ছবি: সংগৃহীত।
ডায়েট শুরু করলে প্রথমেই খাদ্য তালিকা থেকে বাদ পড়ে যায় বেশ কিছু খাবার। মিষ্টি, চিপস, প্রসেসড ফুড, কার্বোনেটেড ড্রিঙ্কের পাশাপাশি এই তালিকায় একেবারে উপরের দিকেই থাকে পিজা, পাস্তার নাম। নতুন এক গবেষণা আশ্বস্ত করছে, এই খাবারগুলো অত বড় ভিলেনও নয়। ডায়েটে পিজা, পাস্তা রেখেও রোগা থাকা সম্ভব।
পর্তুগালের এক দল গবেষকের মতে, সারা সপ্তাহ ধরে কঠোর নিয়ম মেনে চলার বদলে সপ্তাহে এক দিন চিট মিল তাড়াতাড়ি রোগা হতে সাহায্য করতে পারে। এই গবেষণার জন্য গবেষকরা অংশগ্রহণকারীদের দুই দলে ভাগ করেন। এক দলকে সারা সপ্তাহ কঠোর ডায়েটের মধ্যে রাখা হয়। অন্য দলকে সপ্তাহে এক দিন পিজা, পাস্তা, নুডলস, আইস ক্রিমের মতো খাবার দেওয়া হয়। গবেষণার পর দেখা যায়, যারা সপ্তাহে এক দিন চিট মিল খেয়েছেন তারা জীবনকে অনেক বেশি উপভোগ করেন, খুশি থাকেন। যা তাদের বাকি দিনগুলো রুটিন মেনে চলতে উদ্বুদ্ধ করে। অন্য দিকে যারা চিট মিল খাননি তারা অল্প দিনেই ডায়েট রুটিনে উত্সাহ হারিয়ে ফেলেছেন।
আরও পড়ুন: ডিম আমিষ না নিরামিষ? উত্তর দিচ্ছেন বিজ্ঞানীরা
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এই ফর্মুলা খুব সহজ নিয়ম মেনে চলে। যদি প্রথম থেকেই জানেন সপ্তাহে এক দিন ডোনাট খেতে পারবেন, তা হলে যখনই ডোনাট দেখবেন তখনই মন ভাল হয়ে উঠবে। কিন্তু যদি ডোনাট বা মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া সম্পূর্ণ বারণ হয় তা হলে সেই সব খাবার দেখলেই মন খারাপ হয়ে যায়। তখনই আমরা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলি। প্রতি দিন সকালে ওটস, দুপুরে রুটি, তরকারি, বিকেলে ফল ও রাতে স্যুপ, গ্রিলড ভেজিটেবল খেতে খেতে একঘেয়ে লাগা খুব স্বাভাবিক।
আরও পড়ুন: ওজন কমাতে সাহায্য করে সোশ্যাল মিডিয়া, বলছেন বিজ্ঞানীরা
চিট মিলকে আবার অনেকেই বিঞ্জ ইটিংয়ের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলেন। বিঞ্জ ইটিংয়ের অর্থ হল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক সঙ্গে অনেকটা খেয়ে ফেলা। অন্য দিকে চিট মিল মানে নিয়ন্ত্রণে থেকে এই সব খাবার উপভোগ করা। চিট মিলের উদ্দেশ্য হল মস্তষ্কে হ্যাপি হরমোনের ক্ষরণ ঘটানো। কারণ কর্টিসোল বা স্ট্রেস হরমোনের প্রভাবে শুধুই ওজন বাড়ে। আবার চিট মিল ডায়েটের বোরিং রুটিন ভাঙতেও সাহায্য করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy