একই ভাবে সন্ধে ৬টায় কর্টিসলের মাত্রা বেড়ে গিয়ে সন্ধে ৭টার মধ্যে পড়ে যায়।
সকালে কখন ঘুম থেকে ওঠেন আপনি? সাড়ে ৭টা? তার আধ ঘণ্টার মধ্যে এক কাপ গরম কফি না হলে দিনটাই শুরু হয় না যেন। একই ভাবে আবার সাড়ে তিনটে-চারটে বাজলেই চোখ কেমন যেন ঘুমে ঢুলে আসতে থাকে চোখ। এক কাপ কফি না খেলে অফিস ডেস্কে বসে থাকাই কষ্টকর। অনেকের আবার লাঞ্চ, ব্রেকফাস্ট সব কিছুর সঙ্গেই চাই কফি। কেন বলুন তো এই সময়গুলো আপনার কফি খেতে ইচ্ছা হয়? এই সময় কফি খেয়ে কি আপনি শরীরের ক্ষতি করছেন? ডায়েটিশিয়ানরা কিন্তু জানাচ্ছেন কফি খাওয়ারও নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। কোন সময় কফি খেলে সত্যিই চাঙ্গা লাগবে, আর কোন সময় কফি খেলেও বিশেষ লাভ হয় না তার বৈজ্ঞানিক কারণ রয়েছে।
আমাদের বডি ক্লক বা শরীরের ঘড়ি নিজস্ব তালে চলে। যা হরমোনের ক্ষরণ কোন সময় বেশি হবে, কোন সময় কম হবে তা নিয়ন্ত্রণ করে। এই রাসায়নিকের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কর্টিসল। যা নিয়ন্ত্রণ করে কখন আমাদের ঘুম পাবে। দিনের কোনও কোনও সময় শরীরে কর্টিসলের মাত্রা খুব বেশি থাকে, আবার কোনও কোনও সময় কমে যায়। বিজ্ঞানীদের মতে, যখন আমাদের শরীরে কর্টিসলের মাত্রা বেশি থাকে, তখন কফি খাওয়া উচিত নয়। এই সময় কর্টিসল ক্যাফেইনের কার্যকারিতায় বাধা দেবে।
কখন কর্টিসলের মাত্রা বেশি থাকে?
সাধারণত সপ্তাহে কাজের দিনে আমরা সকাল ৬টা-৮টার মধ্যে ঘুম থেকে উঠি। সেই অনুযায়ী সকাল ৭টা-৯টা কর্টিসলের মাত্রা প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়ে যায়। এই সময়কে বলা হয় কর্টিসল অ্যাওকেনিং রেসপন্স।
আবার দুপুর ১২টা নাগাদ কর্টিসলের মাত্রা বাড়ে, ও দুপুর ১টার মধ্যে তা পড়ে যায়। একে বলা হয় ডায়ারনাল রিদম।
একই ভাবে সন্ধে ৬টায় কর্টিসলের মাত্রা বেড়ে গিয়ে সন্ধে ৭টার মধ্যে পড়ে যায়।
আরও পড়ুন: জুতোর দুর্গন্ধ থেকে বাসন, নুন দিয়ে সবই হবে ঝকঝকে
তাই ডায়েটিশিয়ানদের মতে কফি খাওয়ার আদর্শ সময় সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা, দুপুর দেড়টা থেকে সাড়ে ৫টা ও সন্ধে ৭টার পর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy