Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

গ্যাস ছেড়ে ইন্ডাকশন, উৎসবে রান্নায় সময় বাঁচান

উৎসবের মরশুম চলছে। রান্নার গ্যাস যোগাড় করতে অনেক হ্যাপা। আমরা যারা একা অথবা ছোট্ট পরিবার নিয়ে বাইরে থাকি, তাদের কাছে ইন্ডাকশন কুকার যে কী প্রয়োজনীয়, তারাই বুঝি। সবচেয়ে বড় কথা, একদম তাপ নষ্ট হয় না।

স্বপন দাস
শেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০১৭ ১৯:১৯
Share: Save:

১৯০০ সালের আগে থেকেই পরীক্ষা চলছিল। ১৯০৯ সালে প্রথম পেটেন্ট পাওয়ার লক্ষ্য পূরণ হল,আমাদের রান্নাঘরে ঢুকে পড়ল ইন্ডাকশন। তবে লোকচক্ষুর সামনে এল ১৯৫০ সালে। উত্তর আমেরিকায়। গবেষকরা দেখেছেন, সেই সময়ের প্রকাশিত একটি ছবিতে, একটি কেটলি একটি ওভেনের ওপর বসানো আছে। কিছু একটা গরম করা হচ্ছে। আর কেটলির তলায় কাগজ দিয়ে সেই ওভেনের ওপর বসানো হয়েছে। কাগজটা পুড়ছে না। ছবিটাতেই মাথা ঘুরিয়ে দেয় সবার। ষাটের দশকে আমাদের একেবারে ঘরের ভিতরে চলে এল এই ইন্ডাকশন কুকার।

উৎসবের মরশুম চলছে। রান্নার গ্যাস যোগাড় করতে অনেক হ্যাপা। আমরা যারা একা অথবা ছোট্ট পরিবার নিয়ে বাইরে থাকি, তাদের কাছে ইন্ডাকশন কুকার যে কী প্রয়োজনীয়, তারাই বুঝি। সবচেয়ে বড় কথা, একদম তাপ নষ্ট হয় না। বিদ্যুৎ থাকলেই হল। কোথাও ছোটাছুটির দরকারও নেই। খুব অল্প সময়ে গরম হয় সব কিছু। তুলনা করে দেখা গিয়েছে এটি ব্যবহারে যে বিদ্যুৎ খরচ হয়, তা গ্যাস বা বিদ্যুতে চলা অন্য ওভেনের থেকে অনেক কম।

বেশ কয়েক বছর ধরেই ইন্ডাকশন কুকারের বিক্রি বেড়েছে। এমনটাই দাবি বিক্রেতাদের, বিশেষ করে গ্যাসের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে। এ বার দেখি কী সাইজের ইন্ডাকশন কিনব। সাধারণত ৬০ সেমি সাইজের কিনে থাকি, তবে একটু বড় পরিবার বা একটু বড় রান্নার বাসন বসাবার জন্য ৭০ থেকে ৭৫ সেমি সাইজের কেনা ভাল।

কী কী দেখে নেব?

১। সেফটি সেন্সর আছে কি না। এটা আমাদের রান্নার বাসনকে রক্ষা করে। কী ভাবে? আমরা ভুল করে বাসন বসিয়ে ইন্ডাকশন চালিয়ে ভুলে গেলে এই সেন্সর নিজে থেকে বন্ধ হয়ে যাবে।

২। অটো সুইচ অফ সুবিধা।

৩। অটো হিট আপ।

৪। বুস্টার (অটো হিট আপের একটি অংশ)।

৫। রান্নার সময় বাসনে থাকা জিনিস উপচে পড়লে অটো অফ হয় কি না।

৬। কতটা বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে।

৭। প্যান ডিটেকশন: কুকারে বাসন বসানো না থাকলে কুকার চালু হবে না।

৮। চাইল্ড লক আছে কি না।

৯। ডিজিটাল কন্ট্রোল ব্যবস্থা আছে কি না।

১০। নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা সহজ কি না।

১১। ইন্ডিকেটর লাইট আছে কি না, যেটা থেকে বুঝতে পারা যাবে গরম হচ্ছে কি না, আর কতটা গরমের মাত্রা।

গ্যাসের ব্যবহারের থেকে ইন্ডাকশনে কি বেশি সুবিধা পাব? এই প্রশ্ন থাকেই।

উত্তর অনেক আছে। তবে একটাই কথা বলা যায়, জল গরম করে পরীক্ষা করবেন। সাধারণ গ্যাসে ২ লিটার জল গরম করতে (পুরো আঁচে) যদি লাগে ৮ মিনিট, ইন্ডাকশনে লাগবে অর্ধেকের কম।

এ বার আসি বাজারের কিছু পরিচিত পোর্টেবল (এটাই আমরা সাধারণত ব্যবহার করে থাকি) ইন্ডাকশন কুকারের কথায়।

ফিলিপস ইন্ডাকশন এইচ ডি ৪৯৩৮– ২১০০ ওয়াট। এটির বৈশিষ্ট্য ১৫টি সেন্সর কি সমেত চালু হতে সময় নেয় মাত্র ১৫ সেকেন্ড। এই ১৫টি কি-র মধ্যে ১০টি ভারতীয় রান্নার জন্য নানা ফিচার সমৃদ্ধ।

প্রেস্টিজ পি আই সি ৬.০ ভি ২-২০০০ ওয়াট: এটির অ্যান্টি ম্যাগনেটিক ওয়াল আমাদের শরীরে কুকটপ থেকে বেরনো ম্যাগনেটিক ওয়েভকে ঢুকতে দেয় না।

কেন্সটার কিচেন কিং ১৯০০ ওয়াট: সব ফিচারের সঙ্গে অতিরিক্ত পাওনা, কুকটপের ওপর থাকা অ্যান্টি ম্যাগনেটিক গ্লাস প্লেট। যার কারণে রান্নার পর পরিষ্কারের সুবিধা হয়।

মরফি রিচার্ডস শেফ এক্সপ্রেস ৮০০–২০০০ ওয়াট, বাজাজ ম্যাজেস্টি আই সি এক্স ৩– ১৪০০ ওয়াট ইন্ডাকশন কুকারগুলিও দেখতে পারেন।

বাজেট শুরু করুন ১৮০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ যত দূর এগোবেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Induction Cooker Gadgets Festival
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE