আপাতত কয়েক দিন অনেকটাই ফাঁকা থাকবে ভারতের আকাশ। একসঙ্গে ২০০টি সুখোই-৩০ যুদ্ধবিমান বসিয়ে দেওয়া হয়েছে বায়ুসেনার তরফে। ভাল করে পরীক্ষা করে, সব যান্ত্রিক ত্রুটি মেরামত করে তবেই ফের আকাশে ফিরবে তারা। সম্প্রতি পুণেতে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনাটির পরে এই পদক্ষেপ করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা।
চলতি মাসের ১৪ তারিখে পুণের কাছে একটি সুখোই বিমান ভেঙে পড়ে। দুর্ঘটনাটির জন্য তৎক্ষণাৎ ‘কোর্ট অব এনকোয়্যারি’ শুরু হয়। প্রাথমিক তদন্তের পর বায়ুসেনা জানায়, অবতরণের সময় আপনা আপনিই ককপিট থেকে উড়ে বেরিয়ে গিয়েছিল পাইলটের আসন। প্যারাস্যুট থাকায় সুরক্ষিত ছিলেন পাইলট। তবে আসন উড়ে যাওয়ার এই বিশেষ ত্রুটি সুখোই বিমানগুলির বড় সমস্যা। সাধারণত, কোনও দুর্ঘটনার সময় পাইলট যখন বোঝেন বিমানটি আর বাঁচানোর উপায় নেই, তখনই ও ভাবে আসন খুলে, প্যারাস্যুট নিয়ে ঝাঁপ দেন। কিন্তু পাইলট না চাইলেও নিজে থেকেই যদি এমনটা হয়, তবে তা খুবই বিপজ্জনক।
বায়ুসেনা বলছে, তিন বছরে মোট ১৯টি যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনার মুখে পড়েছে। প্রতি ক্ষেত্রেই দুর্ঘটনার কারণ ছিল যান্ত্রিক ত্রুটি অথবা মানুষের ভুল।
আজ বায়ুসেনার তরফে বলা হয়েছে, “পুণের দুর্ঘটনাটির জন্য ‘কোর্ট অব ইনকোয়্যারি’ চলছে। ইতিমধ্যে আমাদের সুখোই বিমানগুলির যন্ত্রপাতি ভাল করে পরীক্ষা করে দেখা হবে। সব রকম পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর এবং আদালত তদন্ত করে সন্তুষ্ট হওয়ার পর ফের উড়বে বিমানগুলি।”
ভারতের মোট যত সংখ্যক যুদ্ধবিমান রয়েছে, তার তিন ভাগের এক ভাগই এই পরীক্ষাধীন সুখোই। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই আকাশে শক্তি কমে গেল ভারতের। বায়ুসেনা জানিয়েছে, ৪৪টি স্কোয়াড্রনের জায়গায় এখন ৩৪টি স্কোয়াড্রন রয়েছে। তবে বায়ুসেনার দাবি, এখন যুদ্ধের সময় নয়। তাই শক্তি কমে যাওয়ার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ নয়। এর আগেও নানা সময়ে যুদ্ধবিমান বসিয়ে দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy