Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

টুকরো খবর

রাহুল গাঁধী প্রচারে তেমন ছাপ ফেলতে পারছেন না, বুঝতে পারছেন কংগ্রেস নেতৃত্বও। ভোটের উত্তপ্ত আঁচ সামলাতে তাই আসরে নেমেছেন সনিয়া গাঁধী। জনসভা করার পাশাপাশি, টিভি বিজ্ঞাপনেও জাতির উদ্দেশে বক্তৃতা দিচ্ছেন তিনি। ময়দানে এ বার মেয়ে প্রিয়ঙ্কা বঢরাও। গত ক’দিন মূলত বরুণ গাঁধীকেই আক্রমণ করে এসেছেন তিনি। আজ তিনি মায়ের কেন্দ্র রায়বরেলীতে গিয়ে তীব্র ভাষায় বিঁধলেন নরেন্দ্র মোদীকে। একই রকম তীব্রতায়।

শেষ আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০১৪ ০৩:৩৬
Share: Save:

রাহুলের ব্যর্থতা ঢাকতে প্রচারে নামতে হচ্ছে সনিয়া-প্রিয়ঙ্কাকে

নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি

রাহুল গাঁধী প্রচারে তেমন ছাপ ফেলতে পারছেন না, বুঝতে পারছেন কংগ্রেস নেতৃত্বও। ভোটের উত্তপ্ত আঁচ সামলাতে তাই আসরে নেমেছেন সনিয়া গাঁধী। জনসভা করার পাশাপাশি, টিভি বিজ্ঞাপনেও জাতির উদ্দেশে বক্তৃতা দিচ্ছেন তিনি। ময়দানে এ বার মেয়ে প্রিয়ঙ্কা বঢরাও। গত ক’দিন মূলত বরুণ গাঁধীকেই আক্রমণ করে এসেছেন তিনি। আজ তিনি মায়ের কেন্দ্র রায়বরেলীতে গিয়ে তীব্র ভাষায় বিঁধলেন নরেন্দ্র মোদীকে। একই রকম তীব্রতায়। বললেন, “দু’ ধরনের রাজনীতি চলছে। এক দিকে ঐক্যের আদর্শে কংগ্রেসের বিশ্বাস, অন্য দিকে বিজেপির বিভাজন ও সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতি।” ভোট-পর্বের মাঝে সনিয়ার এ ভাবে প্রচারযুদ্ধে এগিয়ে আসাকে রাহুলের ব্যর্থতার প্রমাণ হিসেবেই তুলে ধরছেন নরেন্দ্র মোদী, অরুণ জেটলিরা। তবে প্রিয়ঙ্কা সম্পর্কে তাঁদের মূল্যায়ন ভিন্ন। ঘরোয়া স্তরে বিজেপির অনেক নেতা কবুল করছেন, এ বারের নির্বাচনে রাহুলের বদলে প্রিয়ঙ্কা যদি কংগ্রেসের মুখ হয়ে উঠতেন, তা হলে বিজেপির লড়াইটা আরও কঠিন হয়ে পড়ত। কারণ, রাহুলের থেকে প্রিয়ঙ্কার ঝাঁঝ অনেক বেশি। চেহারা-ছবিতে শুধু নয়, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের নিরিখেও প্রিয়ঙ্কার মধ্যে ইন্দিরা গাঁধীর আদল খুঁজে পান অনেকে। ফলে প্রিয়ঙ্কা গোটা দেশে ঘুরে মোদী-বিরোধিতায় মুখর হলে সেটা অবশ্যই চিন্তায় ফেলত বিজেপি নেতৃত্বকে। তাঁদের কাছে এটা স্বস্তির বিষয় যে, ভোটের সিংহভাগ লড়াইটা শেষ হয়ে যাবে আগামী দু-দফার মধ্যেই। আর প্রিয়ঙ্কা নিজেকে সীমাবদ্ধ রেখেছেন মা ও দাদার কেন্দ্র রায়বরেলী ও অমেঠীতে। ঘরোয়া স্তরে বিজেপি নেতারা যা বলছেন, কংগ্রেসের অনেক নেতাই তা মানছেন এখন। কংগ্রেসের এক শীর্ষ নেতা স্বীকার করেন, রাহুলের প্রচারে তেমন ছাপ পড়ছে না। বিভিন্ন সমীক্ষাতে দেখা যাচ্ছে, রাহুলকে ব্যক্তি হিসেবে ভাল মনে করলেও প্রশাসক হিসেবে মোদীকেই বেশি নম্বর দিতে চাইছে জনতা। রাহুলের চেয়ে গাঁধী পরিবারের বাকিদের গ্রহণযোগ্যতা বেশি হওয়াতেই বাকি ভোটযুদ্ধে তাঁদের যথাসম্ভব ব্যবহার করা হবে।

প্রয়াত প্রাক্তন বিধায়ক

নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি

রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা কাছাড়ের লখিপুরের বিধায়ক দীনেশ প্রসাদ গোয়ালার জীবনাবসান হয়েছে।। ৮ এপ্রিল থেকে অসুস্থ গোয়ালাকে ১০ এপ্রিল দিল্লির হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। আজ ভোরে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর দুই পুত্র ও এক কন্যা বর্তমান। ১৯৪৭ সালে পাল্লনঘাটের ডুগরুবস্তিতে জন্ম হয় দীনেশবাবুর। রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রির পরে কলেজে শিক্ষকতা শুরু করেন। ১৯৮৩ সাল থেকে ২০১১ অবধি পরপর ৭ বার লখিপুরের বিধায়ক হন। তিন দফায় রাজ্যের জনস্বাস্থ্য কারিগরী, নগরোন্নয়ন, আবাসন, বিদ্যুত্‌ বিভাগের মন্ত্রী ছিলেন। চা জনগোষ্ঠীর নেতা দীনেশবাবু কাছাড়ের চা শ্রমিক ইউনিয়নের বিভিন্ন পদের দায়িত্ব সামলেছেন। সারা অসম ওবিসি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতিও ছিলেন। দীনেশবাবুর মৃত্যুতে মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ, প্রদেশ কংগ্রেস-সহ রাজ্যের সব দলের নেতারা শোক প্রকাশ করেন। তাঁর মৃত্যুতে আজ রাজ্যে কংগ্রেসের পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।


মত্ত পুলিশের গুলিতে মৃত্যু

নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি

থানার ভিতরেই কংগ্রেস নেতাকে গুলি করে খুন করল এক মত্ত পুলিশ। গত রাতে তিনিসুকিয়ার গুইজানের ঘটনা। পুলিশ সূত্রের খবর, বিবাদের জেরে কার্তিক দাস থানায় অভিযোগ জানাতে আসেন। তিনি যুব কংগ্রেস নেতা তথা লখিমপুর জেলা কংগ্রেসের সম্পাদক। থানায় তখন তিন পুলিশকর্মী ছিলেন। অভিযোগ, তারা মদ্যপান করছিলেন। ওই যুবকদের সঙ্গে পুলিশের কথা কাটাকাটি হয়। তখনই, থানেশ্বর ফুকন নামে এক কনস্টেবল কার্তিকবাবুকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে দেয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এরপরই উত্তেজিত জনতা থানা ঘেরাও করে। বিরাট পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। জনতার দাবি ছিল, অভিযুক্ত কনস্টেবলকে তাঁদের হাতে তুলে দিতে হবে। থানেশ্বর ফুকনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এক এসআইকেও সাসপেন্ড করা হয়েছে।

ক্লিক করুন


কাজিরাঙায় সংঘর্ষ

নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি

চোরাশিকারিদের সঙ্গে বনরক্ষীদের সংঘর্ষ হল কাজিরাঙায়। আজ ভোরে বুড়াপাহাড় রেঞ্জে ঘটনাটি ঘটে। কাজিরাঙা কর্তৃপক্ষ সূত্রের খবর, বুড়াপাহাড়ের শরালি ও বড়গোপ বন শিবিরের মধ্যবর্তী অংশ থেকে গুলির শব্দ আসে। বনরক্ষীরা তল্লাশি শুরু করেন। জঙ্গলে তখনই এক দল চোরাশিকারিকে দেখতে পান তাঁরা। শিকারিরা গুলি চালায়। রক্ষীরাও পাল্টা জবাব দেন। বেগতিক দেখে শিকারিরা পালায়। ওই শিকারিরা কোনও গন্ডার হত্যা করেছে কি না, তার সন্ধান চলছে।

সনিয়ার জবাব

সংবাদ সংস্থা • চেন্নাই

শ্রীলঙ্কার তামিলদের নিয়ে কোনও মাথাব্যথা নেই কংগ্রেসের, এমন অভিযোগ প্রায়ই তোলেন তামিল নেতারা। বুধবার তামিলনাড়ুর প্রচার সভায় সেই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিলেন সনিয়া গাঁধী। আর উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন রাজীব গাঁধীর মৃত্যুর কথা। এ দিনের বক্তৃতায় তিনি বলেন, “শ্রীলঙ্কায় তামিলদের অধিকারের জন্য কংগ্রেস যতটা লড়াই করেছে ততটা অন্য কোনও দল করেনি। আমার স্বামী তামিল ভাইবোনেদের জন্য লড়াই করতে গিয়ে জীবন দিয়ে দিয়েছেন। আমি প্রশ্ন করতে চাই, অন্য কোনও দল তামিলদের জন্য এমন বলিদান দিয়েছে কি?

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE