ঋদ্ধিমানের প্র্যাকটিস।
ঋদ্ধিমান সাহা পারবেন? না, পারবেন না?
শ্রীলঙ্কা সিরিজে বাংলার একমাত্র প্রতিনিধি শেষ পর্যন্ত খেলতে পারবেন কি না, মঙ্গলবারও নিশ্চিত হওয়া গেল না। ঋদ্ধি এ দিন ব্যাট করলেন, কিপ করলেন— কিন্তু ভারতের জার্সিতে নামছেনই, এখনও বলার উপায় নেই।
কারণ নিজেকে একশো শতাংশ ফিট এখনও বলতে চান না ঋদ্ধি। “এখন নব্বই শতাংশ ফিট। নেটে স্পিনারদের বিরুদ্ধে ব্যাট করেছি। কিপ করেছি। ম্যাচের আগের দিন পর্যন্ত সময় দেওয়া হলে আমার অসুবিধে হবে না। কিন্তু যদি কালই বোর্ড ফিটনেস রিপোর্ট দিতে বলে, তা হলে হ্যাঁ বা না কিছু একটা জানাতে হবে। এখন পারব বলে যদি পরে দেখা যায় পারছি না, তা হলে খারাপ হবে। আমাদের ফিজিও বোর্ডের ফিজিওর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। দেখা যাক,” এ দিন প্র্যাকটিসের পর বলেন ঋদ্ধি। শোনা গেল, ম্যাচের আগের দিন পর্যন্ত সময় পেয়ে যেতে পারেন তিনি। বুধবারও ঋদ্ধি প্র্যাকটিসে নামবেন নিজেকে চূড়ান্ত ভাবে দেখে নিতে।
এ দিকে, ভিশন ২০২০ প্রোজেক্টে প্রথম দফার কোচিং করিয়ে ফিরে গেলেন ভিভিএস লক্ষ্মণ। যাওয়ার আগে বিভিন্ন ক্রিকেটারের সমস্যা যেমন ধরিয়ে দিলেন, বাংলা ওপেনার অরিন্দম দাসের প্রশংসাও করে গেলেন ঘনিষ্ঠমহলে। সবুজ উইকেটে অরিন্দমের ব্যাটিং টেকনিক নাকি মুগ্ধ করেছে লক্ষ্মণকে। পাশাপাশি বাংলা অধিনায়ক লক্ষ্মীরতন শুক্ল এবং মনোজ তিওয়ারিকে নিয়েও এ দিন সেশন করেন লক্ষ্মণ।
মনোজ, লক্ষ্মীকে নিয়ে লক্ষ্মণের ক্লাস। মঙ্গলবার ইডেনে। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস
মনোজকে নাকি বলা হয়েছে, বর্তমানে ক্রিকেটের বাইরে কোনও কিছু নিয়ে না ভাবতে। আর লক্ষ্মীর পিছনের পায়ের সঠিক মুভমেন্ট বোঝানোর সঙ্গে বলা হয়েছে, চাপের মুখে দৃঢ়তা দেখানোর কথা। নিজের বিভিন্ন ইনিংসের উদাহরণ টেনে লক্ষ্মীকে লক্ষ্মণ বলে গিয়েছেন, তুমুল চাপে কী মাইন্ডসেট নিয়ে নামতে হবে। লক্ষ্মী পরে বলে দিলেন, “অশোক পাজি (মলহোত্র) যা ভাবেন, আমাকে যা পরামর্শ দেন, ভিভিএসও তাই দিল। ও আসায় লাভ হবে বাংলা ক্রিকেটের।” দলীপ ট্রফি থেকে ফেরার পর আজ চ্যালেঞ্জার ট্রফিতে নামছেন লক্ষ্মী। অধিনায়কত্বও করবেন মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy