আমরা বচ্চাদের শেখাই কী বলা উচিত, বড়দের সঙ্গে কেমন ব্যবহার করা উচিত। কিন্তু নিজেরা ওদের সঙ্গে আচরণের ব্যাপারে সতর্ক থাকি কি? বাচ্চাদের বড়দেরকে সম্মান করতে শেখাই কিন্তু নিজেরা ওদের সম্মান করি না।
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০১৭ ১৬:০৭
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১০৫
কেঁদো না: বাচ্চাদের কাঁদতে বারণ করবেন না। পেন্সিল বা ক্রেয়ন হারিয়ে যাওয়ার দুঃথ আপনার পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়।<br> ওদের জিনিসের সঙ্গে জুড়ে থাকা আবেগকে মূল্য দিন। কাঁদতে বারণ করা মানে ওদের আবেগ প্রকাশে বাধা দিচ্ছেন।
০২০৫
কেন তুমি এ রকম হতে পারো না: আমরা প্রায়শই বাচ্চাদের বলি কেন তুমি দিদির মতো, <br> দাদার মতো বা কোনও বন্ধুর মতো হতে পারো না? এতে ওদের নিজেদের প্রতি হীনমন্যতা তৈরি হয়, আত্মবিশ্বাস কমে যায়।
০৩০৫
তুমি খুব...: অনেক সময়ই আমরা সন্তানকে বলি তুমি খুব লাজুক বা তুমি খুব অলস।<br> কিন্তু বার বার সন্তানকে এ ভাবে বলতে থাকলে বাচ্চারাও নিজেদের সে ভাবেই ভেবে নিতে থাকে।<br> সেটা ভেঙে বেরনো ওদের নিজেদের পক্ষেই সম্ভব হয়ে ওঠে না।
০৪০৫
বাবা ফিরুক তারপর বলছি: যতই ভুল করুন না কেন সন্তানকে কখনও এ ভাবে বলবেন না।<br> এতে ওরা ভয় আরও কিছুটা সময়ের জন্য পুষে রাখে। বাবা সম্পর্কে মনে ভয় ঢোকে। এ ভাবে কিন্তু সন্তানকে শৃঙ্খলা শেখানো যায় না।
০৫০৫
আমি বলেছিলাম: বাচ্চারা একই ভুল দু’বার করলেও এ ভাবে বলবেন না।<br> ওরা কিন্তু আপনার মতো পরিণত মস্তিষ্কের নয়।<br> তাই ধৈর্য না হারিয়ে বলুন, ‘‘ঠিক আছে। পরের বার আমরা ঠিক করে করার চেষ্টা করবো।’’