বিয়ের আগে সব দিক ভেবে চিন্তে, দেখে শুনেই তো আমরা সিদ্ধান্ত নিই। কিন্তু তা সত্ত্বেও অনেক সময়ই বিবাহিত জীবনে এসে জোটে অবাঞ্ছিত কিছু সমস্যা। কখনও সন্তানহীনতা দূরত্ব নিয়ে আসে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে, কখনও সন্তানের থ্যালাসেমিয়ার মতো রোগ জীবনে নিয়ে আসে দুঃখের ছায়া। অথচ একটু সতর্ক থাকলে এই সব অনেক সমস্যা থেকেই দূরে থাকা সম্ভব। নিজেদের ও সন্তানের জীবন সুরক্ষিত করতে বিয়ের অগে অবশ্যই করিয়ে নিন এই ৪ স্বাস্থ্য পরীক্ষা।
এইচ আই ভি ও অন্যান্য যৌন রোগ
এইচ আই ভি, হেপাটাইটিস বি ও সি জাতীয় রোগ সারা জীবন ভোগায় এবং সঠিক সময় চিকিত্সা না করালে তা বিবাহিত জীবনে বড় সমস্যা নিয়ে আসতে পারে। তেমনই গনোরিয়া, সিফিলিস, ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজাইনোসিসের মতো যৌন রোগ আগে থেকে জানা থাকলে সংক্রমণ রোখার উপযুক্ত সাবধানতা নেওয়া যায়।
ব্লাড গ্রুপ কমপ্যাটিবিলিটি টেস্ট
বিয়ের আগে অবশ্যই দুজনের ব্লাড গ্রুপ ও কমপ্যাটিবিলিটি পরীক্ষা করিয়ে নিন। না হলে গর্ভাবস্থায় রিসাস ডিজিজের মতো সমস্যার মুখে পড়তে পারেন। এই অবস্থায় মায়ের শরীরের অ্যান্টিবডি শিশুর শরীরের রক্ত কোষ নষ্ট করে দেয়। রিসাস নেগেটিভ ব্লাড গ্রুপের কোনও মহিলা যদি রিসাস পজিটিভ কোনও পুরুষকে বিয়ে করেন তা হলে রিসাস ইনকমপ্যাটিবিলিটির ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি থাকে। ভ্রুণের যদি রিসাস পজিটিভ ব্লাড গ্রুপ হয় তা হলে গর্ভাবস্থায় শিশুর মৃত্যু, গর্ভপাতের মতো সমস্যা হতে পারে।
ফার্টিলিটি
এই পরীক্ষা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। স্ট্রেস, অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের কারণে ইনফার্টিলিটির সমস্যা বড়া আকার ধারণ করেছে। এই শারীরিক সমস্যা বিবাহিত জীবনে মানসিক, সামাজিক সমস্যা ডেকে আনে। শূন্যতা অনুভূত হয়। তাই আগে থেকে দু’জনেই ফার্টিলিটি পরীক্ষা করিয়ে নিন।
আরও পড়ুন: রূপ নয়, মহিলাদের চোখে পুরুষের গুণই প্রাধান্য পায় বেশি, বলছে সমীক্ষা
জেনেটিক বা ক্রনিক মেডিক্যাল কন্ডিশনিং পরীক্ষা
আগে থেকে পরীক্ষা করিয়ে নিলে সমস্যা বাড়ার আগে জেনেটিক রোগের নির্ণয় সহজ হয়। ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, থ্যালাসেমিয়া, কিছু ক্যানসার ও কিডনির সমস্যা লুকিয়ে থাকে জিনে। যা আগে থেকে পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া প্রয়োজন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy