মোগা কাণ্ড নিয়ে আজ তোলপাড় হল গোটা সংসদ। তার জেরে দু’বার মুলতুবি হয়ে গেল রাজ্যসভা।
সম্প্রতি পঞ্জাবের মোগায় বাসে চেপে মা ও ভাইয়ের সঙ্গে গুরুদ্বারে যাচ্ছিল বছর চোদ্দোর এক দলিত কিশোরী। চলন্ত বাসে ওই কিশোরী ও তার মায়ের সঙ্গে অভব্য আচরণ করে এক দল দুষ্কৃতী। তাতে বাধা দিতে গেলে ওই কিশোরীকে বাস থেকে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়। হাসপাতালের পথেই মৃত্যু হয় কিশোরীর। পরে জানা যায়, বাসটি পঞ্জাবের শাসক অকালি দলের নেতা বাদলদের নিয়ন্ত্রণাধীন সংস্থার। ফলে আরও অস্বস্তিতে পড়ে পঞ্জাবের বিজেপি-অকালি সরকার। এ দিকে, আজ পঞ্জাব সরকার মোগা মামলার তদন্তের জন্য অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি ভি কে বালিকে নিয়োগ করেছে।
আজ রাজ্যসভায় অধিবেশন শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই কংগ্রেস নেত্রী অম্বিকা সোনি পঞ্জাবের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। কংগ্রেসের সঙ্গে সুর মেলায় বাম-সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলিও। পঞ্জাবে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবিও জানায় তারা। রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি তুলে এ দিন বসপা নেত্রী মায়াবতী বলেন, ‘‘ঘটনার কয়েক দিন কেটে গেলেও এখনও আসল দোষীরা ধরা পড়ল না। পঞ্জাবে নারীদের নিরাপত্তা বলে কিছু নেই বললেই চলে।’’
আজ সংসদে মোগা প্রসঙ্গ তোলার অনুমতি চান সীতারাম ইয়েচুরি। অকালি দলের সাংসদেরা এর বিরোধিতা করেন। ফলে প্রায় ১০ মিনিটের জন্য স্থগিত হয়ে যায় অধিবেশন। তবে বিরোধীরা নিজেদের দাবিতে অটল থাকায় পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠে। ফের স্থগিত হয়ে যায় অধিবেশন।
বিরোধী দলনেতা গুলাম নবি আজাদ বলেন, ‘‘এটা অত্যন্ত গুরুতর বিষয়। রাজ্যে যে দল ক্ষমতায় রয়েছে, দুর্ভাগ্যবশত বাসের মালিক সেই দলেরই নেতা।’’ তাঁর দাবি, শুধু শ্লীলতাহানিতে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করলেই হবে না, সঙ্গে বাস মালিকদেরও ধরতে হবে।
লোকসভাতেও কংগ্রেস সাংসদ তথা পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহ মোগা প্রসঙ্গ তুলে সরব হন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy