Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

বিধানসভা উপ-নির্বাচনেই জোটের ভাবনা লালু-নীতীশের

বিহার বিধানসভার দশটি আসনের উপ-নির্বাচনকে সামনে রেখে বিজেপি-র বিরুদ্ধে আবার এক জোট হতে চলেছেন নীতীশ কুমার ও লালুপ্রসাদ। বিষয়টি নিয়ে জেডিইউ ও আরজেডি শিবিরে আলাপ-আলোচনা শুরু হয়েছে। বিধায়কদের কেউ কেউ সাংসদ হয়েছেন, কেউ আবার দল ছেড়ে অন্য দলে যোগ দিয়ে বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়েছেন। সব মিলিয়ে বিহার বিধানসভায় এই মুহূর্তে দশটি আসন শূন্য।

স্বপন সরকার
পটনা শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০১৪ ০২:১৯
Share: Save:

বিহার বিধানসভার দশটি আসনের উপ-নির্বাচনকে সামনে রেখে বিজেপি-র বিরুদ্ধে আবার এক জোট হতে চলেছেন নীতীশ কুমার ও লালুপ্রসাদ। বিষয়টি নিয়ে জেডিইউ ও আরজেডি শিবিরে আলাপ-আলোচনা শুরু হয়েছে।

বিধায়কদের কেউ কেউ সাংসদ হয়েছেন, কেউ আবার দল ছেড়ে অন্য দলে যোগ দিয়ে বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়েছেন। সব মিলিয়ে বিহার বিধানসভায় এই মুহূর্তে দশটি আসন শূন্য। অগস্ট-সেপ্টেম্বরের মধ্যেই এই আসনগুলিতে উপ-নির্বাচন করতে হবে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে ইঙ্গিত মিলেছে, অগস্টে উপ-নির্বাচন করা হবে। সেই মর্মে খুব শীঘ্র প্রয়োজনীয় বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হবে। শূন্য আসনগুলি হল: মোহনিয়া, ছপরা, ভাগলপুর, হাজিপুর, নারকাটিয়াগঞ্জ, জালে, রাজ নগর, বাঁকা, পারবাট্টা এবং মহিউদ্দিন নগর। এর মধ্যে সাতটি আসন ছিল বিজেপি-র দখলে। বাকি তিনটি ছিল আরজেডির দখলে। তবে লোকসভা ভোটের নিরিখে এই দশটি আসনে এগিয়ে বিজেপি। উপ-নির্বাচনে বিজেপি যদি ১০টি আসন দখল করে তবে বিধানসভায় আরও কোণঠাসা হবে জেডিইউ সরকার।

এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে বিজেপিকে ঠেকাতে লালু-নীতীশ জোটবদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। দুই শিবিরেরই শীর্ষ নেতাদের বক্তব্য, “বিজেপিকে রুখতে জোটের সম্ভাবনা প্রবল।” এবং একাধিক নেতা আরও এগিয়ে গিয়ে বলছেন: ২০১৫ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই জোট সম্পর্কে জনগণের মত যাচাইয়ের জন্য এই উপ-নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উল্লেখ্য,

গত লোকসভা ভোটে বিজেপি পেয়েছিল ২৯.৪% ভোট। অন্য দিকে, জেডিইউ (১৫.৮%) ও আরজেডির(২০.১%) মিলিত ভোটের পরিমাণ ৩৫.৯%। উল্লেখ্য, কংগ্রেস পেয়েছিল ৮.৪% ভোট।

আরজেডির প্রবীণ নেতা রঘুবংশ প্রসাদ সিংহের কথায়, “উপ-নির্বাচনে কী হবে তা এখনই বলছি না। তবে বিজেপিকে ঠেকাতে জেডিইউকে বিপদ থেকে উদ্ধার করা হবে।” রঘুবংশের এই কথাকে আরও একটু খোলসা করে দিয়েছেন আরজেডির মুখপাত্র মনোজ ঝা। তিনি বলেন, “জোটের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এখনও চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে দু’পক্ষের মধ্যে আলোচনা চলছে। ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি হলে সিদ্ধান্ত ত্বরান্বিত হবে।” আরজেডির প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে আজ থেকে বৈশালীতে শুরু হয়েছে দলের চিন্তন বৈঠক। সেই বৈঠকে এই প্রসঙ্গটি উঠবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন রঘুবংশ। তিনি বলেন, “এই বৈঠকে বর্তমান রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে। সেখানে দু’দলের জোট গড়ার বিষয়টিও আলোচনায় আসতে পারে।” পাশাপাশি, জেডিইউয়ের সর্বভারতীয় মুখপাত্র কে সি ত্যাগী দিল্লি থেকে ফোনে বলেন, “দুই দলের জোট গড়ার সম্ভাবনা তো রয়েছেই। সম-মনোভাবাপন্ন দলগুলির একসঙ্গে লড়ার সময় এসেছে।” দু’সপ্তাহ আগে এই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন স্বয়ং নীতীশ কুমার, “বিজেপিকে ঠেকাতে সম-মনোভাবাপন্ন দলগুলি এক জায়গায় আসবে। তার সূচনা হবে এই বিহার থেকেই।” বিহারে লালু-নীতীশ জোটবদ্ধ হলে লড়াইটা যে সহজ হবে না সেটা বুঝতে পারছেন বিজেপি নেতারা। তাই ইতিমধ্যেই দুই দলের বিরুদ্ধে তাঁরা আক্রমণ শানাতে শুরু করেছেন। বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা, বিজেপির নন্দকিশোর যাদব বলেন, “যে জঙ্গলরাজকে আমরা (এনডিএ) শেষ করেছিলাম, নীতীশ কুমার সেই দিনগুলিকে ফের ফিরিয়ে আনতে চাইছেন।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

swapan sarkar patna lalu-nitish
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE