সরকারি পদে বিতর্কিত নিয়োগে রাজি হননি হরিয়ানার প্রশাসনিক সংস্কারসচিব প্রদীপ কাসনি। তার জেরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে মিলল একটি এসএমএস। ইঙ্গিত স্পষ্টতই হুমকির। “শুভরাত্রি। নিজের তারকাসুলভ অবস্থান উপভোগ করতে শুরু করুন। দম থাকলে আমার এই এসএমএস সংবাদমাধ্যমে ফাঁস করে দিন।” এ রকম বয়ানের এসএমএসটির প্রেরক হরিয়ানার মুখ্যসচিব এস সি চৌধুরি।
মঙ্গলবারই আবার পদত্যাগ করেছেন হরিয়ানার বিদ্যুৎমন্ত্রী অজয় যাদব। মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র সিংহ হুডার বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ এনেছেন তিনি।
এই দু’টি ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই আরও বিতর্কের জালে জড়িয়ে গেলেন হুডা। রবিবার হরিয়ানার নতুন রাজ্যপাল কাপ্তান সিংহ সোলাঙ্কি দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সে দিনই নিজের বাড়িতে একটি শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে পাঁচ জন উচ্চপদস্থ অফিসারকে রাজ্য তথ্য কমিশন ও পরিষেবার অধিকার কমিশনে নিয়োগ করেন হুডা। কিন্তু ওই অফিসারদের নিয়োগ সংক্রান্ত ফাইলে সই করতে রাজি হননি রাজ্যের প্রশাসনিক সংস্কারসচিব প্রদীপ কাসনি। ওই আমলাদের তথ্য কমিশন বা পরিষেবার অধিকার কমিশনে যোগ দেওয়ার যোগ্যতা নেই বলে জানান তিনি।
এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আসে এসএমএসটি। এস সি চৌধুরি সংবাদমাধ্যমকে জানান, তাঁর বক্তব্যকে হুমকি হিসেবে বিকৃত করা হচ্ছে। দু’বছর আগে রবার্ট বঢরার জমি চুক্তি বাতিল করে হুডা সরকারের কোপে পড়েন আইএএস অফিসার অশোক খেমকা। প্রদীপ কাসনির এই ঘটনাটির পর টুইটারে তাঁকে সমর্থন করেন খেমকা।
এ সব কিছুর পর বিতর্ক এড়াতে মুখ খুলেছেন ভূপেন্দ্র সিংহ হুডা নিজে। সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বিদায়ী রাজ্যপাল জগন্নাথ পাহাড়িয়া ওই পাঁচ জনের কমিশনারের নিয়োগ চূড়ান্ত করে গিয়েছিলেন। তাই তাঁদের নিযুক্ত করার দায়িত্ব ছিল হুডার উপর। তিনি কোনও আইনবিরোধী কাজ করেননি।
অন্য দিকে, হরিয়ানা সরকার তাঁকে কোনও ক্ষমতাই দেয়নি, এই অভিযোগ তুলে আজ পদত্যাগ করলেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অজয় যাদব। হরিয়ানায় বিধানসভা ভোটের ঠিক আগে কংগ্রেসের এই নেতা বিদ্রোহ ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র সিংহ হুডার বিরুদ্ধে। তাঁর দাবি, “আমি বিদ্যুৎমন্ত্রী হলেও আমার কোনও ক্ষমতা ছিল না। আমাকে না জানিয়েই অধস্তন অফিসাররা বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতেন।”
অজয়ের মতে, লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের বিপর্যয় থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু হুডা তেমন কোনও পদক্ষেপ করেননি। তাই তিনি পদত্যাগ করছেন। তবে অজয় জানিয়েছেন, তিনি কংগ্রেস ছাড়বেন না। আর এক কংগ্রেস নেতা চৌধুরি বীরেন্দ্র সিংহ দেখা করেছেন বিজেপি সভাপতির সঙ্গে। বীরেন্দ্র সিংহ দল বদলাতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy