—ফাইল চিত্র।
ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়কে শারীরিক ভাবে নিগ্রহ করছে পুলিশ। এ বার মুম্বই পুলিশের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুললেন টিভি ব্যারন পিটার মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রী ইন্দ্রাণীর আইনজীবীরা। এ নিয়ে মুম্বইয়ের পুলিশ কমিশনার রাকেশ মারিয়ার কাছে সোমবার অভিযোগ জানানো হয়েছে।
শিনা বরাকে খুনের অভিযোগে গত সপ্তাহেই মুম্বই পুলিশ গ্রেফতার করে ইন্দ্রাণীকে। প্রথমে জানা গিয়েছিল শিনা সম্পর্কে ইন্দ্রাণীর বোন ছিলেন। কিন্তু, পরে তদন্তে উঠে আসে অনেক তথ্য। জানা যায়, বোন নয়, সম্পর্কে ইন্দ্রাণীর মেয়ে ছিলেন শিনা। আদালত প্রাথমিক ভাবে ইন্দ্রাণীকে সাত দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়। এ দিনই সেই মেয়াদ শেষ হবে। দুপুর আড়াইটে নাগাদ ইন্দ্রাণীকে আদালতে হাজির করে মুম্বই পুলিশ। পাশাপাশি তাঁর দ্বিতীয় পক্ষের স্বামী সঞ্জীব খন্না এবং এই মামলায় ধৃত গাড়িচালক শ্যাম রাইকেও আদালতে হাজির করানো হয়। তিন জনকে ফের ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
মুম্বই পুলিশ সূত্রে খবর, শুধু শিনা নয় ২০১২-র ওই সময়ে তার দাদা মিখাইল বরাকেও খুনের ষড়যন্ত্র করেন ইন্দ্রাণী। এই কাজে এক জন পেশাদার খুনিকে নিয়োগ করা হয়। পুলিশের দাবি, ইন্দ্রাণী তাকে আড়াই লাখ টাকা দিয়েছিলেন মিখাইলকে খুন করার জন্য। এর আগে যদিও মিখাইল তাঁকে কুন করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলেন ইন্দ্রাণীর বিরুদ্ধে। পুলিশ ওই পেশাদার খুনিকে আটক করে জি়জ্ঞাসাবাদ করছে বলে সূত্রের খবর।
কিন্তু, সঞ্জীব কী ভাবে শিনা খুনের ঘটনায় জড়িয়ে পড়লেন?
পুলিশের কাছে জেরায় সঞ্জীব জানিয়েছেন, ইন্দ্রাণী তাঁকে ফোন করে জানান শিনা এবং রাহুল তাঁদের মেয়ে বিধিকে খুনের ষড়যন্ত্র করছে। আর তাতেই উদ্বিগ্ন হয়ে মুম্বই পৌঁছন সঞ্জীব। তাঁর সঙ্গে ইন্দ্রাণীর বিয়ের পর বিধির জন্ম হয়। কিন্তু, ২০০২-এ পিটার মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিয়ের পর থেকে ইন্দ্রাণীর কাছে মুম্বইতে থাকতেন বিধি। এমনকী সঞ্জীবের দাবি, ইন্দ্রাণী তাঁকে সম্পত্তির লোভ দেখিয়েছিলেন। তিনি সঞ্জীবকে নাকি বুঝিয়েছিলেন, শিনা এবং রাহুলকে খুন করলে পিটারের কয়েকশো কোটি টাকার সম্পত্তির একমাত্র দাবিদার হবে বিধি। সেই লোভের ফাঁদে পা দিয়েই সঞ্জীব শিনা-খুনে জড়িয়ে পড়েন বলে পুলিশের কাছে দাবি করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy