প্রতীকী ছবি।
ধর্ষিতার প্রাণহানির আশঙ্কায় তাঁর গর্ভপাতের আর্জি খারিজ হেয়ে গেল সুপ্রিম কোর্টে।
১০ বছর বয়সী ধর্ষিতার মা, বাবা তাঁদের মেয়ের গর্ভপাত করার অনুমতি পেতে দ্বারস্থ হয়েছিলেন শীর্ষ আদালতের। কিন্তু ৩২ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বার জীবন বিপন্ন হতে পারে এই যুক্তিতে সেই আর্জি শুক্রবার খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ১০ বছরের ওই কিশোরীকে তাঁর কাকা সাত মাস ধরে ধর্ষণ করেছিলেন বলে অভিযোগ।
এই রায় দেওয়ার আগে অবশ্য সুপ্রিম কোর্ট গত সপ্তাহে চন্ডীগড়ের পিজিআইয়ের চিকিৎসকদের কাছে জানতে চেয়েছিল, ওই কিশোরীকে গর্ভপাত করানোর অনুমতি দিলে তাঁর জীবন বিপন্ন হতে পারে কি না। চিকিৎসকরা গর্ভপাতের বিপক্ষে বলেছেন বলে এ দিন সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে। তার পরেই আর্জিটি খারিজ করে দেওয়া হয়। শীর্ষ আদালত ওই কিশোরীর জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসার সব বন্দোবস্ত করতে বলেছে।
সাধারণত, ২০ সপ্তাহের পর ভারতে কোনও অন্তঃসত্ত্বা গর্ভপাতের আইনি অধিকার পান না। কিন্তু ওই ধর্ষিতার মা, বাবা যখন তাঁদের মেয়ের গর্ভপাতের আর্জি জানিয়েছিলেন চন্ডীগড়ের নিম্ন আদালতে, তখন তিনি ছিলেন ২৬ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা। কিন্তু শিশুর জন্ম দেওয়ার জন্য ওই কিশোরী শারীরিক ভাবে প্রস্তুত নন, এই যুক্তিতে নিম্ন আদালতে খারিজ হয়ে গিয়েছিল গর্ভপাতের আর্জি।
আরও পড়ুন- সালিশি সভার নিদান, অভিযুক্তের বোনকে ধর্ষণ করল নির্যাতিতার দাদা!
এর পরেই ওই কিশোরীর মা, বাবা দ্বারস্থ হয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের। গত মে মাসে ১০ বছরের আরেকটি ধর্ষিতা কিশোরীর গর্ভপাত করানোর আর্জিতে অবশ্য অনুমতি দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। সেই কিশোরীটি প্রায় ২১ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। গত মাসে আরেকটি ঘটনা ঘটেছিল বারাসতে। সন্তান জন্মের পর বিকলাঙ্গ হতে পারে, এই আশঙ্কায় বারাসতের এক দম্পতি গর্ভপাত করানোর অনুমতি চেয়েছিলেন আদালতে। আদালত তা মঞ্জুর করেছিল মা ও আসন্ন শিশুর জীবনহানির সম্ভাবনায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy