মাস খানেক আগে গণধর্ষণের শিকার হয়েছিল সে। বৃহস্পতিবার সকালে সোনেপত জেলার বাড়ি থেকে উদ্ধার হল তার ঝুলন্ত দেহ। পরিবারের দাবি, গণধর্ষণের তদন্তে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার জন্যই আত্মঘাতী হয়েছে বছর চোদ্দোর নাবালিকাটি।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি হরিয়ানার সোনেপত জেলার গোহানা গ্রামের বাড়ি থেকে মেয়েটিকে অপহরণ করে চার প্রতিবেশী যুবক। গ্রামের শেষ প্রান্তে ফাঁকা একটি খামারবাড়িতে চার জন মিলে ধর্ষণ করে তাকে। মেয়ের খোঁজ না পেয়ে পুলিশে খবর দেন বাবা-মা। পরের দিন সকালে অচৈতন্য অবস্থায় খামারবাড়িটি থেকেই মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনায় জড়িত চার জনের মধ্যে এখনও পর্যন্ত এক জনকে গ্রেফতার করতে পেরেছে পুলিশ। বাকিরা অধরা।
কিশোরীর বাবা-মায়ের অভিযোগ, গত কয়েক দিন ধরে বিষণ্ণতায় ভুগছিল তাঁদের মেয়ে। মেয়েটির বয়ান রেকর্ডের পরেও গণধর্ষণের বদলে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছিল পুলিশ। নাম বলে দেওয়া সত্ত্বেও প্রকাশ্যেই ঘোরাফেরা করছিল অভিযুক্তরা। অথচ ঘরবন্দি হয়ে দিন কাটাতে হচ্ছিল তাঁদের মেয়েকে। সব মিলিয়ে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল কিশোরীটি। বুধবার রাতে খাওয়ার পর আর কারও সঙ্গে কথা বলেনি সে। বৃহস্পতিবার সকালে ঘরে ঢুকে বাবা-মা দেখেন, সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছে মেয়ের দেহ।
মেয়েটির পরিবারের পাশাপাশি পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ এনেছেন হরিয়ানার সমাজকর্মী পঙ্কজ চণ্ডোগথিয়া। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “নির্ভয়া কাণ্ডের পর পুলিশকে আরও সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সরকার ও আদালত। কিন্তু, কিছুই পরিবর্তন হয়নি। এই মেয়েটিকেও রক্ষা করতে পারল না তারা!” দিল্লিতে নির্ভয়া-কাণ্ডের ঠিক পরেই হরিয়ানার রেওয়ারি জেলায় গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছিল বছর ষোলের আরও এক ধর্ষিতা। সামাজিক কলঙ্কের হাত থেকে বাঁচতে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিল সে-ও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy