হাসপাতালে জুনেইদের রক্তাক্ত দেহ।— ফাইল চিত্র।
কেটে গিয়েছে বেশ কয়েক ঘণ্টা। এখনও ট্রেনে কামরার ভিতরে রক্তের চাপ চাপ দাগ। বৃহস্পতিবার রাতে এই কামরার ভিতরই যে ১৬ বছরের জুনেইদকে নৃশংসভাবে মারধর করে দুষ্কৃতীরা। পরে চলন্ত ট্রেন থেকে তাকে ছুড়ে ফেলে দেয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত্যু হয় ওই কিশোরের।
ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল রাতে দিল্লি থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে হরিয়ানার আসাভাটি স্টেশনের কাছে। দুষ্কৃতীদের মারে গুরুতর আহত হয়েছেন আরও তিনজন। প্রত্যেকেই ইদের বাজার করে বাড়ি ফিরছিল। প্রাথমিক তদন্তে এটি বিদ্বেষের বলি বলেই মনে করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।
আরও পড়ুন: ‘ভূত’-এর নির্দেশ, মেয়ের কান কাটলেন বাবা
পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল রাতে ট্রেনে করে বাড়ি ফিরছিলেন জুনেইদ, হাসিব, শাকির এবং মোশিন। তখনই তাদের উপর চড়াও হয় জনাকয়েক দুষ্কৃতী। ট্রেনের কামরার মধ্যেই ওই চারজনকে বেধড়ক মারধর করতে থাকে তারা। হাসপাতালে আহত হাসিব জানিয়েছেন, গুরুতর আহত অবস্থায় জুনেইদকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় তার।
গত কয়েক মাসে গো-রক্ষার নাম করে বার বার হিংসার খবর মিলেছে দেশের নানা প্রান্তে। রাজধানী দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ-ওড়িশা থেকে শুরু করে জম্মু-কাশ্মীরেও বিদ্বেষের শিকার হতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। হিংসার হাত থেকে রেহাই মেলেনি ন’বছরের বালিকারও। মাস দু’য়েক আগেই জম্মু-কাশ্মীরের রিয়াসি জেলায় এক যাযাবর পরিবারকে স্থানীয় কয়েকজন স্বঘোষিত গো-রক্ষক বেধড়ক মারধর করে। হামলায় ন’বছরের শাম্মির শরীরের বেশ কয়েকটি হাড় ভেঙে যার।
এ দিন হরিয়ানার ঘটনা ফের একবার সাম্প্রতিক এই সমস্ত ঘটনার স্মৃতি উস্কে দিল। এবং চোখে আঙুল দিয়ে দেখাল, অসহিষ্ণুতার যে বাতাবরণ এ দেশে উদ্বেগের ছায়া ফেলে চলেছে বেশ কিছুদিন ধরে, তা এখনও আশঙ্কাজনক অবস্থাতেই বিদ্যমান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy