কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির বাজেটে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে প্রথম থেকেই সরব হয়েছিল তৃণমূল। এ বারে বাজেট বক্তৃতায় তারা প্রায় আশিটি ছাঁটাই প্রস্তাব এনেছে। তৃণমূলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় আজ জানান, তাঁদের প্রস্তাবগুলি মানা না হলে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর জবাবি বক্তৃতার সময় বিরোধিতা হবে। সুদীপবাবুর কথায়, “এখনও লোকসভায় ক্রমিক আসনই চিহ্নিত হয়নি। ভোটাভুটির সম্ভাবনা নেই। ধ্বনি ভোট হলে বিরোধিতা করব। তা না হলে কক্ষত্যাগ করব।”
কাল সুদীপবাবু বক্তৃতায় কালো টাকা উদ্ধার, প্রতিরক্ষা এবং বিমায় প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ টানার বিরোধিতার পাশাপাশি রাজ্যের উপর কর মকুবের দাবিতেও সরব হন। আজ তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বাজেট নিয়ে একটি বক্তৃতা স্পিকারের কাছে জমা দেন। সেখানেও রাজ্যের বঞ্চনার প্রশ্নটি তুলেছেন তিনি। সৌগতবাবুর কথায়, “বর্তমান রাজ্য সরকারের ঘাড়ে তার আগের সরকার ২.৩ লক্ষ কোটি টাকা ধার চাপিয়েছে। এই বছরে সেই ঋণের আসল এবং সুদ হিসাবে ২৮ হাজার কোটি টাকা দিতে হয়েছে। তিন বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ঋণের উপর থেকে সুদ মকুবের দরবার করছে। আগের মতো বর্তমান সরকারও তাতে কর্ণপাত করছে না।”
এ দিন লোকসভায় যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় রাজ্যের গুরুত্ব বাড়ানো নিয়ে সরব হন তৃণমূল সাংসদ সুগত বসু। লোকসভায় বাজেট বিতর্কে সরাসরি পশ্চিমবঙ্গের নাম না করে তিনি বলেন, “সহযোগিতামূলক যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় যে শুধু মাত্র কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে করের সুষম বণ্টন হবে তা-ই নয়, ক্ষমতারও ভারসাম্য থাকবে।” কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বাজেটে একাধিক প্রকল্পের নাম পন্ডিত মদনমোহন মালব্যের নামে রেখেছেন। আজ সুগতবাবু বলেন, “এই দূরদ্রষ্টা ১৯০৮-এ বিকেন্দ্রীকরণ কমিশনকে জানিয়েছিলেন, বর্তমানের কেন্দ্রীভূত ক্ষমতাসম্পন্ন সরকারকে যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার মধ্যে আসতে হবে। আঞ্চলিক সরকারগুলিকে নিছক প্রতিনিধি হিসেবে রেখে দিলেই চলবে না, তাদের আরও স্বাধীনতা দিতে হবে।” বাজেটে পূর্বাঞ্চলের বঞ্চনার প্রসঙ্গ তুলে তিনি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে নির্বাচনী এলাকায় আমন্ত্রণও জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy