মোদীর দ্বিতীয় মনোনয়ন। পাশে অমিত শাহ। ছবি: পিটিআই
ঢাকঢোল পিটিয়ে বারাণসীতে মনোনয়ন পেশ করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। ‘মা গঙ্গা’-ই তাঁকে বারাণসীতে টেনে এনেছে বলে স্থানীয় আবেগ উস্কে দিতেও চেয়েছিলেন। কিন্তু সেই মনোনয়ন যাত্রা নিয়েই মোদীর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে গেল কংগ্রেস।
এক ডজন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ১১৭টি লোকসভা কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ ছিল আজ। প্রতিটি রাজ্যেই ভোটদানের হার কমবেশি বেড়েছে। কংগ্রেসের অভিযোগ, সেই ভোট চলাকালীনই বিরাট শোভাযাত্রা করে মনোনয়ন দিতে গিয়েছেন মোদী। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টে পর্যন্ত বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমে সেই শোভাযাত্রা দেখানো হয়েছে। ১১৭টি কেন্দ্রেই বড় বড় স্ক্রিন লাগিয়েছিল বিজেপি। প্রচার শেষ হওয়ার পরেও এ ভাবে মোদীর মনোনয়ন যাত্রা দেখিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা হয়েছে। বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যম যখন মনোনয়ন যাত্রা সম্প্রচার করছিল তখন নির্বাচন কমিশন সতর্ক হয়নি কেন, সেই প্রশ্নও তুলেছে কংগ্রেস।
নির্বাচন কমিশনের তরফে অবশ্য এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। যুগ্ম নির্বাচন কমিশনার বিনোদ জুৎসি বলেন, “কংগ্রেসের তরফে অজয় মাকেন এসে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়ে গিয়েছেন। আমরা এই অভিযোগ খতিয়ে দেখছি।” বিজেপির তরফে অবশ্য পাল্টা প্রশ্ন তোলা হয়েছে, রাহুল গাঁধী যেদিন অমেঠিতে মনোনয়ন পত্র পেশ করতে গিয়েছিলেন, সেদিনও অসম-ত্রিপুরা-সিকিমে ভোটগ্রহণ চলছিল। সেদিনও রাহুল-সনিয়া সহ গাঁধী পরিবার শোভাযাত্রা করেই গিয়েছিলেন। সেই শোভাযাত্রাও সারা দেশে সম্প্রচারিত হচ্ছিল। তা হলে সেদিন নির্বাচনী আচরণবিধি ভাঙার প্রশ্ন ওঠেনি কেন। আজ বারাণসীতে মনোনয়ন পত্র পেশ করে সেখানকার ভোটারদের ভাবাবেগ উস্কে দিয়ে মোদী বলেছেন, “প্রথমে মনে হচ্ছিল, বিজেপি আমাকে এখানে পাঠিয়েছে। তার পর মনে হচ্ছিল, আমি বারাণসীতে লড়তে এসেছি। এখন মনে হচ্ছে, আমি আসিওনি, আমাকে কেউ পাঠায়নি। আসলে মা গঙ্গা আমাকে ডেকে নিয়েছেন।”
দু’সপ্তাহ আগে বডোদরায় মনোনয়ন পত্র পেশ করেন মোদী। তাঁর স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিষয়ে বডোদরায় দেওয়া হলফনামা ও আজকের হলফনামার মধ্যে প্রায় ১৪ লক্ষ টাকার ফারাক মিলেছে। মোদীর হলফনামা অনুযায়ী, এই সময়ের মধ্যে তাঁর হাতে থাকা নগদ টাকার পরিমাণ ৩ হাজার টাকা ও ব্যাঙ্কে সঞ্চয়ের পরিমাণ ১৪.৩১ লক্ষ টাকা বেড়ে গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy