প্রতীকী ছবি।
কখনও বড় কোনও সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়েছেন? হননি হয়তো। আর তাই ভেবে নিয়েছেন আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্দান্ত। নিয়মিত বার্গার, পিৎজা, ফাস্ট ফুড— যা খুশি খেয়েও আপনি দারুণ সুস্থ। তা হলে জেনে রাখুন, এই ধরনের খাবার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ততটাই কমিয়ে দিতে পারে, ঠিক যতটা কমিয়ে দেয় বড় কোনও সংক্রমণ। এমনটাই বলছেন জার্মানির বন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা।
এই গবেষণার জন্য ইঁদুরদের টানা এক মাস ‘ওয়েস্টার্ন ডায়েট’ দেওয়া হয়। যে ডায়েটে থাকে শুধুই হাই স্যাচুরেটেড ফ্যাট, চিনি, নুনযুক্ত খাবার। সম্পূর্ণ বাদ দেওয়া হয় তাজা ফল, সব্জি ও ফাইবার। যাতে শরীরে রোগ প্রতিরোধকারী কোষ না বাড়তে পারে। যে কোনও মাইক্রোবিয়াল ইনফেকশনের ক্ষেত্রে শরীরের যে অবস্থা হয়ে থাকে।
এই বিষয়ে বন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক অ্যানেট ক্রিস্ট জানিয়েছেন, এই অস্বাস্থ্যকর ডায়েট ইঁদুরদের শরীরে গ্রানুলোসাইট ও মোনোসাইট শ্বেতকণিকার বৃদ্ধি ঘটায়। ঠিক এক মাস পর যখন ইঁদুরদের তাদের নিয়মিত ডায়েটে ফিরিয়ে আনা হয়, দেখা যায়, রোগ প্রতিরোধক কোষের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া সত্ত্বেও তারা যে কোনও সংক্রমণের প্রতি অনেক বেশি স্পর্শকাতর হয়ে পড়েছে। এবং ভবিষ্যতে টাইপ টু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়েছে। সাধারণত কোনও বড় সংক্রমণের পর আমাদের শরীরে এই ধরনের সমস্যা হয়। গবেষকেরা জানাচ্ছেন, ফাস্ট ফুড ডায়েটে দীর্ঘ দিন থাকলেও আমাদের শরীর ঠিক একই ভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়।
আরও পড়ুন: কোন প্রোটিন ওজন কমানোর জন্য সবচেয়ে কার্যকর?
এই গবেষণায় ইঁদুরদের রোগ প্রতিরোধক কোষে ‘ফাস্ট ফুড সেন্সর’-এর উপস্থিতিও লক্ষ্য করেছেন গবেষকরা। যেই সিগন্যালিং সিস্টেমের তাঁরা নাম দিয়েছেন এনএলআরপি ৩। যদিও ঠিক কী ভাবে এই সিস্টেম কাজ করে সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা কিছু জানাননি।
আরও পড়ুন: আধুনিক লাইফস্টাইলে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ড্যাশ ডায়েট
এই গবেষণার অন্য এক গবেষক ইকি লাতজ জানান, আমাদের শরীরে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হলে যে ক্ষতি হয়, সংক্রমণ কমে যাওয়ার পর যদি আমরা শরীরের যত্ন না নিই, ক্রমাগত ফাস্ট ফুড খেতে থাকি, এক্সারসাইজ না করি, তা হলে শরীর কোনও দিনই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ফিরে পাবে না। তাই এই হেলদি ফুড হ্যাবিট বা স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার ক্ষেত্রে এই গবেষণা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
‘এই ধরনের খবর আপনার ইনবক্সে সরাসরি পেতে এখানে ক্লিক করুন’
এই গবেষণার ফল সেল জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy