Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
Diabetes

ডায়াবিটিসে ভুগছেন, দেখিয়ে নিন চোখও

রক্তে শর্করা বেড়ে গেলে, মানে, ডায়াবিটিস হলে শরীরে নানা অংশের ক্ষতি হতে পারে। এতে আক্রান্ত হতে পারে চোখ, বিশেষ করে রেটিনাও। আক্রান্ত হলে চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে। তবে আগেই ডায়াবিটিস সামলে ফেললে ক্ষতির আশঙ্কা কমে। জানাচ্ছেন চক্ষু বিশেষজ্ঞ অনিতা চট্টোপাধ্যায়। সাক্ষাৎকার: অর্পিতা মজুমদার।রক্তে শর্করা বেড়ে গেলে, মানে, ডায়াবিটিস হলে শরীরে নানা অংশের ক্ষতি হতে পারে। এতে আক্রান্ত হতে পারে চোখ, বিশেষ করে রেটিনাও। আক্রান্ত হলে চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে। তবে আগেই ডায়াবিটিস সামলে ফেললে ক্ষতির আশঙ্কা কমে। জানাচ্ছেন চক্ষু বিশেষজ্ঞ অনিতা চট্টোপাধ্যায়। সাক্ষাৎকার: অর্পিতা মজুমদার।

ডায়াবিটিস থাকলে চোখ নিয়ে সতর্ক থাকুন। ছবি: বিশ্বনাথ মশান

ডায়াবিটিস থাকলে চোখ নিয়ে সতর্ক থাকুন। ছবি: বিশ্বনাথ মশান

শেষ আপডেট: ২৪ মে ২০১৮ ০২:৪৯
Share: Save:

প্রশ্ন: ডায়াবিটিস বা রক্তে অতিরিক্ত শর্করার সঙ্গে চোখের কোনও অসুখের সম্পর্ক রয়েছে কি?

উত্তর: আগে জেনে নেওয়া দরকার ডায়াবিটিস রোগটি কী। স্বাভাবিকের চেয়ে রক্তে বেশি শর্করা বা সুগার থাকলে তাকে বলা হয় ডায়াবিটিস মেলাইটাস বা সংক্ষেপে ডায়াবিটিস। বাংলায় এই রোগকেই মধুমেহ বলা হয়। এই রোগের সঙ্গে চোখের অসুখের অবশ্যই সম্পর্ক রয়েছে।

প্রশ্ন: আমাদের দেশে ডায়াবিটিস রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কতটা?

উত্তর: আমাদের দেশে অন্তত ১০ শতাংশ মানুষ এই রোগের শিকার। ভারতের জনসংখ্যা ১০০ কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছে অনেক দিন আগেই। তাই বুঝতেই পারছেন, ভারতেই এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বিশাল। তাই ভারতবর্ষকে বলা হয় বিশ্ব ডায়াবিটিসের রাজধানী। বিশেষজ্ঞেরা আশঙ্কা করছেন, আগামী দিনে এর প্রাদুর্ভাব আরও বাড়বে। ভারতে এই রোগটি এত বেড়ে যাওয়ার মূল কারণ, আধুনিক জীবনযাত্রার প্রণালী, উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার খাওয়া এবং নিয়মিত ব্যায়াম না করা।

প্রশ্ন: এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আর কোনও কারণ আছে কি?

উত্তর: এই রোগ নিয়ে নানা গবেষণা হয়েছে। সেই গবেষণায় প্রধানত উপরের কারণগুলিকে ডায়াবিটিস বেড়ে যাওয়ার জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে। পাশাপাশি গবেষণায় দেখা যাচ্ছে এই রোগের পিছনে কিছুটা জিনগত প্রভাবও আছে। বিশেষ করে ভারতবাসীদের উপরে গবেষণা করে দেখা গিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যে প্রবাসী ভারতীয়রা থাকেন তাঁদের মধ্যেও এই রোগের প্রবণতা বা প্রকোপ বেশি মাত্রায় দেখা যায়। অর্থাৎ এর পিছনে জিনের ভূমিকা অস্বীকার করা যায় না।

প্রশ্ন: ডায়াবিটিসের ফলে শরীরের কোন কোন অংশ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়?

উত্তর: ডায়াবিটিস সারা শরীরে প্রভাব ফেলে। এর ফলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আগেই বলেছি এর মধ্যে চোখও পড়ে। চোখের রেটিনা, হার্ট, কিডনি, ধমনি, শিরা, উপশিরা, নার্ভ ইত্যাদি বিভিন্ন ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

প্রশ্ন: ডায়াবিটিসের কোনও প্রকারভেদ আছে?

উত্তর: ডায়াবিটিস প্রধানত দুই প্রকারের। টাইপ ওয়ান এবং টাইপ টু। এ ছাড়াও আরও বেশ কয়েক প্রকারের হয়ে থাকে।

প্রশ্ন: টাইপ ওয়ান ডায়াবিটিস কী?

উত্তর: টাইপ ওয়ান ডায়াবিটিস প্রধানত কম বয়সীদের হয়। বিভিন্ন কারণে অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন নামক হরমোনটি নির্গত হয় না। এই অবস্থায় ইনসুলিনের অভাব পূরণে ইঞ্জেকশন দেওয়া ছাড়া কোনও উপায় থাকে না। মোটামুটিভাবে সব ডায়াবিটিস রোগীদের মধ্যে ১০ শতাংশ রোগী এই ধরনের ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হন।

প্রশ্ন: আর টাইপ টু ডায়াবিটিস কী?

উত্তর: এই ধরনের ডায়াবিটিস সব চেয়ে বেশি হয়। ভারতেও টাইপ টু ডায়াবিটিসে বেশি সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হন। মধ্যবয়স্ক, উচ্চতার তুলনায় ওজন বেশি, প্রধানত পরিশ্রম বিমুখ জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত মানুষ এই রোগের শিকার হন। তবে আগেও বলেছি বংশানুক্রমিক ইতিহাস এবং জিনগত প্রভাবও এই রোগের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে থাকে।

প্রশ্ন: এ বার চোখের উপরে ডায়াবিটিসের প্রভাব সম্পর্কে যদি বিশদে বলেন?

উত্তর: চোখের নানা অংশে ডায়াবিটিস প্রভাব ফেলতে পারে। তবে চোখের ভিতরে রেটিনায় এই রোগের প্রভাব গুরুতর। রেটিনা হল চোখের সবচেয়ে ভিতরের অংশ। এটি খুব সূক্ষ্ম এবং লালচে রঙের হয়। এটিই আসলে দৃষ্টি-চেতনা সংবেদনকারী এক পর্দা। তার মাঝে থাকে ম্যাকুলা ল্যুটিয়া যা সূক্ষ্ম দৃষ্টি- চেতনার অংশ এবং অপটিক নার্ভ যা মস্তিষ্কের মূল দৃষ্টি-চেতনা বহনকারী নার্ভ তার সূচনা হয় এখান থেকে। রেটিনার বাইরের অংশে নিজের রক্ত সরবরাহ নেই। কিন্তু ভিতরের অংশে নিজের রক্ত সরবরাহের ব্যবস্থা আছে। আশঙ্কার কথা হল, টাইপ ওয়ান এবং টাইপ টু—দুই ধরনের ডায়াবিটিসেই রেটিনার উপর খারাপ প্রভাব পড়ে।

প্রশ্ন: সাধারণ ভাবে ডায়াবিটিসে রেটিনা আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কতটা?

উত্তর: চিকিত্সা শাস্ত্রের উন্নতি হওয়ার জন্য এখন আমাদের দেশে মানুষের বেঁচে থাকার গড় বয়স প্রায় ৭০ বছর। এর ফলে ডায়াবিটিসে রেটিনা আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাও বেড়ে যাচ্ছে। কারণ, কত দিন ধরে এক জন ডায়াবিটিসে কষ্ট পাচ্ছেন মূলত তার উপর রেটিনা আক্রান্ত হওয়ার হার নির্ভর করে। একটু সোজা করে বললে, যত বেশি দিন ধরে কেউ ডায়াবিটিসে ভুগবেন এই রোগের প্রভাবে ততই তাঁর চোখের রেটিনা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যাবে।

প্রশ্ন: ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হওয়ার কত দিনের মধ্যে সাধারণত রেটিনায় প্রভাব পড়ে?

উত্তর: ডায়াবিটিস আক্রান্ত হওয়ার দশ বছর পরে প্রায় ২০ শতাংশ টাইপ ওয়ান রোগী এবং ২৫ শতাংশ টাইপ টু রোগী রেটিনার অসুখে ভুগতে শুরু করেন। একই ভাবে কুড়ি বছর পরে ৯০ শতাংশ টাইপ ওয়ান ও ৬০ শতাংশ টাইপ টু রোগী এবং তিরিশ বছর পরে দুই ধরনের ডায়াবিটিসেরই প্রায় ৯৫ শতাংশ রোগী রেটিনার অসুখে আক্রান্ত হন। ১২ বছর বয়সের পর যত কম বয়সে ডায়াবিটিস হবে রেটিনা আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা তত বেশি। রক্তের সুগারের পরিমাণ ঠিক রাখা নিঃসন্দেহে জরুরি। কিন্তু অসুখটি কত দিন আছে সেটি খুব বড় কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এ ছাড়া অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় উচ্চ রক্তচাপ, ধূমপান, উচ্চতার তুলনায় বেশি ওজন, রক্তাল্পতা, রক্তে বেশি কোলেস্টেরল থাকলে বা কিডনি ঠিক মতো কাজ না করলে রেটিনা খারাপ হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে।

প্রশ্ন: কী ভাবে ডায়াবিটিস রেটিনার ক্ষতি করে?

উত্তর: এই নিয়ে নানা গবেষণা হয়েছে। তবে এত গবেষণার পরেও এখন পর্যন্ত রেটিনা খারাপ হওয়ার ঠিক কারণটি জানা যায়নি। খুব সহজ ও সংক্ষেপে বলা যায়, রক্তে বেশি শর্করার ফলে রেটিনা ও রক্ত নালিকার কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর ফলে রক্তের তরল অংশ রক্তবাহী নালি থেকে বেরিয়ে রেটিনার স্তরে জমা হয়। রেটিনা ফুলে ওঠে। রক্তনালিগুলিও ফুলে ওঠে। রক্তের থেকে স্নেহ পদার্থ বেরিয়ে জমা হয় রেটিনার মধ্যে এবং তা শক্ত হয়ে ফুলে ওঠে। এর ফলে, রেটিনার নিজের পুষ্টির অভাব হয়। আর একটি গুরুত্বপূর্ণ অস্বাভাবিক অবস্থা তৈরি হয় যখন নতুন এবং অতি সূক্ষ্ম রক্তজালিকা রেটিনার মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে রেটিনার বিকল্প পুষ্টির জন্য। কিন্তু এই নতুন জালিকাগুলি খুব ভঙ্গুর এবং সহজেই রক্তক্ষরণ ও থ্রম্বোসিস হয়ে রেটিনার স্বাভাবিক কাজ ব্যাহত হয়। রেটিনাকে অস্বচ্ছ করে তোলে। এর ফলে প্রথমে দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যায় এবং ধীরে ধীরে দৃষ্টি খুব কমে যায়।

প্রশ্ন: রেটিনা আক্রান্ত হওয়ার কোনও প্রকারভেদ আছে?

উত্তর: চিকিত্সাশাস্ত্রে ডায়াবিটিস জনিত রেটিনার অসুখকে ‘ডায়াবিটিক রেটিনোপ্যাথি’ বলে। এই রেটিনোপ্যাথি বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। চক্ষু বিশেষজ্ঞেরা এর প্রকারভেদ ঠিক করে চিকিত্সা করেন। তবে সাধারণ ভাবে বলা যায়, ডায়াবিটিক রেটিনোপ্যাথি মূলত তিন ধরনের হয়ে থাকে— নন প্রোলিফারেটিভ, প্রোলিফারেটিভ ও ডায়াবিটিক ম্যাকুলোপ্যাথি। এ ছাড়াও আরও অনেক ভাবে এটি জানান দেয়। যেমন, ক্লিনিক্যালি সিগনিফিক্যান্ট ম্যাকুলার ইডিমা। এতে রেটিনা ফুলে উঠে মোটা হয়ে যায়। মূলত দৃষ্টির স্থানে রক্ত থেকে ক্ষরিত শক্ত পদার্থ জমা হয়ে ফুলে ওঠে। এই সব পরিস্থিতির ফলে অনেক সময় রেটিনায় টান পড়ে। তার ফলে রেটিনার ভিট্রিয়াসে রক্তক্ষরণ হয় ও টানজনিত কারণে রেটিনা বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে।

প্রশ্ন: এর থেকে বাঁচার উপায় কী?

উত্তর: প্রথমেই চিকিৎসা শাস্ত্রের সেই চিরপরিচিত কথাটি স্মরণ করিয়ে দিতে চাই— ‘প্রিভেনশন ইজ বেটার দ্যান কিওর’ অর্থাৎ, প্রতিকার আরোগ্যের থেকে ভাল। তবে আমি আরও একটু বাড়িয়ে বলতে চাই, ডায়াবিটিস আটকাতে পারলে এর চিকিৎসার পিছনে খরচও হবে না। গাঁটের কড়ি কম খরচ হবে। এর জন্য নিয়মিত কিছু রক্ত পরীক্ষা করাতে হবে। রক্তের শর্করা, কোলেস্টেরলের মাত্রা, হিমোগ্লোবিন, ইউরিয়া, ক্রিয়েটিনিন, হিমোগ্লোবিন-এ ১ সি, প্রস্রাবের বিভিন্ন পরীক্ষা, নিয়মিত চোখ পরীক্ষা করানো দরকার। চোখের ক্ষেত্রে রেটিনার পরীক্ষার উপরে জোর দিতে হবে।

প্রশ্ন: রোগ ধরা পড়ার কত দিনের মধ্যে পরীক্ষা শুরু করতে হবে?

উত্তর: টাইপ ওয়ান ডায়াবিটিসের ক্ষেত্রে রোগ ধরা পড়ার তিন বছর পর থেকে এবং টাইপ টু ডায়াবিটিসের ক্ষেত্রে রোগ নির্ণয়ের সময় থেকেই রেটিনা পরীক্ষা করাতে হবে। যদি রেটিনোপ্যাথি না থাকে তবে প্রতি বছর, আর যদি থেকে থাকে তা হলে চক্ষু বিশেষজ্ঞ যেমন বলবেন তেমন দেখাতে হবে। রেটিনোপ্যাথির পর্যায় অনুযায়ী সেটা তিন মাস বা ছয় মাস অন্তর হতে পারে। এ ক্ষেত্রে খাদ্যাভাসের দিকে নজর দিতে হবে। ঠিক খাবার খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যে সব খাবারের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি অর্থাৎ যে সব খাবার খুব তাড়াতাড়ি রক্তে শর্করা বাড়িয়ে দেয় এমন খাবার খাওয়া যাবে না। যেমন, পাকা আম, কাঁঠাল, কিসমিস, আঙুর, পাকা কলা ইত্যাদি বর্জন করতে হবে।

প্রশ্ন: দিনের খাবারের মেনুতে কী রাখা যাবে আর কী রাখা যাবে না?

উত্তর: তেলে ভাজা খাবার, যেমন লুচি, পরোটা বন্ধ করতে হবে। যতই ভাল লাগুক চাউমিন খাওয়া বন্ধ করতে হবে। ভাত কম খেয়ে রুটি বেশি খেতে হবে। শুঁটি জাতীয় খাবার যেমন, রাজমা, রমা কলাই, অঙ্কুরিত ছোলা, গোটা মুগ, সয়াবিন খেতে হবে। মাশরুমও খেতে পারেন। খুব সহজ হিসেব হচ্ছে, যতটা ভাত বা রুটি খাবেন তার দ্বিগুণ সবজি খাবেন। তবে শুধু নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভাস গড়ে তুললেই হবে না। সঙ্গে অবশ্যই নিয়মিত ব্যায়াম ও হাঁটার মাধ্যমে শরীরকে সচল করে তুলতে হবে। সম্ভব হলে সাঁতার কাটতে হবে। যদি সঙ্গে রক্তচাপ বেশি থাকে, রক্তাল্পতা থাকে বা কিডনি ঠিক মতো কাজ না করে তা হলে চিকিত্সা করাতে হবে। আগে কেবল ‘লেজার’ দিয়েই চিকিত্সা হত। এখন কিছু ইঞ্জেকশন পাওয়া যাচ্ছে রেটিনার ভিতরে দেওয়ার জন্য। এই ইঞ্জেকশনগুলি অস্বাভাবিক রক্তজালিকা গঠন প্রতিরোধ করে। ইঞ্জেকশনের ফলে দৃষ্টিশক্তি অনেক ক্ষেত্রেই ভাল হচ্ছে। নিকট ভবিষ্যতে আরও উন্নত মানের চিকিত্সার সুযোগ আসছে। আশা করা যায়, আগামী দিনে ডায়াবিটিক রেটিনোপ্যাথির রোগীরা অনেক ভাল দৃষ্টিশক্তির অধিকারী হবেন।

প্রশ্ন: রোগীদের উদ্দেশে কোনও বিশেষ পরামর্শ?

উত্তর: সতর্ক থাকতে হবে প্রথম থেকে। রোগ হলে চিকিৎসা করা যাবে না ভেবে রোগ যাতে না হয় সে দিকে নজর দিতে হবে। মূল কথা হল, অলসতা ছেড়ে তথাকথিত ফাস্টফুড পরিহার করে আমাদের ফেলে আসা গ্রামীণ জীবনের খাওয়াদাওয়া ও জীবনযাত্রায় ফিরে যেতে পারলে ডায়াবিটিস থেকে দূরে থাকা যাবে।

সাক্ষাৎকার: অর্পিতা মজুমদার

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

diabetes Doctor
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE