Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

এই পুজোতেই পান সুস্থ ও ঘন চুল, রইল ১০টি উপায়

চুল হয়ে যায় রুক্ষ ও পাতলা এবং অকালেই ঝরতে শুরু করে। তাই পুজোর আগে আপনাদের জন্য রইল এমন ১০টি টিপস, যাতে আপনার চুল থাকবে সুস্থ, উজ্জ্বল এবং প্রাণবন্ত।

বিজ্ঞাপন প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ১১:৩০
Share: Save:

দৈনন্দিন জীবনে ব্যস্ততার কারণে প্রতিদিন চুলের যত্ন নেওয়া সেইভাবে সম্ভব হয়ে ওঠে না। সেই সঙ্গে বাইরের দূষণ, রোদ, ধুলো এগুলো তো রয়েছেই। ফলে চুল হয়ে যায় রুক্ষ ও পাতলা এবং অকালেই ঝরতে শুরু করে। তাই পুজোর আগে আপনাদের জন্য রইল এমন ১০টি টিপস, যাতে আপনার চুল থাকবে সুস্থ, উজ্জ্বল এবং প্রাণবন্ত।

১. রোদ, ধুলো-বালি, বৃষ্টি ইত্যাদি চুলের প্রচণ্ড ক্ষতি করে। চুলকে শুষ্ক ও রুক্ষ বানিয়ে দেয়। তাই বাইরে বের হওয়ার সময়ে অবশ্যই ছাতা ব্যবহার করুন। পারলে স্কার্ফ জাতীয় কিছু দিয়ে মাথার চুল ঢেকে বাইরে বের হোন।

২. প্রতিদিন কমপক্ষে ৩-৪ লিটার জল খান। এতে চুল পড়াও কমবে। চুলও উজ্জ্বল হবে।

৩. প্রতিদিন চুলে শ্যাম্পু ব্যবহার করলে চুলের প্রাকৃতিক তেল নিঃসরণ ক্ষমতা কমে যেতে থাকে। তাই ২-৩ দিন অন্তর শ্যাম্পু ব্যবহার করাই শ্রেয়।

৪. ভেজা অবস্থায় চিড়ুনি দিয়ে চুল আঁচড়ালে চুলের গোড়া অনেক বেশি নরম হয়ে যায়। চুল পড়ে যেতে শুরু করে। তাই চুল শুকানোর পরে বড় দাঁতের চিরুনি দিয়েই চুল আঁচড়ান।

৫. গরম জলে চুল ধোবেন না। এতে চুল রুক্ষ হয়ে যায়। চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যাও দেখা দেয়। তাই সব সময় মাথায় ঠান্ডা জলই ব্যবহার করুন।

৬. সুস্থ এবং ভাল চুলের জন্য কিছু ঘরোয়া টোটকাও ব্যবহার করতে পারেন। শ্যাম্পুর পরে এক টেবিল চামচ লেবুর রস চুলে ম্যাসাজ করে নিলে চুল অনেক বেশি ঝলমলে দেখায়।

৭. এক কাপ কন্ডিশনারের সঙ্গে ২-৩ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এবার ভেজা চুলে এই প্যাক লাগিয়ে ৩০মিনিট অপেক্ষা করুন। তার পরে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন চুল। এটি চুল নরম ও মসৃণ করতে সাহায্য করে।

৮. প্রথমে চুল ভিজিয়ে নিন। এবার একটি ডিম ফাটিয়ে পুরো মাথায় লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এর পরে ঠান্ডা জল দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এতে চুলের রুক্ষতা দূর হবে।

৯. একদম উষ্ণ জলের সঙ্গে সম পরিমাণ আপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে চুলে লাগান। ৫মিনিট পরে জল দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এটি চুলের শুষ্কতা দূর করে চুল সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

১০. কেমিক্যাল যুক্ত শ্যাম্পু এবং তেল কোনওটাই ব্যবহার করবেন না। এতে চুলের ভীষণ ক্ষতি হয়। বর্তমানে হেয়ার ওয়েল গুলিতে মিনারেল ওয়েল থাকে, যা কিনা ক্যান্সারের কারণ। কিন্তু চুল ভাল রাখতে গেলে আপনাকে তেল এবং বাইরের ধুলো-বালি থেকে রেহাই পেতে শ্যাম্পু ব্যবহার করতেই হবে। তাই আজই বাড়িতে নিয়ে আসুন পতঞ্জলির কেশ কান্তি হেয়ার ওয়েল ও কেশ কান্তি শ্যাম্পু আর মুক্তি পান চুলের বিভিন্ন সমস্যা থেকে।

সম্পূর্ণ আয়ুর্বেদিক উপায়ে তৈরি এই পতঞ্জলি কেশ কান্তি হেয়ার ওয়েল এবং কেশ কান্তি শ্যাম্পু। এই দুটিতেই রয়েছে ব্রাহ্মি, আমলা, ভৃঙ্গরাজ, মেহেন্দি, শিকাকাই, নিম, হলদি, অ্যালো ভেরা-র মতো মোট ২১টি আয়ুর্বেদিক জরুবুটি। যা কিনা শুধুমাত্র চুলের রুক্ষভাব দূর করে চুলের উজ্জ্বল ভাবই ফিরিয়ে আনে না, চুল পড়াও রোধ করে। চুলকে করে তোলে গোড়া থেকে শক্ত ও মজবুত। ফিরিয়ে আনে চুলের প্রাকৃতিক রংও।

একবার এই তেল এবং শ্যাম্পু ব্যবহার করতে শুরু করলে, মাত্র কয়েকদিনেই আপনি পার্থক্য বুঝতে পারবেন। তা হলে আর দেরি কেন? ভাল, সুস্থ ও মজবুত চুল পেতে আজই বাড়িতে নিয়ে আসুন পতঞ্জলি কেশ কান্তি হেয়ার ওয়েল এবং কেশ কান্তি শ্যাম্পু।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE