লোকসভা ভোটের লড়াইয়ে হীরার সঙ্গে নেই আলফা। একই সঙ্গে সাধারণ মানুষকেও ওই জঙ্গি নেতাকে সমর্থন করতে নিষেধ করা হল।
এ বারের নির্বাচনের লড়তে নেমেছেন আলফার ৭০৯ ব্যাটেলিয়ানের কম্যান্ডার হীরা ওরফে নব শরনিয়া। তিনি অ-বড়ো জনগোষ্ঠী সংগঠনগুলির সমর্থিত প্রার্থী। গত বছর শান্তিপন্থী আলফার সঙ্গে হাত মিলিয়ে মূলস্রোতে ফিরে আসা হীরাকে তাঁর পুরনো সঙ্গীরাও সাহায্য করছেন।
কিন্তু আলোচনাপন্থী আলফার তরফে গতকাল একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দলীয় অনুশাসন না-মেনে ভোটে লড়তে নামায় হীরাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আলফার কেউ যেন তাঁকে সমর্থন না করেন। হীরাকে যাঁরা সমর্থন করছেন, তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আলফার কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের আধিকারিক কমল কছারি আবেদন জানিয়েছেন, নীতি ও আদর্শের কারণে দল থেকে বহিষ্কৃত হীরাকে জাতীয় শহিদ, তাঁদের পরিবার এবং জাতীয় সংগ্রামের সমর্থকরা ভোট দেবেন না।
এ দিকে, কোকরাঝাড় কেন্দ্র তফসিলভুক্ত উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত। সেখানে উপজাতি হিসেবে স্বীকৃতি না-পাওয়া শরণিয়া-কছারি গোষ্ঠীর সদস্য হীরাকে ভোটে লড়ার অনুমতি দেওয়ায় নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করেছে জনজাতি সুরক্ষা সমিতি। সমিতির যুক্তি, শরণিয়া-কছারিদের তফসিল উপজাতি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ‘অল অসম ট্রাইবাল সঙ্ঘ’। কিন্তু, নিয়মমতো রেভেনিউ অফিসার স্তরের নীচে থাকা কোনও সরকারি কর্তা এই স্বীকৃতি দিতে পারেন না। সেখানে, সঙ্ঘ একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনমাত্র। ভারতীয় সংবিধানে তফসিলভুক্ত উপজাতিদের যে তালিকা রয়েছে, সেখানেও শরণিয়া-কছারিদের নাম নেই।
জনজাতি সুরক্ষা সমিতির অভিযোগ, শরণিয়া-কছারিরা স্বার্থসিদ্ধির জন্য অবৈধ ভাবে নিজেদের ‘বড়ো-কছারি’ গোষ্ঠীর উপগোষ্ঠী হিসাবে দাবি করছে। কিন্তু এ ভাবে এক গোষ্ঠীর অর্ধেক নাম উপজাতি স্বীকৃতি পাওয়ার কারণে ও অন্য গোষ্ঠীর অর্ধেক নাম পদবি হিসাবে ব্যবহার করাও যুক্তিসঙ্গত নয়। সংবিধানের ধারা অনুযায়ী, তফসিল জাতি ও উপজাতিদের জন্য তৈরি কমিশনের সম্মতি ছাড়া এ ভাবে কোনও জনগোষ্ঠীকে উপজাতি ঘোষণা করা যায় না। তাই, হীরা শরণিয়াও উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত আসনে লড়তে পারেন না। সঙ্ঘের স্বীকৃতির উপরে ভিত্তি করে তামুলপুরের এসডিও হীরাকে যে ‘উপজাতি’ শংসাপত্র দিয়েছেন, তা বাতিল করার দাবি তুলেছে সমিতি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy