আবার ফিরে এল বন্যার আতঙ্ক।
প্রবল বৃষ্টির সতর্কবার্তা ছিলই। সেই মতো ৪৮ ঘণ্টার টানা বৃষ্টিতে বেহাল দশা উত্তরাখণ্ডের। এখনও বিপদসীমার নীচ দিয়ে বইলেও ফুঁসে উঠেছে গঙ্গা, ভাগীরথী, অলকনন্দা, মন্দাকিনীর মতো বহু নদী। ধস নেমে বহু রাস্তা বন্ধ। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে অনেক গ্রাম। বহু মানুষ জলবন্দি। জলমগ্ন চাষের জমি।
উত্তরাখণ্ড এবং উত্তরপ্রদেশের কৃষি দফতর জানিয়েছে, বিষয়টির উপর নজর রাখা হচ্ছে। আগামী কয়েক দিনও বৃষ্টি চলবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তাই বন্যার সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন। ইতিমধ্যেই এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হয়েছেন দু’জন। রুদ্রপ্রয়াগে ধসে চাপা পড়ে মারা যান মহিলা। এক বৃদ্ধ মারা গিয়েছেন চম্পাবতী জেলায়। গাড়োয়াল ও কুমায়ুনে নদীতে ভেসে গিয়েছেন দু’জন।
গত বছরই বন্যার রুদ্রমূর্তি দেখছে গোটা উত্তরাখণ্ড। এখনও বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে তার চিহ্ন। সেই ক্ষতির মার এখনও সামলে ওঠা যায়নি। তার মধ্যেই আবার বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় আতঙ্কিত রাজ্যবাসী। এ বার তাই প্রথম থেকেই সতর্ক প্রশাসন। বিভিন্ন নদীর তীরে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে চলে যেতে বলা হয়েছে। ২২ জুলাই পর্যন্ত চার ধাম যাত্রা বন্ধ রাখার বিষয়েও চিন্তাভাবনা শুরু করেছে প্রশাসন।
হরিদ্বারের বেহাল দশার জন্য অবশ্য শহরবাসী দায়ী করছেন পুরসভাকে। তাঁদের অভিযোগ, নিকাশি ব্যবস্থার উন্নতিতে কোনও কাজ করা হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy