শীতের দুপুরে সমুদ্রের ধার, আর ‘সান বেড’-এ গা এলিয়ে সান বাথ, সমুদ্রেপ্রেমীদের কাছে এই পুরো ব্যপারটাই বেশ উপভোগ্য। কিন্তু যাঁরা সমুদ্র সৈকতে সান বাথ উপভোগ করতে পারেন না, বিকল্প হিসাবে অনেক সময়ই তাঁরা বেছে নেন ইনডোর ট্যানিং সেশনের।
ত্বক ট্যান করতে যাঁরা ফি-বছর কৃত্রিম ‘রৌদ্র’ স্নানে গা পোড়াতে ভালবাসেন, তাঁরা একবার ভাবুন। সম্প্রতি ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যানসার জানাচ্ছে, ইনডোর ট্যানিং শরীরে ‘কারসিনোজেনিক’ পদার্থ তৈরি করে।
আর এই ‘কারসিনোজেনিক’ পদার্থই শরীরে মেলানোমা’র সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই মেলানোমাই ত্বক ক্যানসারের সবক’টি ভাগের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ। গত এক দশকে সারা পৃথিবীতে উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে মেলানোমার হার।
ছুটির দিনে সমুদ্র সৈকতে রৌদ্র স্নান পশ্চিমী দুনিয়ায় বেশ জনপ্রিয়। অতটা বেশি না হলেও প্রাচ্যেও এর চল রয়েছে। তবে সমুদ্রের ধারে সান বাথের পাশাপাশি পশ্চিমে জনপ্রিয় হচ্ছে ইনডোর ট্যানিং সেশনও। ঠিক কী হয় এই সেশনে? সমুদ্রে যাওয়ার তেমন সুবিধা না থাকলে ট্যানিং সেশনের মাধ্যমে ঘরে বসেই পাওয়া সম্ভব টোনড স্কিন। প্রাকৃতিক সূর্যের রশ্মিতে থাকে তিন ধরনের অতি বেগুনি রশ্মি। ইউভি-এ, ইউভি-বি এবং ইউভি-সি। তবে ইনডোর ট্যানিং সেশনে মেশিনের মাধ্যমে ত্বক ট্যান করতে ব্যবহার করা হয় শুধুমাত্র ইউভি-এ এবং ইউভি-বি।
ওসলো বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সমীক্ষা জানাচ্ছে, কমবয়সী মহিলাদের মধ্যে এই ধরনের কৃত্রিম ‘সান বাথ’ বেশি জনপ্রিয়। যাঁরা অন্তত ৩০ বা তাঁর বেশি বার এই ইনডোর ট্যানিং সেশন নিয়েছেন তাঁদের ক্ষেত্রে ‘মেলানোমা’-র সম্ভাবনা ৩২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা আরও জানাচ্ছেন, কৃত্রিম এই সানবেড প্রাকৃতিক সূর্যরশ্মির তুলনায় ছয় শতাংশ বেশি ইউভি-এ এবং দুই শতাংশ বেশি ইউভি-বি রশ্মি নির্গত হয়। ফলে ত্বক ক্যানসারের প্রবণতা থাকে অনেক বেশি।
আরও পড়ুন: ভাল ঘুম, সেক্স, মুড চান? উপোস করুন
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy