হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক রোগীর মৃত্যুর পর তাঁর পরিজনদের হেনস্থার মুখে পড়েছেন কয়েক জন জুনিয়র চিকিৎসক— এমনই অভিযোগে গত কাল রাত থেকে কর্মবিরতি শুরু করেছিলেন তাঁদের পাঁচশো সহকর্মী। তার জেরে বিনা চিকিৎসায় মারা গেলেন ওই হাসপাতালে ভর্তি থাকা গুরুতর অসুস্থ ১৫ জন রোগী। ঘটনাটি ঘটেছে পটনা মেডিক্যাল কলেজে।
এ ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন বিহারের স্বাস্থ্যকর্তারা। তাঁদের এক জন বলেন, ‘‘গত ২০ ঘণ্টায় ওই হাসপাতালের জরুরি পরিষেবা ও আপৎকালীন বিভাগে কাজকর্ম থমকে গিয়েছে। চিকিৎসার অভাবে মৃত্যু হয়েছে ১৫ জন রোগীর।’’ তিনি জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ৩৬ জনের অস্ত্রোপচার পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালে আসা প্রচুর রোগীকে ফিরিয়ে দিয়ে বাধ্য
হয়েছেন কর্তৃপক্ষ। রোগীদের পরিজনেরা জানিয়েছেন, কোথায় গেলে চিকিৎসা মিলবে তার সদুত্তর মিলছে না। মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসা না পেয়ে গুরুতর অসুস্থদের বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছেন তাঁদের পরিজনরা। পটনা মেডিক্যাল কলেজের এক প্রবীণ চিকিৎসক জানিয়েছেন, হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে অনেক রোগীর চিকিৎসা করছেন নার্সরাই।
উপযুক্ত নিরাপত্তার দাবি তুলেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। সহকর্মীর উপর হামলায় অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিও তোলা হয়েছে। তাঁরা জানিয়েছেন, মেডিক্যাল কলেজে গত দু’মাসে এ নিয়ে তিন বার আক্রান্ত হলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।
মেডিক্যাল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ভি কে গুপ্ত জানিয়েছেন, পরিস্থিতি সামলাতে জরুরি বিভাগে কাজ সামলাচ্ছেন সিনিয়র ডাক্তাররা। কর্মবিরতিতে থাকা জুনিয়র চিকিৎসকদের আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন বিহারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মঙ্গল পাণ্ডে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy