মহারাষ্ট্রের মন্ত্রিসভায় যোগ দিতে শিবসেনাকে প্রস্তাব দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, “বিজেপি চায় শিবসেনা মহারাষ্ট্রের সরকারে সামিল হোক। এই ব্যাপারে কাল, শুক্রবার থেকে বিজেপি নেতা ধর্মেন্দ্র প্রধান এবং চন্দ্রকান্ত পাটিল কথা বলবেন শিবসেনার নেতাদের সঙ্গে।”
মহারাষ্ট্র বিধানসভার ২৮৮টি আসনের মধ্যে বিজেপি পেয়েছে ১২১টি। শিবসেনা ৬৩টি। ১২ নভেম্বর শিবসেনাকে ছাড়াই আস্থা ভোটে জিতে গিয়েছে ফডণবীস সরকার। এনসিপি-ও বিজেপি সরকারকে নিঃশর্ত সমর্থন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। তা হলে শিবসেনাকে এখন কেন দরকার পড়ল বিজেপি-র?
বিজেপি সূত্রের খবর, শুধু মহারাষ্ট্র নয়, এর পিছনে রয়েছে কেন্দ্রের অঙ্কও। কেন্দ্রে বিজেপির শরিক শিবসেনা। তবু তারা বিমা বিলের বিরোধিতা করার ইঙ্গিত দিয়েছে। মোদী সরকার চাইছে, জানুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ভারতে আসার আগেই বিমা বিল পাশ করিয়ে নিতে। কিন্তু হিসেব বলছে, রাজ্যসভায় বিলটি আটকে গেলে যৌথ অধিবেশনেও শিবসেনার সমর্থন ছাড়া বিলটি পাশ করানো যাবে না। তার জন্য এনডিএ-র বাইরের দলের সমর্থন দরকার। সেই ঝুঁকি নিতে চাইছে না মোদী সরকার।
দ্বিতীয়ত, আস্থা ভোটে জেতার পর ফডণবীস সরকারের হাতে রয়েছে ছ’মাস। তার পরে যে কোন দল সংখ্যালঘু সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে পারে। তখন সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে এনসিপি-র সমর্থন নিলে তাদের দুর্নীতির কালি ফডণবীস সরকারের গায়েও লাগবে। যা চাইছেন না বিজেপি নেতৃত্ব। তৃতীয়ত, বিজেপি নেতৃত্বের মতে প্রতিটি বিলে সমর্থন দেওয়ার সময় এনসিপি দর কষাকষি করতে পারে। চতুর্থত, এনসিপি পাঁচ বছর ফডণবীস সরকারকে সমর্থন করবে কি না, সেই ব্যাপারেও সন্দিহান বিজেপি নেতৃত্ব। পঞ্চমত, বিজেপি আশা করেছিল, ছ’মাসের মধ্যে অন্য দল থেকে বিধায়ক ভাঙিয়ে তারা প্রয়োজনীয় সংখ্যা জোগাড় করে নিতে পারবে। কিন্তু তা সম্ভব হচ্ছে না।
ফডণবীস বলেন, “আমি জানি, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শিবসেনা মহারাষ্ট্র সরকারে যোগ দেবে।” কিন্তু মহারাষ্ট্রের মন্ত্রিসভায় যোগ দেওয়ার শর্ত হিসেবে রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী-সহ বেশ কিছু ওজনদার মন্ত্রক দাবি করেছে শিবসেনা। কেন্দ্রেও একটি পূর্ণমন্ত্রী এবং একটি প্রতিমন্ত্রীর পদ চেয়েছে তারা। এ নিয়ে বিজেপি নেতা অরুণ জেটলির সঙ্গে কথা বলেছেন শিবসেনার নেতা অনিল দেশাই। যদিও বিজেপি স্পষ্ট করে দিয়েছে মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ শিবসেনাকে দেওয়া সম্ভব নয়। তার বদলে মহারাষ্ট্রে অন্য কিছু মন্ত্রক ও কেন্দ্রে একটি পূর্ণমন্ত্রী, একটি প্রতিমন্ত্রীর পদ দেওয়ার ব্যাপারে বিবেচনা করা যেতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy