প্রতীকী ছবি।
বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছিল ওরা। সেই সময়েই ধর্ষণ করে খুন করা হল দুই বালিকাকে। দু’টি ঘটনার একটি উত্তরপ্রদেশের এটায়। অন্যটি ঘটেছে ছত্তীসগঢ়ে।
বৃহস্পতিবার রাতে আলিগঞ্জ এলাকার কেলথা অঞ্চলে কাকার বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছিল নয় বছরের ওই বালিকা। সেই রাতেই পিন্টু নামে ২২ বছর বয়সি এক ড্রাইভার তাকে পাশের একটা নির্জন জায়গায় টেনে নিয়ে যায়। ধর্ষণ করে খুন করা হয়ে বালিকাটিকে। শুক্রবার ভোর তিনটে নাগাদ বালিকার দেহ মিলেছে। পুলিশ জানিয়েছে, পিন্টুর দু’টি সন্তান রয়েছে। ঘটনার সময়ে সে মদ্যপ অবস্থায় ছিল। পিন্টুর সঙ্গে তার ভাইকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ‘পকসো’ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত ১৬ এপ্রিল এই আলিগঞ্জ এলাকাতেই বিয়ে বাড়িতে আসা সাত বছরের এক বালিকাকে ধর্ষণ করে গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করা হয়েছিল। ১৯ বছর বয়সি অভিযুক্ত সোনু জাটভ এসেছিল বিয়েবাড়ির প্যান্ডেলের কাজ করতে। সেই সময়েই ওই ঘটনা ঘটায় সে। বালিকার দেহ মেলে পাশেই নির্মীয়মান একটি বাড়ির পাশে। এর কয়েক দিনের মধ্যেই এটা-য় ঘটে গেল আর একটি ঘটনা।
বিয়েবাড়িতে আসা বালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের অন্য ঘটনাটি ঘটেছে বুধবারে, ছত্তীসগঢ়ে। রাজ্যের কবীরধাম জেলার একটি গ্রামে বিয়ের অনুষ্ঠানে এসেছিল দশ বছরের ওই বালিকা। বরের বন্ধু ২৫ বছর বয়সি এক যুবক বালিকাটিকে ধর্ষণ করে। তার পরে পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করে খুন করে। পুলিশ ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে। সে অপরাধের কথা স্বীকার করেছে বলেই দাবি পুলিশের।
যে ভাবে উত্তরপ্রদেশে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে, তাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যোগী সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে সরব বিরোধীরা। এরই মধ্যে হাতরস জেলায় সিকন্দ্রা রাও শহরের পাশে ১৪ বছরের এক কিশোরীকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার রাতে পাশের বাড়িতে যাওয়ার সময় দুষ্কৃতীরা তাকে ধর্ষণ করে। এই ঘটনায় দু’জন গ্রেফতার হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy