৯০ বছরের সিতাবাঈ দেশমুখ এই বিদ্যালয়ের সবথেকে বয়স্ক ছাত্রী। আট বছরের নাতনি অনুষ্কার হাত ধরে তিনি স্কুলে আসেন।<br> কখনও অনুষ্কাও ঢুকে পড়ে ঠাকুমার স্কুলে। সেও ঠাকুমার সঙ্গেই পড়াশোনা করে।<br> সিতাবাঈ এর মতে ‘জীবনে যে কখনও স্কুলে পড়াশোনা করার সুযোগ পাব, তা কল্পনাই করতে পারিনি। ছোটবেলা খুবই গরিব ছিলাম। আর তখন মেয়েদের স্কুলে গিয়ে পড়াশোনা করারও সুযোগ খুবই কম ছিল।<br> তাঁর নাতনি ছোট্ট অনুষ্কার মতে ‘‘ঠাকুমা এবং আমি দুজনেই বেশ আনন্দে একসঙ্গে পড়াশোনা করি।’’
সামাজিক কর্মী এবং স্থানীয় জেলা পরিষদের শিক্ষক যোগেন্দ্র বাঙ্গার বলেছেন, ‘‘একজন ঠাকুমা আমাকে তাঁর পড়াশোনা করার ইচ্ছার কথা জানান।<br> আর তারপরই এই স্কুলটি আমি শুরু করি। কোনও রকমের দান এই স্কুলের জন্য আমরা গ্রহণ করি না।<br> কেন না, এখানে টাকা নেওয়া হয় না। আর আমি এখানকার একজন শিক্ষক, বিদ্যাদান করাটাই আমার দায়িত্ব।’’
৬৫ বছরের কান্তাবাঈ হচ্ছেন শীতলদেবীর শাশুড়ি। প্রত্যেক ছাত্রীই এই স্কুলে এখন বৃক্ষরোপণ করেন।<br> এক একটি গাছ এখানে এক একটি ছাত্রী। কান্তাদেবীর মতে ‘‘আমরা সকলেই এক ক্লাসে পড়াশোনা করি আর তাই বাগান তৈরির সময় আমরা বেশ আনন্দ পাই।<br> দিনের বেলায় আমরা ঘুরতেও বেরিয়ে পড়ি। তবে দিলীপজীকে কবে থেকে বলছি, উনি বনভোজনটা যে কবে আয়োজন করবেন জানি না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy