Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

বড়োদের কাছে টানছেন গগৈ

আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে প্রাক্তন জোট সঙ্গী বিপিএফ বিজেপির সঙ্গে হাত মেলানোয় এ’বার বড়োভূমিতে বিপিএফ বিরোধী শক্তিগুলিকে নিজের দিকে টানতে সচেষ্ট হলেন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৪:০১
Share: Save:

আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে প্রাক্তন জোট সঙ্গী বিপিএফ বিজেপির সঙ্গে হাত মেলানোয় এ’বার বড়োভূমিতে বিপিএফ বিরোধী শক্তিগুলিকে নিজের দিকে টানতে সচেষ্ট হলেন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ। উপজাতি ও জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় থাকা আদিবাসীদের জমির পাট্টা প্রদান অনুষ্ঠান বড়ো অধ্যূষিত শোণিতপুরে শুরু করেলেন তিনি। তাঁর সঙ্গেই মঞ্চে ছিলেন বড়ো ছাত্র সংগঠন আবসু, এনডিএফবি (আলোচনাপন্থী) ও ইউনাইটে়ড পিপল্স পার্টির নেতারা।

এত বছর ধরে কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখেছিল আবসু ও এনডিএফবি। কারণ, বিপিএফ ছিল শাসক জোটের শরিক। অসমকে দু’ভাগে ভাগ করে বড়োভূমিকে পৃথক রাজ্য হিসেবে ঘোষণা করা আবসু ও এনডিএফবি দুই পক্ষেরই দাবি। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী গগৈ স্পষ্টই জানিয়েছেন, অসমকে ভাগ করা চলবে না। তাই কংগ্রেসের বিরুদ্ধেই বরাবর আন্দোলন করেছে আবসু। অবশ্য বিপিএফ কংগ্রেসের হাত ছেড়ে বিজেপির হাত ধরার পরেই সমীকরণ বদলাচ্ছে।

সম্প্রতি আবসুর অনুরোধে ব্রহ্মপুত্রের উত্তর পারে শোণিতপুর জেলার চারিদুয়ারে উপজাতি ও জঙ্গল লাগোয়া গ্রামের আদিবাসীদের মধ্যে জমির পাট্টা বিলি করেন গগৈ। তিনি বলেন, ‘‘ইউপিএ আমলেই উপজাতি ও জঙ্গল লাগোয়া গ্রামে বসবাসকারী ভূমিহীনদের পাট্টা দেওয়ার আইন পাশ হয়। আইন আনতে দেরি হলেও, এই আইনের অধীনে অন্তত ৩০ হাজার পরিবারকে পাট্টা দেওয়া হবে। আগামী তিন মাসের মধ্যে এই কাজ শেষ করতে জেলাশাসকদের নির্দেশ দিয়েছি আমি।’’ তিনি আরও জানান, শীঘ্রই জমিহীনদের তালিকা তৈরির জন্য জেলাভিত্তিক কমিটি গড়বে সরকার। মুখ্যমন্ত্রী ভরসা দেন, শুধুমাত্র বড়োভূমির চারটি জেলায় থাকা বড়ো নয়, রাজ্যের যে কোনও স্থানে থাকা বড়োদের উন্নতিতে সরকার বদ্ধপরিকর।

মঞ্চে গগৈয়ের পাশেই বসেছিলেন রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ ইউ জি ব্রহ্ম। তিনি বিপিপিএফ ছেড়ে ইউপিপি গড়েছেন। বিপিপিএফ সম্প্রতি বিপিএফের সঙ্গে মিলে গিয়েছে। গোটা অনুষ্ঠানে কংগ্রেসের পতাকার পাশাপাশি নজর কেড়েছে এনডিএফবি (আলোচনাপন্থী)-র পতাকাও। আবসু সভাপতি প্রমোদ বড়োর স্পষ্ট মত, ‘‘যারাই আমাদের দাবি মানবে, আমরা তাদেরই সমর্থন করব।’’

এই তিন দলের রাজনৈতির ক্ষমতা সে ভাবে না থাকলেও বড়োভূমির বিভিন্ন এলাকায় জনমত গঠনে আবসু ও এনডিএফবির ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। আবার, বিজেপি ক্ষমতায় এলে বিপিএফের প্রতাপ আরও বাড়বে। তাই বিজেপি-বিপিএফ জোটকে ঠেকাতে ‘শত্রুর শত্রু মিত্র’ নীতিই নিয়েছে সব পক্ষ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE