—প্রতীকী ছবি।
প্রবল অর্থকষ্টে ভুগছিল বান্ধবীর পরিবার। পরিবারের দুঃখের কথা বিশেষ বন্ধুর কাছে এসে মন খুলে বলেও ফেলত মেয়েটি। দিনের পর দিন বান্ধবী ও তার পরিবারকে কষ্ট পেতে দেখে নিজেকে আর ঠিক রাখতে পারেনি বছর ষোলোর ‘খুদে’ প্রেমিক। বুদ্ধি খাটিয়ে উপায় বের করে সে। সুযোগ পেয়ে চেলেও ফেলে মোক্ষম চালটি।
প্রেমিকার পরিবারকে সাহায্য করতে নিজেই নিজেকে অপহরণ করার পরিকল্পনা করে গুজরাতের বাসিন্দা ওই কিশোর। কিছুদিন আগেই মহারাষ্ট্রের সাকি নাকায় দাদুর বাড়িতে ঘুরতে এসেছিল সে। তখনই ‘প্ল্যান’ সফল করার পরিকল্পনা করে সে। নাবালক ওই কিশোরকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে বছর উনিশের তার এক বন্ধুও। অপহরণের পর নিজের বাবার কাছ থেকেই ৫০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে ওই কিশোর। ওই কিশোরের পরিবারের তরফে মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চে অভিযোগও দায়ের করা হয়। কিন্তু তদন্তে নেমেই একে একে খোলে রহস্যের মোড়ক। দেখা যায় বাঘের ঘরেই ঘোগের বাসা! নিজেই নিজের অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করেছে খোদ ওই কিশোরই।
আরও পড়ুন: প্লাস্টিকখেকো ছত্রাকের সন্ধান পাকিস্তানের আবর্জনা স্তূপে
কিশোরের এক আত্মীয় মুম্বই পুলিশকে জানায়, শুক্রবার সাকি নাকা থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে ওই কিশোর। নিখোঁজের পর একটি অজ্ঞাত নম্বর থেকে ফোনও আসে তাদের বাড়িতে। মুক্তিপণের জন্য চাওয়া হয় ৫০ লক্ষ টাকা। এমনকী নির্দিষ্ট একটি জায়গায় সেই টাকা রেখে যাওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল ওই অজ্ঞাত নম্বর থেকে।
আরও পড়ুন: ‘মৃত্যু’র ৩০ মিনিট পর শুরু হল বাইপাস অস্ত্রোপচার
এরপরেই ওই নম্বরটি ট্র্যাক করতে শুরু করে পুলিশ। নম্বরের সূত্র ধরে স্থানীয় একটি লজে পৌঁছায় তাঁরা। সেখান থেকেই ১৬ বছরের ওই কিশোর ও তার বন্ধুকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ডেপুটি কমিশনার নিশার তাম্বলি জানান, বান্ধবীকে অর্থ সাহায্য করতেই এমন পরিকল্পনা করেছিল ওই কিশোর। পুরো অপারেশন সফল করতে তাকে সাহায্য করেছিল তার বন্ধু। উদ্ধার করে ওই দুই কিশোরকেই তাদের বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy