খাবারের পাতে দই, আচার খাওয়া ভারতীয়দের ঐতিহ্য। ভাত, ডাল, পাঁপড় ভাজার সঙ্গেই হোক বা রুটি তরকারির সঙ্গে, আচার সব সময়ই খাবারের স্বাদ বাড়ায়। সেলিব্রিটি ডায়টিশিয়ান রুজুতা দিবেকর জানাচ্ছেন, শুধু স্বাদ নয়, খাবারের সঙ্গে আচার খাওয়ার রয়েছে পুষ্টিগুণও।
ভাবছেন কী ভাবে সম্ভব? আচার মানেই তো তেলে-ঝালে এক মুখরোচক খাবার। সেই সঙ্গে নুনও বেশি থাকে। রোগা হতে চাইলে এই খাবার সবচেয়ে আগে রান্নাঘর থেকে সরিয়ে ফেলা জরুরি। এ দিকে করিনা কপূরের সঙ্গে ফেসবুক লাইভ চ্যাটে তাঁর ডায়েটিশিয়ান রুজুতা বলছেন, ‘‘খাবারের সঙ্গে দই, আচার, ছাঁচ খাওয়া ছেড়ে দিলে চলবে না।’’
রুজুতার মতে, বেশির ভাগ আচার তৈরি করতে যেহেতু আঁচে বসানোর প্রয়োজন হয় না, তাই সব্জির পুষ্টিগুণ পুরোমাত্রায় বজায় থাকে। আবার আচার তৈরিতে ব্যবহৃত ভিনিগার হজমেও সাহায্য করে। দোকান থেকে কেনা আচারে তেল বেশি থাকলেও বাড়িতে আচার বানানোর সময় তেল, মশলার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে করতে পারবেন। যে মরসুমেই টাটকা, সব্জি ব্যবহার করে বাড়িতে বানিয়ে রাখতে পারেন আচার।
আজকাল ব্যস্ত সময়ে অনেকেই আচার বানানো ঝক্কি মনে করেন। অথচ বেশ সহজেই বানিয়ে ফেলা যায় আচার। আগে শীতকালে জল, লেবু দিয়েই বাড়িতে বানানো থাকত টক, মিষ্টি স্বাদের দারুণ আচার। গাজর, অন্যান্য সব্জি, টাটকা রসুন, গোটা সর্ষে, কালো জিরে দিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন সুস্বাদু আচার। সহজে বানানো যায় লেবুর আচারও।
কী ভাবে বানাবেন
লেবু প্রেশার কুকারে জল সিদ্ধ করুন। যতক্ষণ না লেবুর খোসা নরম হচ্ছে। এ বার টুকরো করে কেটে লেবুর রস, নুন, হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। নুন জারানো লেবুর মধ্যে চিনি দিয়ে নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না গলে যাচ্ছে। সব শেষে লঙ্কা গুঁড়ো মেশান। কাচের বোতলে ভরে রেখে দিন।
আরও পড়ুন: আলু, শশা, টোম্যাটো বেশি খেলে কিন্তু বিপদ হতে পারে
এই আচার হয়তো কেনা আচারের মতো অত দিন রেখে খেতে পারবেন না। কিন্তু লেবুর আচার যেমন পুষ্টিকর, তেমনই গরমে হজমেও সাহায্য করবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy