। একসঙ্গে পুরো সিজনটাকে না দেখে সেটাকে ছোট ছোট ভাগে ভাগ করছি। সেই প্রতিটা ছোট ভাগের শেষে নিজের ফিটনেস বিচার করব। কতটা বিশ্রাম নিয়ে, কী কী ভুল শুধরে পরের ছোট ভাগটা শুরু করব সেটা দেখব। এ ভাবেই নিজের সেরা পারফরম্যান্স দেওয়ার চেষ্টা করব। আশা করি সফলও হব।

অস্ট্রেলিয়া সফর এবং সে দেশে বিশ্বকাপ ফিরে দেখা
অস্ট্রেলিয়া আমার ক্রিকেটের পক্ষে খুব ভাল জায়গা। ওখানকার উইকেট শক্ত। সে জন্য আমি যখন নিজের পুরো গতি ওই পিচে ব্যবহার করি, তার রেজাল্টও সবচেয়ে ভাল পাই। ইংল্যান্ড বা দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটে আপনাকে লেংথ পাল্টাতে হবে ভাল করার জন্য। যেটা খানিকটা কঠিন হয়ে যায় মাঝেসাঝে।

গতি বনাম লাইন-লেংথ বিতর্ক

এ ব্যাপারে প্রত্যেকেরই নিজস্ব মত আছে। তবে আমার ক্ষেত্রে বলতে পারি যে, আমি ভারতীয় দলে টিকে আছি আমার বলের গতির জন্যই। যেটা আমি কখনও ভুলি না। আর সে কারণে আমি কখনও সেই গতির ব্যাপারে কোনও রকম আপস করব না। কারণ আমি জানি, সুইং-লেংথ-লাইন আমাকে আজ এই জায়গায় আনেনি। বলের গতির জন্যই আমি সবার নজরে পড়েছি।

কোহলি বনাম ধোনির নেতৃত্ব

খুব সামান্যই তফাত। দু’জনই আক্রমণাত্মক অধিনায়ক। তবে সেটা প্রকাশের ভঙ্গিটা আলাদা। বিরাট গরম মাথার আক্রমণাত্মক ক্যাপ্টেন। মাহি ঠান্ডা, ভেতরে ভেতরে সব হিসেব কষা লোক। তবে আমার মনে হয়, আপনি বিরাটের নেতৃত্বে খেলতে একটু বেশি পছন্দ করবেন। কেননা ও হারুক বা জিতুক, প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে সব সময় চোখে চোখ রেখে কথা বলা লোক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE