রাষ্ট্রপুঞ্জের চিঠিতে তিনি হয়ে গিয়েছেন হাফিজ সইদ সাহেব! মুম্বই সন্ত্রাসের মূল চক্রী এবং জামাত উদ দাওয়ার প্রধানকে ‘সাহেব’ আখ্যা দেওয়ায় যারপরনাই ক্ষুব্ধ ভারত। যে রাষ্ট্রপুঞ্জ হাফিজ সইদকে ‘নিষিদ্ধ’ তালিকাভুক্ত করেছে, তাদেরই প্রতিনিধির লেখা চিঠিতে এমন গাফিলতি কী ভাবে হল, তার জবাব চায় মোদী সরকার। পরে লোকসভা স্পিকার সুমিত্রা মহাজন ঠাট্টা করে এ-ও বলেন, “এত সম্মাননীয় (সাহেব) আখ্যা দেওয়ার পরে যদি কারও মানসিকতা পরিবর্তন হয়, তা হলে তো ভালই।”
রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের চেয়ারম্যান গ্যারি কুইনল্যান ১৭ ডিসেম্বরের একটি চিঠিতে হাফিজকে সাহেব সম্বোধন করেছেন। আপত্তি উঠেছে তা নিয়েই। রাষ্ট্রপুঞ্জের নিষিদ্ধ তালিকায় থাকা জঙ্গিদের সম্পর্কে তথ্য দিতে গিয়ে সইদের নাম উল্লেখ করেন কুইনল্যান। তখনই ওই সম্বোধন। নয়াদিল্লি প্রশাসনের একটি সূত্র জানিয়েছে, ‘এটা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। মুম্বই সন্ত্রাসের মূল চক্রীকে নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জ যথেষ্ট ওয়াকিবহাল। ২৬/১১-য় শুধু ভারত নয়, আমেরিকা এবং ইজরায়েলের মতো দেশের নাগরিককেও প্রাণ হারাতে হয়েছিল। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যে বৃহৎ লড়াইয়ে সামিল সব দেশ, সেখানে সইদকে সাহেব বলার অর্থ বিষয়টিকে লঘু করে দেখা।’
সম্প্রতি টুইটারে ক্রমাগত ভারত-বিরোধী মন্তব্য ছড়ানোয় জামাত প্রধানের অ্যাকাউন্টটি সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়েছে। এমনকী এ মাসেই পেশোয়ারে সেনা স্কুলে পাক তালিবানের নৃশংস হানায় শতাধিক শিশুনিধনের ঘটনাতে ভারতের দিকেই আঙুল তুলেছিলেন সইদ। বলেছিলেন, এর খেসারত দিতে হবে ভারতকেই। পাকিস্তানের প্রচ্ছন্ন মদতে হাফিজ এখনও অধরা বলে আগে থেকেই অভিযোগ জানিয়ে এসেছে ভারত। এই আবহে রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফে হাফিজকে সাহেব আখ্যা দেওয়ায় বিরক্ত ভারত। সাউথ ব্লকের একটি সূত্রের মতে, পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রণে রাষ্ট্রপুঞ্জ আরও কড়া মনোভাব দেখাবে, এটাই প্রত্যাশিত। এ নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy