Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪
Trolling

অনলাইন ট্রোলিং নিয়ে কী ভাবেন সোশ্যাল মিডিয়া ইউজাররা?

‘‘তোমাকে অন্য চোখে দেখি, তুমি দেশের গর্ব, এ পোশাক তোমাকে মানায় না’’- বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানোর ছবি টুইট করতেই ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মিতালি রাজের দিকে ধেয়ে এসেছে এমনই সব কমেন্ট।

অনলাইনে যেন ওঁত পেতে বসে রয়েছে আক্রমণকারীরা।

অনলাইনে যেন ওঁত পেতে বসে রয়েছে আক্রমণকারীরা।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ১৫:৩২
Share: Save:

‘‘তোমাকে অন্য চোখে দেখি, তুমি দেশের গর্ব, এ পোশাক তোমাকে মানায় না’’- বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানোর ছবি টুইট করতেই ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মিতালি রাজের দিকে ধেয়ে এসেছে এমনই সব কমেন্ট। মিতালি ছবি পোস্ট করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ‘ইনঅ্যাপ্রোপ্রিয়েট ড্রেস সেন্স’-এর জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলড হয়েছেন। এ আর নতুন কী। প্রতি দিনই ছবি, মতাদর্শ, পোশাক যে কোনও বিষেয়ই ট্রোলড হয়ে চলেছেন সেলেব্রিটি থেকে সাধারণ মানুষ। অনলাইনে যেন ওঁত পেতে বসে রয়েছে আক্রমণকারীরা। কখনও সখনও সেই ট্রোলের বিরুদ্ধে মুখ খুলেও হেনস্থার শিকার হয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়া ইউজাররা।

আরও পড়ুন: পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি খেলা হয় এই অ্যান্ড্রয়েড গেমগুলি

বর্তমান সময়ের অন্যতম বড় সমস্যা অনলাইন ট্রোলিং। যার শিকার হয়ে আত্মহত্যার পথও বেছে নিয়েছেন ইউজাররা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪,২৪৮ জন প্রাপ্তবয়স্ককে নিয়ে করা পিউ রিসার্চ সেন্টার আমেরিকান পোল ট্রেন্ডস বলছে, ৭৯ শতাংশ মার্কিন মনে করেন নিজেদের প্ল্যাটফর্মে হেনস্থা বন্ধ করার জন্য অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোরই এগিয়ে আসা উচিত এবং এদের মধ্যে ৪৯ শতাংশ সোশ্যাল মিডিয়া ইউজার মনে করেন অনলাইন হেনস্থা মোকাবিলার জন্য বিশেষ আইনের প্রয়োজন রয়েছে।

৬২ শতাংশ মনে করেন অনলাইন হেনস্থা একটা বড় সমস্যা।

৪১ শতাংশ নিজেরা অনলাইন হেনস্থার শিকার হয়েছেন।

অন্য কারও হেনস্থার প্রতিবাদ জানিয়েছেন ৩০ শতাংশ।

এক বার হেনস্থার পর আর কোনও দিন অনলাইনে পোস্ট করেননি ২৮ শতাংশ।

২৭ শতাংশ জানিয়েছেন তাদের অপমানজনক নামে চিহ্নিত করা হয়েছে।

২২ শতাংশ জানিয়েছেন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে তাদের হেনস্থা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: চোখ-কনুই-ঘাড়ের শত্রু স্মার্টফোন!

১৮ শতাংশ জানিয়েছেন তাদের শারীরিক ক্ষতি করার হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে।

১৪ শতাংশ হেনস্থার শিকার হয়েছেন তাদের রাজনৈতিক মতবাদের জন্য।

৯ শতাংশ হেনস্থা হয়েছেন তাদের চেহারার জন্য।

৮ শতাংশ হেনস্থা হয়েছেন তাদের জাত, আঞ্চলিকতার জন্য।

৮ শতাংশ হেনস্থা হয়েছেন তাদের লিঙ্গের জন্য।

৫ শতাংশ হেনস্থা হয়েছেন তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের জন্য।

এবং ৩ শতাংশ হেনস্থা হয়েছেন তাদের যৌন পছন্দের জন্য।

বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোর ছবি আরও ভয়াবহ বলে জানাচ্ছেন গবেষকরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Social Media Twitter Facebook Instagram
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE