শিনা হত্যাকাণ্ড নিয়ে বারবার জেরা করা হচ্ছে তাঁকে। সিবিআইয়ের আশা, তাঁকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে হয়তো শিনা হত্যা রহস্যের জটটা অনেকটাই খোলা যাবে। আজ সকালে মিডিয়া ব্যারন পিটার মুখোপাধ্যায়ের লাই ডিটেক্টর পরীক্ষাও করেছে সিবিআই।
সিবিআইয়ের একটি সূত্রের দাবি, শিনা হত্যা প্রসঙ্গে পিটার বার বার বয়ান বদল করেছেন। পাশাপাশি, শিনা হত্যা নিয়ে তিনি যে তথ্য দিয়েছেন, তাতে অসঙ্গতিও পাওয়া গিয়েছে। তাই তাঁর দেওয়া তথ্যগুলি আরও খতিয়ে দেখতে লাই ডিটেক্টর পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আজ সকালে পিটারকে কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে নিয়ে যান গোয়েন্দারা। সেখানেই লাই ডিটেক্টর পরীক্ষা হয়।
সিবিআই সূত্রের খবর, ইন্দ্রাণী-পিটার কথোপকথন, শিনা হত্যাকাণ্ড নিয়ে পিটারকে করা বিভিন্ন প্রশ্ন এবং পিটারের বয়ান— এই সব কিছুই লাই ডিটেক্টর পরীক্ষার সময় প্রমাণ হিসেবে রাখা হয়েছিল।
তবে মিডিয়া ব্যারনের জবাব নিয়ে সন্তুষ্ট নয় সিবিআই। তদন্তকারীদের দাবি, পিটার বেশ কিছু প্রশ্নের ঠিকঠাক জবাব দিতে পারেননি। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে পরীক্ষার রিপোর্ট দেখতে চান তাঁরা।
২০১২ সালের এপ্রিল মাসে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন শিনা বরা। তার প্রায় তিন বছর পরে জানা যায়, খুন করা হয়েছিল শিনাকে। চলতি বছরের অগস্টেই মেয়েকে খুনের দায়ে গ্রেফতার হয়েছিলেন শিনার মা ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়। ধরা হয়েছিল ইন্দ্রাণীর প্রাক্তন স্বামী সঞ্জীব খন্না এবং গাড়ির চালক শ্যামবর রাইকেও।
মুম্বই পুলিশের তদন্তকারী অফিসার দীনেশ কদম জানিয়েছেন, ইন্দ্রাণীর গাড়ির চালক শ্যাম রাইয়ের কাছ থেকে একটি দেশি পিস্তল এবং তিনটি কার্তুজ উদ্ধার করেছিলেন তদন্তকারীরা। তাই শ্যামের বিরুদ্ধে বেআইনি ভাবে অস্ত্র রাখার মামলাও করা হয়েছে।
এ দিকে একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমের কাছে ইন্দ্রাণীর সেক্রেটারি কাজল শর্মা আবার দাবি করেছেন, তিনি তাঁর বসের কথায় শিনার নামে দু’টি ভুয়ো ই-মেল অ্যাকাউন্টও তৈরি করেছিলেন। কাজলের দাবি, ইন্দ্রাণীর নির্দেশেই তিনি শিনার হয়ে তাঁর অফিসে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছিলেন শিনার অফিসে তাঁর পদত্যাগের চিঠিটি পাঠিয়েছিলেন কাজলই। ইন্দ্রাণীর কথায় শিনার সইও নকল করেছিলেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy