কাগজকলম ছেড়ে কিবোর্ডে টাইপ করতে গোড়ায় ঠোক্কর খেতেন মণিময় দত্ত। নয়া মাধ্যমে পাঠকদের ভালবাসাই এখন তাঁর অক্সিজেন। লেখালেখির নেশায় ডুবে থাকা জীবনবিমা নিগমের অবসরপ্রাপ্ত কর্তা বলছেন, ‘‘খান কয়েক উপন্যাস বার করে এত সাড়া পাইনি। ফোনে অ্যাপ খুলে দেখছি, আমারও অন্তত ২০ হাজার পাঠক।’’ ডেনমার্কবাসী মৈত্রেয়ী কুমারও জানান, আগে ব্লগ লিখলেও অ্যাপ-ই বেশি জনপ্রিয়।
ওয়েবসাইট থেকে স্মার্টফোনের অ্যাপ এখন কয়েক কোটি ভারতীয়ের মাতৃভাষা চর্চার হাতিয়ার। শুধু বাংলা নয়, রয়েছে মরাঠি, গুজরাতি, তেলুগু-সহ ৮টি ভারতীয় ভাষা। নিজের ভাষা-সংস্কৃতির কাছে থাকতে ভরসা সেই প্রযুক্তিই। নয়া অ্যাপ-এর সিইও রঞ্জিতপ্রতাপ সিংহ বলেন ‘‘হাতে স্মার্টফোন উঠলেও সবাই ইংরেজিতে সড়গড় নয়। এটা বুঝেই কিছু করতে চেয়েছিলাম।’’ খবর পড়া, ডায়েট ঠিক করা, দরকারি ডাক্তারি পরামর্শ নেওয়া থেকে শুরু করে নানা খুঁটিনাটিতেই ভরসা মোবাইল অ্যাপ। শুধু ইংরেজি নয় আঞ্চলিক ভাষাচর্চাতেও এখন সেই অ্যাপেরই জয়জয়কার।
এই অ্যাপটির বিষয়ে যাঁরা ওয়াকিবহাল তাঁরা বলছেন, ইনস্টল করে লেখক বা পাঠক যে ভাবে খুশি ঢুকে পড়া যায়। তবে অ্যাপের পেজে কোন লেখক পুরোভাগে থাকবেন, তা নির্ভর করছে পাঠকমহলে তাঁর জনপ্রিয়তার ভিত্তিতে। গল্প, প্রবন্ধ, রম্য লেখা, কবিতায় শুধু বাংলাতেই এখন ১১০০ লেখকের ভিড়।
তবে নেটদুনিয়ায় লেখালেখির সুযোগ বাড়লেও লেখা চুরির ভয়ে বহু লেখকই তটস্থ থাকেন। এই সমস্যার মুশকিল আসানেও রক্ষাকবচ থাকছে এই অ্যাপটিতে। অ্যাপ-টির বাংলা ভাষার দায়িত্বে থাকা মৌমিতা দত্তের কথায়, ‘‘লেখা কপি করার সুযোগই নেই। অন্যের লেখা পরে নিজের নামে চালানোর কুমতলব হাসিল করা সহজ হবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy