এখনও স্বাভাবিক হয়ে উঠতে পারেনি জম্মু ও কাশ্মীর। যদিও বন্যার তাণ্ডব ভুলে ছন্দে ফিরতে চাইছে ভূস্বর্গ।
শ্রীনগরের বেশ কিছু জায়গা এখনও জলের তলায়। রাজবাগ এলাকা থেকে আজ আরও দু’টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রশাসন জানিয়েছে, উদ্ধার করা দেহ দু’টি এখনও শনাক্ত করা যায়নি। এই নিয়ে কাশ্মীরে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩০০। বহু লোক এখনও ঘরছাড়া। তাঁদের মধ্যে অনেকেই নিখোঁজ। তাই মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা ডিভিশনাল কমিশনার রোহিত কানসেলের। তিনি জানিয়েছেন, বন্যার জেরে কাশ্মীরে প্রায় ৫০ হাজার বাড়ি ভেঙে পড়েছে। কেবল শ্রীনগরেই ধ্বংস হওয়া বাড়ির সংখ্যা একশোরও বেশি। বেমিনা, রাজবাগ, জওহরনগর, ইন্দিরানগরের পরিস্থিতি এখনও শোচনীয়।
উত্তরাখণ্ডে বন্যা দুর্গতদের টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে একটি বিশেষ সমাধান সূত্র বার করেছিল বিমা সংস্থাগুলি। সেই ভাবে কেন এক্ষেত্রেও টাকা দেওয়া হবে না, এ বিষয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল জম্মু-কাশ্মীর হাইকোর্টে। ২৪ সেপ্টেম্বর মামলাটির শুনানি হবে বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট। কাশ্মীরের বন্যাকে ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং জাতীয় বিপর্যয়’ হিসেবে কেন্দ্র ঘোষণার দাবিতে জম্মু ও কাশ্মীর ন্যাশনাল প্যান্থার্স পার্টির প্রধান ভীম সিংহর একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন।
আজ বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা এবং কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী। কেন্দ্রের থেকে আরও বেশি সাহায্য চেয়েছেন ওমর। ব্যবসায়ী এবং চাষিদের জন্য ‘বিশেষ প্যাকেজ’-এর দাবিও করেছেন তিনি।
বন্যায় সেনাবাহিনীরও বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ৭০টি সেনা ব্যারাক ভেঙে গিয়েছে। এর মধ্যে তিরিশটি বাঙ্কার সীমান্ত সংলগ্ন। নষ্ট হয়ে গিয়েছে মজুত থাকা কিছু অস্ত্রও। তাই এখন দু’টি ভূমিকায় হাজির সেনারা। একাধারে এই পরিস্থিতি সামলে উঠে সীমান্ত পাহারা দিচ্ছেন তাঁরা। আবার অন্য দিকে বন্যা দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়ে কাশ্মীরকে আবার নতুন প্রাণ দিতে উদ্যত ভারতীয় সেনা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy